শিক্ষাঙ্গন


কুষ্টিয়ায় কিন্ডার গার্টেন শিক্ষার নামে বছরে লাখ টাকার চাঁদাবাজী

কুদরতে খোদা সবুজ,
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, আর শিকরা জাতির অভিভাবক। এমন নিতীবাক্য যেন দিনে দিনে ফ্যকাসে হতে চলেছে। শিতি মানুষের যেমন সঠিক মূল্যায়ন নেই তেমনি শিরা তথাকথিত কোচিং সেন্টার আর বাৎসরিক ডনেশনের নামে চাঁদাবাজীর ভুমিকায় লিপ্ত হয়েছেন। বেহাল সরকারী প্রাথমিক শিার পাশাপাশি কিন্ডারগার্টেন শিাকে নিয়ে স্কুলে ডনেশনের নামে চলছে চাঁদাবাজী। কুষ্টিয়ায় কিন্ডারগার্টেন শিার নামে চাঁদাবাজী যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর পরিমানও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বছরে লাখ টাকায় রূপান্তরিত হয়েছে। সুত্র জানায়, কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের তালিকা অনুযায়ী কুষ্টিয়া শহরের কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের তালিকায় প্রায় ৬০টি স্কুল রয়েছে। যারা বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের তালিকাবদ্ধ। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা, কুমারখালী, মিরপুর, ভেড়ামারা, খোকসা ও গাংনী এ এসোসিয়েশন ভুক্ত। ১৯৯৯ সালে মাত্র তিনটি স্কুল নিয়ে কুষ্টিয়া জেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন গঠিত হয়। ২০১০ সালে এসে প্রায় ৬০টি স্কুল এর সদস্য হয়েছে। তবে এদের বাইরে অনেক কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। সরকারের শিা নীতিমালায় কিন্ডারগার্টেনের কোন নীতিমালা আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। সুত্র জানায়, ইতিপুর্বে দেশের বিশিষ্ট লেখকদের বই কুষ্টিয়ার এসব কিন্ডারগার্টেনে পড়ানো হলেও বর্তমানে যত গাদা পচা, অখ্যাত লেখকদের বই কিন্ডারগার্টেনের বুক লিষ্টে স্থান পেয়েছে বলে জানিয়েছে কয়েকজন অভিভাবক। এর মূল কারণ হিসেবে জানা গেছে, প্রতি বছর পরীা শেষে এসোসিয়শন ভিজিটে বের হয়। তার পর কয়েকটি প্রকাশনীর সাথে কথা বলে বইয়ের দোকানদারকে নিয়ে তারা এক জায়গায় সমবেত হয়। যে যত বেশি লাভ দিতে পারে তার বইটি লিষ্টে তোলা হয়। আবার কখনও কখনও বই বিক্রেতা তার লাভের ভাগ বেশি করতে নিজেই কয়েকটি অখ্যাত প্রকাশনীকে খবর দেয়। একদিন ঘটা করে এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, স্কুলের শিক আর বইয়ের দোকানদাররা ভুড়ি ভোজ করে সব কিছু চুড়ান্ত করেন। বাৎসরিক এই চুড়ান্ত সভা শেষে প্রতি স্কুলে স্কুলে বুক লিষ্টে বইয়ের তালিকা দিয়ে নিচে বইয়ের দোকানের নাম লিখে দেয়া হয়। যাতে উল্লেখিত বই কিনতে অভিভাবক-ছাত্র-ছাত্রীরা ওই নির্ধারিত বইয়ের দোকানেই যায়। আর এই চুক্তি সম্পন্ন শেষে বিনিময় হয় কয়েক ল টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক জানিয়েছেন, প্রতিবছর এসোসিয়শন ও স্কুলের শিকদের সাথে বইয়ের দোকানদের চুক্তি হয় সে মোতাবেক বুক লিষ্ট তৈরি করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বইয়ের দোকানদার অবশ্য দায়বদ্ধতা থেকে বলেছেন, আমরা চাই ভালো প্রকাশনীর বই ছেলে-মেয়েরা পড়–ক এবং কম খরচ হোক। কিন্তু স্কুলের শিকরা এসোসিয়েশন করে এ সব অখ্যাত প্রকাশনীর বই আনতে আমাদের অর্ডার দিয়ে থাকে। কিন্ডার গার্টেনের প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫শ ছাত্র-ছাত্রীর বাংলা, ইংরেজীসহ ঐচ্ছিক বিষয়ের বই সরবারের অর্ডার পেয়েছে এক বইয়ের দোকান। এতে এবার প্রায় ৩ ল টাকার ব্যবসা শুধু ওই এক স্কুলেই করবে বইয়ের দোকানটি। লভ্যাংশের একটা অংশ অর্ডারের অনেক আগে জমা দিতে হয় সংশ্লিষ্ট স্কুলে। বাকি দুটি অংশ একটি এসোসিয়েশন ও রাইটারকে। অর্থ্যাত শতকরা ২৫ ভাগ রাইটার, ২০ভাগ এসোসিয়েশন, ২০ দোকানদার আর ২০ ভাগ দিতে হয় স্কুলকে। তা হলে মূল বইটির মূল্য দাঁড়ায় মাত্র ১৫ ভাগ। অর্থাৎ ১শ টাকার বইয়ের মূল্য দাঁড়ায় মাত্র ১৫ টাকা। ৮৫ ভাগ যায় বিভিন্ন উপায়ে। দ্বিতীয় শ্রেণীর একসেট বই বিক্রি করছে ৫শ টাকা। প্রকৃত পে এই পাঁচটি বইয়ের মূল্য সর্বচ্চ ১শ ২৫ টাকা। অথচ অভিভাবকদের অতিরিক্ত ৩শ ৭৫ টাকা দিয়ে বই কিনতে হচ্ছে। এই শিা বাণিজ্যের রোষানলে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের একজন এ সব অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, প্রতি বছর কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সমন্বয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। প্রতি ছাত্র-ছাত্রীকে নগদ ১ হাজারসহ ৬শ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া এসোসিয়েশনের আরও আনুসঙ্গিক খরচ আছে সে সব খরচ মেটাতে প্রতিস্কুলের কাছ থেকে কিছু ডনেশন নেয়া হয়ে থাকে। তবে তা খুবই যৎসামান্য।



প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় নৈতিক জ্ঞান দান অপরিহার্য
মোঃ আফজাল হোসেন
শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড। যে জাতির মধ্যে শিক্ষার হার যত বেশি সে যাতি তত বেশি উন্নত। আদিম কালে গুহা মানবদের মধ্যে শিার কোন রীতি নীতি বা প্রচলন ছিলো না। তাই তারা রয়ে গিয়াছিলো শিার আলোক বঞ্চিত, সভ্যতা বির্বজিত আদিম মানুষ। এই আদিম মানুষের যুগের অবসান ঘটেছে বহু কাল পূর্বেই। অবসান ঘটার মূল উপজীব্য, বিষয় ছিলো শিার অঅলোকছটা- বুকে ধারন জ্ঞানাহরন , জ্ঞান বিতরন। বর্তমান বিশ্বে সাধিত হয়েছে শিার চরম উৎকর্ষ। শিক্ষা ব্যতিরেকে এ বিশ্বে পরিবার, সমাজ, দেশ, জাতি এবং রাষ্ট্র উন্নতির শীর্ষে আরোহন করা একেবারেই কল্পনার অতীত। এবং কোন প্রকার বাস্তবতার সংগে সংগতিপূর্ন বিষয় নয়। সুতরাং শিক্ষাকে নিয়ে আমাদেও ভাবতে হবে সর্বেচ্চ গুরুত্ব দিয়ে, সর্বোচ্চ মেধা দিয়ে। তবেই হবে দেশ ও জাতির প্রকৃত উন্নয়ন। উন্নয়নের রোড ম্যাপ শুধু বস্তু বিষয় ভিত্তিক হলে চলবে না, হতে হবে মানুষের নৈতিক চরিত্রেরও উন্নয়ন। এ উন্নয়ন যদি যথোচিত না হয় তাহলে দেশের সব উন্নয়নই ম্লান হয়ে যাবে। দেশের বুকে চলতে থাকবে অসান্তি, অস্বস্তি আর নিরা জনিত দুঃশ্চিন্তা র্দুভোগ। এ র্দুভেঅগকে কাটিয়ে উঁঠতে অবশ্যইএকটা কার্যকর এবং সঠিক পদপে গ্রহণ করতে হবে। আমাদেও কোমল মতি শিশু কিশোর শর্িাথীদের এধরন কার্যকর ও সঠিক শিায় গোড়ে তোলার পেছনে যে কথাটি মাথায় উঠে আসে সেটি হলো নৈতিক গুনমান অর্জনের শিা। এ নৈতিক গুনমান সম্পন্ন শিাকে যদি আমরা আমাদের কোমলমতি শিশু কিশোর শিার্থীদের মন জগতে প্রবিষ্ট করাতে , তাহলে এ আসা করা আমাদের কখনই বৃথা যাবেনা, কখনই ব্যর্থতায়-পর্যবাসত হবে না যে , এক সময় এরা বড় হয়ে সুনাগরিক হবে , দেশের ভাসমান এর কর্নধার হবে, হাল ধরবে এবং জাতিকে স্বস্তি শান্তির মধ্য দিয়ে গন্তব্যে পৌছে দেবে। সুতরাং আমাদের এই শিশু কিশোর কিশোরীদেরকে সকল বিষয়ের শিা অর্জনের পাশা-পাশি নৈতিক গুন সম্পন্ন মন ও মানসিকতায় গড়ে তুলতে হবে। আর এ নৈতিক গুন সম্পন্ন মন ও মানসিকতায় গড়ে তুলতে হলে প্রাক-প্রাথমিক শিা ব্যবস্থার প্রসার ঘটাতে হবে গ্রাম গঞ্জে ও শহরে। সুখের বিষয় এই যে, বাংলাদেশে এই প্রাক-প্রাথমিক শিার প্রসার ঘটেছে ব্যাপকারে। এ শিার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি কওে ২০১১ সালে সরকার একটা একটা আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতিও দিয়েছে। তবে একটি কথা সবিশেষ ভাবে উল্লেক যোগ্য যে বানিজ্যিক মন মানসিকতায় উজ্জীবিত না হয়ে সেবা ব্র“ত প্রেরনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করলে সমাজ , দেশ ও জাতি অনেক বেশী উপকৃত হবে। এ লে যারা প্রাক-প্রাথমিক শিা বলয়ে কাজ করবেন তারা অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সম্প্রতি এমনি একটি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় পরির্দশন ও এর বার্ষিক পুরুস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদানের সুযোগ আমার হয়েছে। উক্ত বিদ্যালয়ে কচি কাচা শিশু কিশোরদের পবিত্র কোরআন শিার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যা প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সচরাচর দেখা যায় না। কচিকাচা শিশু কিশোরদের ধর্ম মনস্ক কওে গড়ে তোলার এ একটা সুন্দও ব্যবস্থা, সুন্দর ও বিজ্ঞজনোচিত পদপে।
সুদির্ঘ প্রায় চল্লিশ বছর ব্যাপি অঅমি শিাদান ও এর ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত থাকার পাশি-পাশি লেখালেখি করছি। এখনও লেখার গতি বন্ধ করিনি বরংঅব্যাহত রেখেছি। বিশেষ অতিথি হিসেবে এই প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছি। কারন এই বিদ্যালয়টির পরিবেশ কোমলমতি শিশু কিশোর ছাত্র চাত্রীদেও জন্য অন্যান্য প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর চেয়ে অনেক স্বাস্থ সম্মত, অনেক উন্নত। অঅলাপ চারিতায় এ বিদ্যায়টির পরিচালক ও শিক শিক্ষকবৃন্দের গুন মান ও অভিজ্ঞতার ভারত্ব নিদেন পে একেবারে কম নয় বরং অনেক উন্নত এবং পরিচ্ছন্ন বলে আমার ধারনা হয়েছে। পরিচালকবৃন্দ রয়েছেন চারজন। তাদের নাম যথাক্রমে শাহ নাজ, খালেদা নাসরিন জুইঁ, সামসুন নাহার আলো, ও শারমিন সুলতানা শিউলি আর শিক মন্ডলির মধ্যে আছেন ৯ জন। তাদের নাম শাহ নাজ বেগম(প্রধান শিক), খালেদা নাসরিন , সামসুন নাহার আলো, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রুমকি আক্তার, ফারজনা আফরোজ রুম্পা, নাজনীন আক্তার খান, মোছাঃ ফারজানা সুলতানা ও রকিবুজ্জামান।
বিদ্যাণয়টির অবস্থান কুষ্টিয়া শহরের একটি গুরুত্বপূর্ন বানিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায়। এ এলাকাটির নাম থানাপাড়া। সড়কের নাম এন এস রোড এবং সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে এলাকাটি শৈকি পরিবেশের অবহে সমৃদ্ধ। বিদ্যালয়টির নাম রাখা হয়েছে নিউ কুষ্টিয়া ল্যারেটরী স্কুল এন্ড কোচিং। স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পরই আশে পাশের অভিভাবক মন্ডলীর দৃষ্টি আর্কষন করতে সম হয়েছে। পরিশে আমরা এ কথা অবশ্যই গুরুত্বের সাথে সংশ্লিষ্টদের উদ্যেশ্যে বলতে চায়। অর্থ প্রাপ্তি, বেতন প্রাপ্তিটায় বড় কথা নয়, মানব সেবা, সমাজ সেবা সর্বোপরি দেশ ও জাতির সেবা ব্র“তটায় মুখ্য বিষয় হিসেবে গন্য হওয়া অত্যাবশ্যক। কারণ খুবই সুস্পষ্ট আর সেটি হচ্চে কোমলমতি শিশু কিশোরদের এই প্রাক-প্রাথমিক শিার এ ধাপটিই সর্ব প্রথম। এই প্রথম ধাপে পাঠ্য পুস্তকেতর জ্ঞানার্জন, জ্ঞানাহরনের পাশাপাশি তাদেরকে নৈতিক িশক্ষা দান করতে হবে। আমাদের এ র্দুভাগা দেশের দিকে অভিনিবেশ সহকারে তাকালে দেখা যাবে তরুন তরুনীদের মর্মপীড়াদায়ক অবয়। মাদকাশক্তি, শক্তি মওতা, অশ্লীল, অমার্জিত আচরন বিচরন সমাজদেহকে কোন কোন েেত্র আষ্টেপৃষ্টে বেধেঁ রেখেছে। ধর্ম বিমুকতা এর সাথে নতুন মাত্র যোগ করেছে। সুতরাং প্রাক-প্রাথমিক শিা যেহেতু কোমলমতি শক্ষার্থীদের প্রথম ধাপ। এই ধাপেই তাদেরকে অতি যতেœর সাথে ক্রমান্বয়ে নৈতিক জ্ঞানার্জন এবং তা ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। তবেই আসবে প্রাথ-প্রাথমিক শিক্ষার সার্বিক সফলতা।


৩৫ বছরে পদার্পণ: ‘চাওয়া-পাওয়ার মাপকাঠিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’
রিদওয়ান বিন ওয়ালী উল্লাহ

১৭৫৭ সালে বাংলার নওয়াব সিরাজুদৌল্লার পতনের মধ্য দিয়ে বাংলার সোনালী সূর্য অস্তমিত হয়ে গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ হতে থাকে অন্তত: ৬০০ বছর

শাসন ক্ষমতায় থাকা মুসলমানরা। মুসলমানরা সর্ব কালের বিজয়ী জাতি। অন্যায়ের কাছে পরাজয় বরণ এদের স্বভাব বিরোধী। তাই ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের পরিচালনায় ও অমুসলিম নেতৃত্বে হলেও যখন বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয় তখন এরা আর বসে থাকতে পারেনি। তবে সমগ্র ভারতে ৪০ কোটি লোকের মধ্যে মাত্র ১০ কোটি মুসলমান হওয়ায় অমুসলিমদের নেতৃত্বে স্বাধীন হয়ে সেই পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকার সমূহ সম্ভাবনা দেখে তারা মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা আদায় করে ১৯৩৬ সালের নির্বাচনে অবিভক্ত বাংলা সহ ৪টি প্রদেশে আইন সভায় সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন করে। ফলে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান নামে একটি রাষ্ট্রের আবির্ভাব ঘটে, যার ভিত্তিই ছিল মুসলিম বা ইসলামী জাতীয়তাবোধ।
বৃটিশভারতে মুসলমানরা ছিল চরমভাবে অবহেলিত। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতিই উন্নত হতে পারে না। অথচ মুসলমানরা শিক্ষগত দিক থেকে ছিল চরম অবহেলার শিকার। ১৭৮০ সালে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হলেও তা মুসলমানদের চাহিদা পূরনে ছিল অপ্রতুল। ১৯১২ সালে মুসলিম জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকায় একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় সরকার, যেখানে ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ থাকবে। ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল তৈরীতে ইসলামিক স্টাডিজ নামে একটি মাত্র অনুষদ যথেষ্ট নয় তথাপি ইসলামপ্রিয় জনতা আশায় বুক বেঁধেছিল এ আশায় যে, অন্তত: একটি অনুষদ তো হবে। কিন্তু সে আশা গুড়ে বালি। ১৯২০ সালে মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী ব্যক্তিগত উদ্যোগে চট্রগ্রামের পটিয়া থানার দিয়াং পাহাড়ের পাদদেশে ৬০০ বিঘা জমি নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষে ফা- গঠন করলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় নি। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হল বটে কিন্তু নাথান কমিটির সুপারিশক্রমে ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ স্থান পেল কলা অনুষদের অন্তর্ভূক্ত আরবী ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ নামে। বৃটিশ আমলে পাওনা এতটুকুই।
পাকিস্তান ভাগ হয়েছে মুসলিম জাতীয়তার উপর ভিত্তি করে তাই পূর্ণাঙ্গ একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছিল মুসলমানদের প্রাণের দাবি। এবং এটি খুব সহজেই সম্ভব ছিল। ১৯৬৪ সালে পূর্বপাকিস্তানের তৎকালীর গভর্ণর আব্দুল মোনায়েম খান বরিশালের কাসেমাবাদে তারপর সুনামগঞ্জে এবং ১৯৬৫ সালে চট্রগ্রামে এক সমাবেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দেন। কিন্তু এ ঘোষণা আর আলোর মুখ দেখে নি। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই ইসলামিক স্টাডিজ নামে একটি অনুষদ করতেও সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আরবী ও ইসলামিক স্টাডিজ নামে দু‘টি স্বতন্ত্র বিভাগ হয়েছে তবে তা কলা অনুষদের অধীনে। ইসলামী জাতীয়তার শ্লোগান দিয়ে দেশ (পাক-ভারত) ভাগ করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর স্বাতন্ত্র্যতা লক্ষ্য করা গেল না।
পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের পর পাকিস্তানের নেতৃত্বে থাকা পশ্চিম পাকিস্তানী নেতৃবৃন্দ ক্ষমতার মোহে দেশ বিভক্তির মূল ভিত্তি তথা ইসলামী জাতীয়তার চাহিদা পূরনে কোন বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন না করায় ও প্রথম গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত ‘আদর্শ প্রস্তাবের’ আলোকে যুক্তরাষ্ট্রীয় পদ্ধতি তথা প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা না করায় এবং ৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জনের পরেও বিজয়ী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অবহেলিত পূর্বপাকিস্তানের জনগণ দেশ বিভক্তিকেই একমাত্র সমাধান মনে করে। ফলে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। দেশের ৯০% লোক মুসলিম হওয়ায় জাতির কাঙ্খিত উন্নতির স্বার্থে জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ইসলামী চেতনার ভিত্তিতে পঠন-পাঠন হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, মাদ্রাসা ছাত্র আন্দোলন ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি স্বতন্ত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ধ্বণিত হতে থাকে।
অবশেষে মুসলমানদের দু’শত বছরের আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে ১৯৭৬ সালের ১ লা ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। ১৯৭৭ সালের শুরুর দিকে মক্কায় অনুষ্ঠিত প্রথম মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড.মুস্তাফিজুর রহমান (যিনি পরবর্তীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হন) বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন এবং মুসলিম দেশসমূহে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পেশ করেন। একই বছর ৩১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত মক্কায় ঙ.ও.ঈ এর উদ্যোগে মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিভিন্ন মুসলিম দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। ঔই বছরই রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নির্দেশে তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.এম.এ. বারীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির প্রস্তাবিত রিপোর্টের আলোকে আন্তর্জাতিক ইসলামী শিক্ষা সম্মেলনের সুপারিশক্রমে অন্যান্য মুসলিম দেশের মত বাংলাদেশেও একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ৫ অগ্রহায়ন ১৩৮৬ বাং ১ মহররম ১৪০০ হি: ২২ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়ার শান্তিডাঙ্গা- দুলালপুরে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর সংসদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট ১৯৮০ (৩৭) পাশ হয়। প্রথম ভিসি হিসেবে দায়িত্বপালন করেন লক্ষীপুর জেলার কৃতি সন্তান প্রফেসর ড.এ.এন.এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী।
১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে থিওলজি এ- ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের অধীনে আল-কুরআন ওয়া উলুমুল কুরআন ও উলুমুত তাওহীদ ওয়াদ্ দা‘ওয়াহ নামে ২টি বিভাগ এবং মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে ২টি বিভাগে ৩০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে হাটি হাটি পা পা করে একটি মহৎ লক্ষ্যপানে এগুতে থাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ৫টি অনুষদের অধীনে ২৩টি বিভাগে ১১০৮৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, ৪৫৫ জন এম.ফিল গবেষক ও ২৬৮ জন পি এচই. ডি গবেষক গবেষনারত। মোট শিক্ষক সংখ্যা ৩৫৩ জন। অধ্যাপকের সংখ্যা ১২৯ জন। বর্তমান ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর ড. আবদুল হাকীম সরকার।
যে সকল লক্ষ্য নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে তার অন্যতম হচ্ছে- ‘ধর্মতত্ত্ব, ইসলামী শিক্ষা, তুলনামূলক আইনশাস্ত্র এবং অন্যান্য শিক্ষণ শাখাসমূহে ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে শিক্ষাচর্চার ব্যবস্থা করা। ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর পর্যায়ে জ্ঞান বিকাশ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে গবেষণা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।’
বিশ্ববিদ্যালয়টি ২২ নভেম্বর ২০১৩ সালে ৩৪ বছর শেষে ৩৫ বছরে পদার্পণ করেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত জাতীয় জীবনে অনেক অবদান রয়েছে এর। অনেক সুনামও রয়েছে। তবে কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। দেশী-বিদেশী, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়টিকে লক্ষ্যচ্যুত করতে প্রথম থেকেই সরব ছিল। কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে যে সব বাধার সম্মুখীন হয় তা নি¤œরূপ:
ক. প্রতিষ্ঠা লগ্নেই এর স্থান নিয়ে রাজনীতিবিদদের টানাহেঁচড়া এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বহি:প্রকাশ। সর্বপ্রথম ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়ায়, তারপর ৮২ সালে গাজীপুরে এবং ৯০ সালে কুষ্টিয়া শহর থেকে ৯২ সালে মূল ক্যাম্পাস শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে ফিরে আসে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি ঙওঈ এর পরিকল্পনা থেকে ছিটকে পড়ে। নচেৎ ওওটগ (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ওংষধসরপ টহরাবৎংরঃু গধষধুংরধ), পাকিস্তান কিংবা উগা-ায় প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিশ্বাবদ্যালয় গুলোর মত এ বিশ্ববিদ্যালয়ও আন্তর্জাতিকভাবে সুখ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হতো
খ.আধুনিক শিক্ষার সাথে ইসলামী শিক্ষার সমন্বয়ের লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও তা এখন নামে মাত্র একটি কোর্সের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় সে অর্থে এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটি এখন এই জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যে, এখানে মাত্র ৪টি স্বাতন্ত্র্যধর্মী বিভাগ রয়েছে। ৩টি ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের ও একটি আল-ফিকহ নামে আইন ও শরীয়াহ অনুষদের অধীনে।
গ. ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের শিক্ষার মাধ্যম আরবী ও ইংলিশ । এটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত হবার অনন্য মাধ্যম। কিন্তু এর জন্য শিক্ষার্থী বাছাইয়ের মাধ্যম তথা ভর্তি পরীক্ষায় যে প্রশ্ন করা হয় তা যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাইয়ে যথেষ্ঠ নয়। তাই একে আরো সমৃদ্ধ করা দরকার।
ঘ. শিক্ষার্থীদেরকে যোগ্য করে তুলতে ঝঃঁফবহঃ জবংবধৎপয ঔড়ঁৎহধষ থাকা জরুরী। অথচ এখানে এর কোন গুরুত্ব নেই।
ঙ. সমাবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রেরণা পায়। অথচ এখানে রাজনৈতিক কোন্দলের ভিড়ে সমাবর্তন শব্দটিই যেন হারিয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০০২ সালের সমাবর্তন সহ ৩৪ বছরে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র ৩টি।
চ. শিক্ষার্থীর তুলনায় হল অপ্রতুল। ১২০০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে আবাসিক ব্যবস্থা আছে মাত্র ২১০০ জনের। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান কুষ্টিয়া থেকে ২৪ কি.মি. এবং ঝিনাইদহ থেকে ২২ কি.মি. দূরে। ফলে শিক্ষার্থীদের কাসে মনযোগে ব্যাঘাত ঘটে। খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন পরিবহন বাবদ যে ব্যয় হয় তা দিয়ে প্রত্যেক বছর পরিকল্পিতভাবে হল করা সম্ভব। তাতে যেমনি বাৎসরিক ব্যয় কমতো তেমনি শিক্ষার্থীদের কষ্ট কমতো এবং তারা সুবিশাল লাইব্রেরীটি যথার্থ ব্যবহারের সুযোগ পেত। এজন্য কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শাটল ট্রেনের দাবি অনেক পূর্ব থেকেই ছিল। সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
ছ. অধিকাংশ বিভাগে কাস রুমের অপ্রতুলতা শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। এতে যেমনি সেশন জট বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে শিক্ষকগণ সেরাটা দিতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
জ. একটি চিকিৎসা কেন্দ্র থাকলেও সেখানে পেরাসিটামল, নাপা কিংবা এন্টাসিড ছাড়া ঔষধ খুব কমই পাওয়া যায়। জানা গেছে, ক্ষমতাসীন ছাত্রনেতারা এখান থেকে মেডিসিন নিয়ে বাহিরে বিক্রি করার কারণে রোগীকে চিকিৎসা দেওয়াও অসম্ভব হয়ে যায় কখনো কখনো। এখানে আধুনিক কোন যন্ত্রপাতি নেই।
ঞ.তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে চলতে তথ্য প্রযুক্তি নেটওয়ার্ক স্থাপন হয়েছে বটে তবে শিক্ষার্থীরা খুব কমই উপকৃত হচ্ছে। এই খাতেও দূর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে বলে জানা গেছে। আধুনিক সময়ে প্রজেক্টরে কাস নেয়া অতীব জরুরী অথচ বিভাগগুলোতে পর্যাপ্ত প্রজেক্টরের ব্যবস্থা নেই।
ট. একটি ভাষা ইন্সটিটিউট থাকলেও তা এখন সার্টিফিকেট নির্ভর হয়ে গেছে।
ঠ. বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে শিক্ষার্থী আদান-প্রদানের কোন চুক্তি না থাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট না থাকা, আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজনে গুরুত্বহীনতা ইত্যাদি।
৩৫ বছর পদাপর্ণে একটিই প্রত্যাশা- বিশ্ববিদ্যালয়টি সকল ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত হয়ে আপন লক্ষ্যে এগিয়ে যাক। জাতি পৃথিবীর মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে এর ভূমিকা হোক সবচেয়ে বেশী।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন