ধর্ম দর্শন

ভাষা দিবসের ভাবনা
ইতিহাসের উপাত্ত সংরক্ষণ: বস্তু নিষ্ঠতার প্রয়োজন
হাফেজ রফিক উদ্দিন আহমাদ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
কাল-চক্রে আবার এসেছে ফাগুনের আগুনে হাওয়ায় ভর করে ২১শে ফেব্র“য়ারী। ১৯৫২ সালের এ দিনের ঘটনাটি তৎকালীন সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রটিকে শুধু নাড়া দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি, তার ভিত্তিও দুর্বল করে দিয়েছিল। যার কারণে, মাত্র তেইশ বছরের মাথায় অস্তিত্ব সংকটে পড়ে দেশটি। অথচ, একশ’ নব্বই বছর পরাধীন থাকার পর প্রায় কোটি মানুষের রক্ত¯্রােত মাড়িয়ে দেশটি কেবলমাত্র স্বাধীনতায় পা রেখেছিল। আঁতুড় ঘরেই কেন এমনটি হল? প্রেক্ষিতটা কি ছিল? তারপরেও বাষট্টি ২১ পার হয়েছে। আবেগমুক্ত হয়ে বিষয়টি নিয়ে কতটুকু ভাবনা-চিন্তা করা হয়েছে? সমস্যার মূলে কি ছিল? বাংলা ভাষায় এ নিয়ে এন্তার লেখালেখি হয়েছে। বই-পুস্তকও কম হয়নি। বক্তৃতার মঞ্চে খৈ ফোটানোÑ সেও কি কম হয়েছে? না । যেহেতেু ভাষা নিয়ে সংগ্রামÑ বিশ্ব ইতিহাসে এটাই প্রথম। কাজেই এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা যুগ যুগ ধরে চলতেই থাকবে। আরেকটি মহাসত্যের কারণে এটিও মানতে হবে যে, যুগান্তকারী কোন ঘটনার সঠিক মূল্যায়ন হয় ঘটনাটির শতায়ু পরেই। কারণ, ঘটনার রেশ টানতে টানতে চলে যায় শত বছর । কমপক্ষে তিনটি জেনারেশন। এরপরেই শুধু ঠা-া মেযাযে অতীত ঘটনার নিরীক্ষণ হয। অনেকটা বাংলা প্রবাদের মতÑ এক জনমে রাঁধে-বাড়ে, দুই জনমে খায়, তিন জনমে ..............?। ঘটনার উত্থান-পতন আর পর্যালোচনার জন্য সময় দেয়া লাগে, লাগবে। অনস্বীকার্য যে, ঘটনা যখন ঘটে, সবাই তখন সেটিকেই বড় করে দেখতে থাকে। বিজয়ের আবেগ আসল সত্য জানার পথে ধোঁয়াশা তৈরী করে। কাজেই সঠিক মূল্যায়নে সময়কে তখন বড় একটা বিবেচনায় আনা হয় না। কিন্তু সময় ও ঘটনা হাত ধরেই চলে।
উপরের কথাগুলো এ জন্য যে, ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলনকে যেভাবে দেখানো হচ্ছে, মনে হয় যেন ’৪৭, ৪৮-৫১ এ সময়ে তেমন কিছুই ঘটেনি। প্রচারণার হাতিয়ার যাদের হাতে যখন থাকে, তারা তখন সেভাবেই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গীতে তথ্য প্রদান করতে থাকেন। তারা ভাবেন না যে, সাময়িকভাবে ইতিহাসের সত্যকে আড়াল করা যায় বটে, তবে চিরকালের জন্য নয়। যেমনটি ঘটিয়েছিল ১৭৫৭ সনের পলাশী ট্রাজেডির পরে ইংরেজ ইতিহাসবেত্তারা।
বাংলা ভাষার প্রতি কোন্ শাসকগোষ্ঠী সত্যিকার অর্থে পৃষ্ঠপোষক ছিলেন, সেটা যেমন ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে , তেমনি ভাষা আন্দোলনের সূচনা পর্বসহ পরিণতি পর্যন্ত নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি বর্গের অনেককে পর্দান্তরালে নেয়ার অপকৌশল চলছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সে সময় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কারা এ ব্যাপারে প্রথম এগিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের কোন সংগঠন ছিল কি। কোন পত্র-পত্রিকা কি তারা প্রকাশ করতেন। সে সময়ে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রদের কোন সংসদ ছিল কিÑ থাকলে তার নাম বা নেতা ছিল কে বা কারা। এ সব প্রশ্নের জওয়াব কি আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে না। ভবিষ্যত-ইতিহাসের উপাত্ত সংরক্ষণের প্রয়োজনে এ সব প্রশ্নের বস্তুনিষ্ঠ জওয়াব এখনই জানা প্রয়োজন। কারণ, ইতোমধ্যে দুই জনম পার হতে চলেছে।
সত্য বটে, মুসলিম লীগ পাকিস্তান আন্দোলন পরিচালক সংগঠন। কিন্তু এ সংগঠনের নেতারা জ্ঞান ও চরিত্রে কোন্ শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করেছেন? পক্ষান্তরে ভাষা আন্দোলনের সূচনাকারী (পরবর্তীতে প্রিন্সিপাল) আবুল কাশেমসহ যারা তমদ্দুন মজলিস গঠন করলেন তারা কারা। দেখা যায় যে, সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা কতিপয় নামাযী-পরহেযগার যুবক একত্রিত হয়ে এ সংগঠনটি গড়ে তোলেন। এ ক্ষুদ্র সংগঠনটি কি শুধু ভাষা আন্দোলনের জন্যই গড়ে উঠেছিল, না আরো উদ্দেশ্য এর ছিল। তারা আর কি কি কাজ করতেন। সে সময়ের ঢাকা ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক গোলাম আযমের ভ’মিকা কি ছিল। এ সব প্রশ্নের জওয়াব খুঁজতে হবে। সে জওয়াবে কারো কোন অবদান বা কৃতিত্ব থাকলে তা যেমন মুছে ফেলা যাবে না। তেমনি যাদের সে সময়ে অস্তিত্বই ছিল না, তাও তেমনি অতিরঞ্জিত করলে ভবিষ্যত ইতিহাসবিদরা ক্ষমা করবেন না। অতএব, সাধু সাবধান!

সরমহামানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

॥ আব্দুম মুনিব ॥
মহান আল্লাহ রাব্বীল আলামিন তার বান্দা তথা মানবজাতিকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার জন্য নির্দিষ্ট প্রাণী বা পশু পাখি হালাল করেছেন আর মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) তার উম্মতদের শিখিয়েছেন সেই পশু পাখি বা প্রাণী জবেহ থেকে আহার পর্যন্ত কিভাবে হালাল করতে হয়। মহান আল্লাহ মানবজাতিকে বলেছেন তোমরা সালাত আদায় কর। মোহাম্মদ (সাঃ) তার উম্মতদের শিখিয়েছেন কিভাবে সালাত আদায় করতে হয়। যুগে যুগে এভাবেই তিনি হাজারো অন্যায় অত্যাচার সহ্য করে আল্লার নির্দেশে সত্য ও সুন্দরের দাওয়াত দিয়েছেন মানুষের মাঝে। তিনি ছিলেন মানবজাতির পথ প্রদর্শক। তিনি দুনিয়ার জীবনে সমস্ত কাজে কিভাবে মহান আল্লাহর সন্তুুষ্টি অর্জন করা যাই সেই প্রচার করেছেন এবং শিখিয়েছেন। আখেরী নবী মোহাম্মদ (সাঃ) শ্রেষ্ঠ নবী। তাঁর সাধনা ও চরিত্র মাধুর্য অপূর্ব ও অনন্য। তিনি সকল মানুষের খেদমতে সর্বদা ব্যাকুল থাকতেন বিশেষ করে নিপীড়িতদের দ্বারে নিজে গিয়ে উপস্থিত হতেন। তিনি মহান আল্লাহর মহিমায় আরব তথা সমগ্র বিশ্বকে বেঁধেছিলেন অনুপম সম্প্রিতীর বন্ধনে। তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন মাবততার মহা কল্যাণ সাধনের জন্য।
জন্মের পর এই মহিয়ষী শ্রেষ্ঠ মানবকে এক পলকে সোনার চাঁদ বদন মুখখানি দেখে দেখে মা আমিনা মহান আল্লাহতা’য়ালার দরবারে অশেষ শুকরানা আদায় করেন। স্বচ্ছ আলোর আভা ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিক। মা আমিনা তাঁকে পেয়ে এটা একমাত্র আল্লাহ’তায়ালারই প্রেরিত মহা সম্পদ জেনে বুকে জড়িয়ে নেন। বিশ্ব যেন ভরে ওঠে মনোরম এক মন মাতান চিত্তাকর্ষক আলোতে। বিশ্ব স্বাচ্ছন্দ্যে মেতে ওঠে। মা আমিনা দেখেন এ যেনো চাঁদের চেয়েও অধিক রশ্মি যা তাঁর মনকে গর্বে ভরে তোলে। এ চাঁদ যেনো সোনার চেয়েও মনোরম এ গোটা বিশ্ব ধরায়।
বাঙ্গালী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় “ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মাদ এলোরে দুনিয়াই আইরে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়” ছোট বেলা থেকেই শিশু নবী মোহাম্মদ (সাঃ) মানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পেরে “আল আমিন” তথা বিশ্বাসী উপাধী লাভ করেন। আরবের বুকে চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে কিশোর বয়সে তিনি তৈরি করেন হিলফুল ফুজুল সংঘ অর্থ্যাত শান্তি সংঘ।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর তিনটি বিশেষ মুজিযা রয়েছে। পৃথীবির বুকে তিনিই এক মাত্র মানব যিনি মিরাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সাথে খুব কাছাকাছি সাক্ষাত করেছেন, যার উপর নাযিলকৃত সর্বশেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল কোরআন দুনিয়ার মানষের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। যার একটি শব্দও এখন পর্যন্ত এতটুকু নরচর হয়নি, তিনি আল্লাহর নির্দেশে দুনিয়ার বুক থেকে চন্দ্রকে দুই ভাগে বিভক্ত করে দেখিয়েছেন। তাই একমাত্র মোহাম্মদ (সাঃ) এর দেখানো পথ অনুসরন করেই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মহা মানব মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র ব্যাক্তী যিনি জীবনে সর্বক্ষেত্রে সাফল্য ও শ্রেষ্ঠত্বে নযির স্থাপন করেছেন। ৫৭০ খ্রীঃ ১২ রবিউল আউয়ালের এই দিনে জন্ম গ্রহন করেন মুহাম্মাদ (সাঃ) মাত্র ৬৩ বছর বয়সে এই দিনেই তিনি দুনিয়া ছেড়ে বিদায় নেন। এই অল্প সময়ে তার কর্মকান্ডে তার তুলনা তিনি নিজেই তাই তিনি প্রিয় মহা পুরুষ তাই আজও স্বরণ করছি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্বরণ করবো পেয়ারা নবী মোহাম্মাদ (সাঃ) তোমাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন