ইউনিয়ন পরিক্রমা

কুষ্টিয়ার আব্দালপুর ইউনিয়ন পরিক্রমা 

কৃষি সমৃদ্ধ সবজী আবাদের এলাকা কুষ্টিয়ার আব্দালপুরকুষ্টিয়া সদর উপজেলার আব্দালপুর ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, সবজীর চাষের বিস্তৃর্ণ মাঠ। ওই এলাকায় মাঠ ছাড়াও রাস্তার ধারে আবাদ করা হচ্ছে সিমসহ বিভিন্ন সবজীর। জিকে ক্যানেলের দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার এলাকায় ক্যানেলের উপর বাঁশ, কাঠ ও কঞ্চি দিয়ে তার টানিয়ে সমি, বরবটি, লাউ ও ঝিঙের আবাদ করা হচ্ছে। এ আবাদে চাষীরা ব্যাপক সফলতা লাভ করেছে।
সবজী আব্দুল গণি জানায়,তিনি ৫ বিঘা জমিতে সিমের চাষ করেছেন। একই সাথে সিমের আইলে সাথী ফসল হিসাবে লাল শাক, পুই, বরবটি ও লাউ এবং মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করেছেন। সিমের জমিতে সাথী ফসল আবাদ করে ভালো লাভবান হয়েছেন। এছাড়াও সীম বিক্রির শুরুতেই তিনি ৭০-৮০ টাকা দরে সিম বিক্রি করে ভালো টাকা কামাই করেছেন। তিনি সীমের আবাদ শেষ করেই ওই জমিতে ধান আবাদ করবেন বলে জানায়।
এ অঞ্চলের মাঠে মাচান পদ্ধতিতে সবজী চাষ বেড়েছে। একই জমিতে সিম,চিচিঙ্গা, লাউ, বরবটি, কপির আবাদ হয়েছে। সেই সাথে বেগুন চাষ বাড়লেও সার এবং কীটনাশকের মুল্য বৃদ্ধি হওয়ায় চাষীরা সবজী চাষে হিমসিম খাচ্ছে।
জনপ্রিয়হারে সবজী চাষ বাড়লেও কৃষি উপকরনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সব্জী চাষে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে জেলার উৎপাদিত সবজী স্থানীয় বাজার থেকে কিনে জেলার চাহিদা মিটিয়ে তা জেলার বাইরে পাঠাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। মৌসুমের শুরু হওয়ায় এখন সবজীর দাম বেশি বলে ব্যবসায়ীরা জানায়।
এ জেলার প্রান্তিক

চাষীদের সবজী চাষের উপকরণের দাম কমালে এখানে দ্বিগুন বাড়বে সবজী চাষ। কুষ্টিয়ার উৎপাদিত সবজী জেলার চাহিদাপূরণ করে বাইরে পাঠানো সম্ভব হবে বলে চাষীরা মন্তব্য করেন।



কুষ্টিয়া জেলার বৃহৎ কলার বাজার মধুপুর ভোর হলেই বিভিন্ন জাতের কলা নিয়ে মানুষ ছুটে আসে মধুপুর বাজারে। কেউবা ভ্যান ভর্তি করে, কেউবা সাইকেলের দু’পাশে বেঁধে, কেউবা ট্রলি ভর্তিসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে কলা বিক্রির জন্য আসে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আব্দালপুর ইউনিয়নের মধুপুর বাজারে। এ বাজারটি জেলার ইবি থানার শেষ সীমানায় হওয়ায় এ বাজারে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার কলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার কলা চাষীরাও এ বাজারে কলা নিয়ে আসেন। নির্দিষ্ট দিন ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই কলা বেচাকেনা হয় এখানে। কলার বাজারটি প্রসিদ্ধ হওয়ায় দিনের পর দিন এর বিস্তৃত বেড়েই চলেছে। কিন্তু জায়গার অভাবে বাজারের রাস্তার দুধারেও বেচাকেনা করা হয়। এ বাজারের জনপ্রিয়তার কারণে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানের কলা ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন কলা কেনার জন্য। যে যার মত চাহিদা অনুযায়ী কলা কিনে নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা। ট্রাক ভর্তি করে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় বড় শহরে পাঠানো হয় এ এলাকার কলা। কুষ্টিয়াসহ এ এলাকার উন্নত কলা ও সুস্বাদের কারণে এ অঞ্চলের কলার চাহিদা সব সময়। এ কারণে এ অঞ্চলে কলার আবাদও বৃদ্ধি পেয়েছে।


পানের সমৃদ্ধ বাজার লক্ষীপুর
কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ প্রধান সড়কের পাশে দীর্ঘ দিনের পানের সমৃদ্ধ বাজার লীপুর। জেলার পান চাষীরা সপ্তাহের দু’দিন এ হাটে পান বিক্রির জন্য আসে। উন্নত পানের জন্য খ্যাত কুষ্টিয়া জেলার সাচি পানসহ বিভিন্ন জাতের পান উৎপন্ন হওয়ায় বাইরে রাষ্ট্রেও পাঠানো হয় এ এলাকার পান। দেশের বড় বড় পান ব্যবসায়ীরা এ বাজারে এসে পাইকারী পান কিনে নিয়ে যায়। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বাইরে রপ্তানী হয় এ অঞ্চলের পান। পানের বাজারে হিসাবে খ্যাত লীপুর বাজারের সুনাম সারা দেশে থাকলেও এ হাটের তেমন উন্নয়ন হয়নি। হাটের দিন জায়গার অভাবে রাস্তার উপর বেচাকেনা হওয়ায় প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে।



কবরস্থান

১। আব্দালপুর মিলপাড়া কবরস্থান
২। আব্দালপুর বাজার কবরস্থান
৩। দর্গাপাড়া কবরস্থান
৪। পান্থাপাড়া কবরস্থান
৫। দেড়ীপাড়া কবরস্থান
৬। পিয়ারপুর কবরস্থান
৭। বিষ্ণুদিয়া কবরস্থান
৮। লীপুর কবরস্থান
৯। মধুপুর কবরস্থান
মন্দির
১। আব্দালপুর বাজারপাড়া মন্দির
২। দেড়ীপাড়া বাজার মন্দির
৩। বিষ্ণুদিয়া মন্দির

Avãvjcyi BDwbq‡bi Kg©Pvixe…›`
1| ‡gv¯—dv nvwjg wmwÏKx, BDwc, mwPe
2| ‡gvt AvwkKyj Lvb, cwiPvjK, BDwbqb Z_¨ I ‡mev ‡K›`«
3| ‡gvQvt mvbwR`v LvZyb, cwiPvjK, BDwbqb Z_¨ I ‡mev ‡K›`«
4| k«x Kgj P›`« miKvi, `dv`vi
an>
5| k«x wegj `vm, gnj­v`vi
6| k«x mwPb P›`« `vm, gnj­v`vi
7| k«x ‡Mvcvj P›`« `vm, gnj­v`vi
8| k«x j¶b P›`« `vm, gnj­v`vi
9| k«x k¨vgj P›`« `vm, gnj­v`vi
10| k«x wPË P›`« `vm, gnj­v`vi
11| k«x wbg©j P›`« `vm, gnj­v`vi
12| ‡gvt wR›`vi Avjx, gnj­v`vi



এক নজরে আব্দালপুর ইউনিয়ন
ক)আয়তন ২৫.১০ বর্গ কিঃ মিঃ
খ)স্থাপন কাল:১৯৬১ খ্রী:
ঘ) যোগাযোগ সড়ক পথ। কুষ্টিয়া সদর থেকে ২৩ কি:মি:
ঙ)লোকসংখ্যা :২৭,৭৩৭, পুরম্নষ -১৪০৪৮জন এবং মহিলা-১৩৬৮৯জন।
(২০১১ সাল অনুযায়ী)।
চ)

ভোটর সংখ্যা:১৯,২০৭ জন।
ছ) গ্রামের সংখ্যা :১২ টি
জ)মৌজার সংখ্যা:০৯ টি
ঝ)হাট-বাজার:০৪ টি
ঞ)খোয়ার: নাই
ঠ)শিার হার :৫৫.৮২%
ড)স্যানিটেশন : ৯৮%
ঢ) জন্ম নিবন্ধন :৬৫%
ণ) জমির পরিমান: মোট ৭৮.৬৩৭ একর। এক-ফসলী - ৫.৮০০ একর। দো-ফসলী - ৩৮.৪০০ একর। তিন ফসলী - ১১.৩৪০ একর। পতিত - ২১২ একর।
ত) মসজিদ : ৩৫ টি
থ) মন্দির : ০২ টি
দ) ঐতিহসিক স্থান : পিয়ারপুর বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর স্থান।
ধ) ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব : ৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
ন) ব্রীজ: ১৯ টি
প) কালভার্ট:৫২ টি
ফ) খেলার মাঠ:০৪ টি
চেয়ারম্যান মেম্বরদের মোবাইল
শেখ মোঃ আরব আলী- ০১৭২৭৪৩০২৬০
সদস্য-আঃ হালিম মোলস্না-০১৭১৪৮২১৩৫৩
সদস্যা মোছাঃ মুসলিমা খাতুন-০১৭৫০৯৮৭৬৪৮
সদস্য মামুন অর রশিদ-০১১৯৬১১৬৪৬১
সদস্যা-মোছাঃ ফারজানা খাতুন ০১৭৫৫৪২০৪০৭
সদস্য মোঃ উম্মত আলী ০১৭১৫৯৩৮৮৮১
সদস্যা মোছাঃ সেলিনা খাতুন ০১৭৫১৪৫৫৬৩৮
সদস্য মোঃ শরিফুল ০১৯৩৩১৮৯৪৬৬
সদস্য মোঃ তাইজুল হক ০১৭৩৪৭১৭৩৫২
সদস্য- মোঃ হাসান আলী ০১৭২৮০৭৬২৫১
সদস্য মোঃ লুৎফর রহমান ০১৯৪২২৬৪৬৯৫
সদস্য গোলাম সরোয়ার ০১৯২৪২২০৪৫৩
সদস্য মোঃ সেলিম হোসেন ০১৭৪৫৫৭২৫২৫
সচিব মোসত্মফা হালিম ০১৭১৬৮৩৯৮৪০
উদ্দ্যোক্তা মোঃ আশিকুল খান ০১৭২৩৪৪৬৮৯৮
উদ্দ্যোক্তা মোছাঃ সানজিদা


সাবেক চেয়ারম্যানদের তালিকা
০১ আঃ ওয়াহেদ খান-চেয়ারম্যান চরপাড়া ১৯৬১
০২মোঃ ইচাহক মাষ্টারচেয়ারম্যান পঃ আব্দালপুর
০৩মোঃ খোদাদাদ হোসেনচেয়ারম্যানমধুপুর
০৪ হাসান আলী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেড়ীপাড়া
০৫ মোঃ লিয়াকত আলী,চেয়ারম্যান, পিয়ারপুর
০৬ মোঃ মোকাদ্দেস আলী, চেয়ারম্যান, সুগ্রীবপুর
০৭ মোঃ ইচাহক মাষ্টার চেয়ারম্যান, পঃ আব্দালপুর
০৮ মোঃ মোকাদ্দেস আলী, চেয়ারম্যান, সুগ্রীবপুর
০৯ মোঃ আজিজুর রহমান চেয়ারম্যান,লীপুর ১৯৯৩-১৯৯৮
১০ মোঃ আঃ রশিদ, চেয়ারম্যান পান্থাপাড়া-১৯৯৮-২০০৩
১১ মোঃ লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান পিয়ারপুর ২০০৩-২০১১
১২ শেখ মোঃ আরব আলী, চেয়ারম্যান বিষ্ণুদিয়া-১৬-০১-২০১১ থেকে বর্তমান



আব্দালপুর ইউনিয়ন সমাজ সেবা পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় সুদমুক্ত ঋণ প্রদান।
পল্লী এলাকার দুঃস্থ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী
ইউনিয়ন সমাজকর্মী,কারিগরী প্রশিক
এসিডদগ্ধ মহিলা ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পূনর্বাসন কার্যক্রম।
এসিডদগ্ধ মহিলা ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি
ইউনিয়ন সমাজকর্মী,কারিগরী প্রশিক
আর্থ-সামাজিক ও দতা উন্নয়ণ প্রশিণ।
ইউনিয়ন সমাজকর্মী,কারিগরী প্রশিক
আশ্রয়ণ/ আবাসন কার্যক্রম।
নির্ধারিত আশ্রয়ণ/আবাসন কেন্দ্র
নির্ধারিত আশ্রয়ণ/আবাসন কেন্দ্রের সমিতির সদস্য
ইউনিয়ন সমাজকর্মী,কারিগরী প্রশিক
বয়স্ক ভাতা।
৬৫ বৎসর ও তদুর্ধ দুঃস্থ এবং অসচ্ছল পুরুষ ও মহিলা
৩ মাস পরপর
অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা।
৩০ বৎসরের উর্ধে সকল ধরনের অসচ্ছল প্রতিবন্ধী পুরুষ ও মহিলা
৩ মাস পরপর
প্রতিবন্ধীদের পরিচয়পত্র প্রদান।
সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি
প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের শিা উপবৃত্তি।
উপজেলা সমাজসেবা অফিস
বিদ্যালয়ে অধ্যয়ণরত সকল স্তরের প্রতিবন্ধী শিার্থী
ইউনিয়ন সমাজকর্মী,কারিগরী প্রশিক
মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা কার্যক্রম।
অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার
বেসরকারী (এতিম প্রতিপালন) এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট প্রদান।
বেসরকারী এতিমখানায় ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী পিতৃহীন বা পিতৃ-মাতৃহীন দরিদ্র শিশুর শতকরা ৫০ ভাগ শিশু
স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ সংস্থা নিবন্ধন ও তত্ত্বাবধান।
স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণমূলক কার্যক্রমে
আগ্রহী সংগঠন,প্রতিষ্ঠান,
কাব,সংস্থা,সমিতি ইত্যাদি
চলমান কার্যক্রম
কৃষি তথ্য সার্ভিস
কৃষি তথ্য সার্ভিসের নাম
১ মাসিক কৃষি কথা পত্রিকা সরবরাহ
২আপোদকালীন কৃষি বিষয়ক সমস্যাদির তাৎনিক করনীয় সম্পর্কে নির্দেশনা
৩ বিভিন্ন কৃষি বিষয়ক বুলেটিন প্রচার
৪রেডিও ও টিভিতে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন প্রজ্ঞাপন প্রচার


আব্দালপুর ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহঃ
১। সুগ্রীবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
২। মধুপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৩। চরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৪। বিষ্ণুদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৫। দেড়ীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৬। মাহাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৭। লীপুর দায়খালীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৮। আব্দালপুর প্রাথমিক সরকারী বিদ্যালয়

রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহঃ
১। আব্দালপুর রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়
২। রাজাপুর রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়
৩। সুগ্রীবপুর রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়
৪। পিয়ারপুর রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়
৫। পান্থাপাড়া রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়
মাদ্রাসা
অত্র ইউপিতে ০২ টি মাদ্রসা অবস্থিত
১। বিষ্ণুদিয়া
২। মধুপুর

অত্র ইউপিতে ৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবস্থিত
১। মধুপুর হোদিরন নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
শিক কর্মকর্তাবৃন্দের তালিকা
ক্রঃনং
১ মোঃ লুৎফর রহমান, প্রধান শিক, বি,কম,বি,এড
২ শাহ মোঃ আঃ মান্নান- সহঃ প্রধান শিক
৩ মোঃ বশির উদ্দিন,সিনিয়র শিক
৪ মোঃ রেজাউল করিম সিনিয়র শিক
৫এস এম শহিদুজ্জামান সিনিয়র শিক
৬ মোঃ বজলুর রহমান মাওলানা শিক
৭ আবুল কালাম আজাদ
৮ মোঃ গোলাম ফারুক
৯ মোঃ নবীস উদ্দিন
১০ মোঃ হেলাল উদ্দিন
১১ মোঃ মনজের আলী
১২ মোঃ মনিরুজ্জামান, সহকারী শিক
১৩ মোছাঃ রাজিয়া সিদ্দিকা, সহ শিকিা বি,এসসি, বি,এড
১৪ কাজী মাসুদুর রহমান, ক্রীড়া শিক,এম এ বি পি এড
১৫ মোঃ একরামুল হোসেন-কম্পিউটার শিা, এম এ
১৬ মোছাঃ মাহাফুজা বেগম-সহ শিকিা বি,এসসি, বি,এস
১৭. মোঃ মুহাসীন আলী, অফিস সহকারী, আই কম
১৮ মোঃ নজরুল ইসলাম, দপ্তরী

২। লীপুর হাসান বাগ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়
শিক কর্মকর্তাবৃন্দের তালিকা
১ মোঃ শামসুল আলম
২ মোঃ মতিউর রহমান
৩ মোঃ রুহুল আমীন
৪ মোচাঃ আকলিমা খাতুন
৫ মোছাঃ পারুলা খাতুন
৬ মোঃ রফিকুল ইসলাম
৭ মোঃ কারুন হোসেন
৮ মোঃ খাইরুল ইসলাম
৯ মোছাঃ নাহিদা খাতুন
১০ মোছাঃ রিনা খাতুন
১১ মোঃ আলাউদ্দিন
১২ মোঃ খোকন উদ্দিন
১৩ মোছাঃবুলুয়া খাতুন
১৪ মোঃ শহিদুল ইসলাম
৩। পিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
৪। পশ্চিম আব্দালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়




কুষ্টিয়ার মজমপুর ইউনিয়ন পরিক্রমা 

মজমপুর ইউনিয়নের গুণীজন

সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন
দেশ মাটি ও মানুষের কল্যাণের 
 জন্য যিনি সংগ্রাম করে চলেছেন মাঠে ময়দানে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের
আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রার জন্য যিনি এখন কুষ্টিয়াসহ রাজপথ কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি হলেন কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সমাজসেবক ও শিাবিদ আলহাজ্ব অদ্য সোহরাব উদ্দিন। তার জন্ম ১৯৫৩ সালের ১ জানুয়ারী। তার পিতা মরহুম আলহাজ্ব মহম্মদ আলী বিশ্বাস। বাড়ী কুষ্টিয়া শহরের পশ্চিম মজমপুর। সোহরাব উদ্দিন ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ-বিজ্ঞানে মাষ্টার্স করেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার পর ১৯৭১ সালে ভারতের বিহারের চাকুলিয়াতে ট্রেনিং গ্রহণ করেন এবং ৮ নং সেক্টরের অধীনে বীরত্বের সাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে ডাকসু নির্বাচনে ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক পরে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৯০’র গণ-অভ্যুন্থানের স্বৈরাচার এরশাদ হটাও আন্দোলনে কারাভোগ করেন। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কুষ্টিয়া-৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১/১১ দেশ রার আন্দোলন ও মতাসীন আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে কেয়ারটেকার সরকারের দাবীতে তুমূল আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
তিনি গড়াই মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক অধ্য। কুষ্টিয়া কাব উন্নয়ন সমিতির আহবায়ক, ঐতিহ্যবাহী কুষ্টিয়া জিমনাষ্টিক কাবের সভাপতি, পিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। তিনি বিশিষ্ট লেখকও। তার ুরধার লেখনী স্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়। তিনি কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক বজ্রপাতের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি। তিনি দেশপ্রেম ও দেশপ্রেমের ছন্দপতন বইসহ কয়েকটি বই লিখেছেন। তার লিখিত বই সুধী সমাজের নিকট ব্যাপক গ্রহণ যোগ্যতা ও আলোড়নের সৃষ্টি করেছে।






সাংবাদিক আব্দুর রশীদ চৌধুরী
প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুর রশীদ চৌধুরী। যার সংস্পর্শে অনেক সাংবাদিক আজ ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার স্বনামধন্য সাংবাদিক হিসাবে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। সুখ্যাতির মাধ্যমে কুষ্টিয়ার মুখকে উজ্জ্বল করেছেন। অনেকেই মনে করেন এটা হয়েছে কুষ্টিয়ার প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুর রশীদ চৌধুরীর ছোয়ার কারণে। কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত প্রথম দৈনিক বাংলাদেশবার্তার সম্পাদক, সাপ্তাহিক জাগরণী, ইংরেজী সাপ্তাহিক রিভিউ এর সম্পাদক তিনি। বিটিভির জেলা সংবাদদাতা, দৈনিক সংবাদের জেলা বার্তা পরিবেশক হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রবীণ এই সাংবাদিক তার অমায়িক ব্যবহার, দলমত নির্বিশেষে সাংবাদিকতার প্রতিফলনের কারণে সকলের কাছে শ্রদ্ধাশীল ও জনপ্রিয় ব্যক্তি। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছে। আব্দুর রশীদ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৬ নভেম্বর কুষ্টিয়ার মজমপুর ইউনিয়নে স্বনামধন্য চৌধুরী পরিবারে।



কবি রোকেয়া রহমান
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় গল্প কবিতা লিখে যিনি তাক লাগিয়ে ছিলেন তিনি হলেন কবি রোকেয়া রহমান। তিনি ১৯৫৩ সালের ২৩ অক্টোবর কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি সিটি কলেজে অধ্যাপনা করতেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থ ঃ একটি বার ছুঁয়ে দেখি, অনন্ত সূর্যের আলো, ভালোবাসা মৌনভূমি, হিয়ার তলে। এই কবি ২০০১ সালের ১১ জুলাই সড়ক দূর্ঘনায় নিহত হন।

প্রবীণ সাংবাদিক ওয়ালিউল বারী চৌধুরী
বংশগতভাবে যারা সাংবাদিকতার সাথে আছেন। যে পত্রিকার বদৌলতেই অনেকের সাংবাদিকতার হাতে খড়ি। যে পত্রিকার মাধ্যমেই বিভিন্ন সময়ে বেরিয়ে এসেছে অনেক প্রতিভাবান সাংবাদিক। যারা জাতীয় ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় অনেক প্রতিভার স্বার রেখে চলেছে। আর ওই পত্রিকাটি হল কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত অনেক পুরাতন পত্রিকা তার নাম সাপ্তাহিক ইস্পাত। এ পত্রিকাটির যিনি সম্পাদক তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন কলম সৈনিক আলহাজ্ব ওয়ালিউল বারী চৌধুরী। তিনি কুষ্টিয়ার প্রবীণ ও নির্ভিক সাংবাদিক হিসাবে পরিচিত। এই পত্রিকাটি শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। এখনও নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে পত্রিকাটি।

গোলাম রহমান
জন্ম ঃ ১৯১১ কুষ্টিয়া শহরতলী মোল্লা তেঘরিয়া গ্রামে। মৃত্যু ঃ ১৯৭৮ সালের ২২ শে জুন।১৯২৯/৩০ সালে তিনি লালন অনুসারী ফকিরদের একত্র করে লালন মাজার কমিটি গঠন করেন। গোলাম রহমান ও বাবু দেবী প্রসন্ন চক্রবর্তীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় তৎকালীন সরকারের মাত্র ১৫ হাজার টাকা অনুদান নিয়ে নিজাম উদ্দীন আউলিয়ার (রঃ) মাজার অনুকরণে বর্তমানের মাজারটি তৈরি হয়েছিল। তিনি মৃত্যু ৭ দিন পূর্বে প্রবীণ বাউল ফকিরদের ডেকে মাজারের সমস্ত জমি জমার কাগজ পত্র দান করে গেছেন। অন্নদা শংকর রায় তার ‘লালন ও তার গান পুস্তকে গোলাম রহমান সাহেবের চিঠিই ভূমিকা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

চৌধুরী কওসের উদ্দিন আহম্মদ -
চৌধুরী কওসের উদ্দিন আহম্মদ ১৮৭০ সালে মজমপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি প্রথম ১৯০৩ সালে মজমপুর গেটে সুরকী ও টালী ফ্যাক্টরী এবং খান্দেশ্বরী চিনির কল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি পুলিশ বিভাগে চাকুরী থেকে অবসরের পর জনসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। তিনি প্রায় ২০ বছর মজমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি অনেক সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।
১৯৬৯ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর তিনি পরলোক গমন করেন।

কৃর্তি পুরুষ ফজলুল বারী চৌধুরী –
বিশিষ্ট সমাজ সেবী, আইনজীবী, অনারারী ম্যাজিষ্ট্রেট, মজমপুর ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান তিরিশোত্তর কালের কল্লোল সাহাত্য গোষ্ঠির সাথে বিশেষ ভাবে যুক্ত ছিলেন। এই স্বল্পভাষী ভদ্রলোক বলিষ্ট ব্যাক্তিত্বের অধিকারী এবং অত্যন্ত সুদর্শন পুরুষ ছিলেন। তিনি ১৯০৩ সালে মজমপুরে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১৯৭৩ সালে ইন্তিকাল করেন।

কবি বিলু কবির
আধুনিক কবি হিসাবে খ্যাত বিলু কবির। তিনি দেশের প্রতিষ্ঠিত লেখকদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ১৯৬১ সালের ৪ এপ্রিল কুষ্টিয়ার চৌড়হাস গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার প্রকাশিত অনেক গ্রন্থ রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঃ বাংলাদেশের জেলা নামকরনের ইতিহাস, তাহাদের কথা, ছোটদের মাদার তেরেসা, কুমুদনাথ মল্লিক এর নদীয়া কাহিনী, হাটুরে কবিতায় বাংলার সমাজ, একাত্তরের জঙ্গঁনামা, মা কলম কলা, আয় বাবা দেখে যা প্রভৃতি।


কুষ্টিয়া রাইফেল কাব
১. কাবের নামঃ কুষ্টিয়া রাইফেল কাব।
২. ঠিকানাঃ কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ সড়ক, চৌরহাঁস,কুষ্টিায়া।
৩. কাব প্রতিষ্ঠার সনঃ ১২/০১/১৯৬৬খ্রিঃ
৪. কত বৎসর মেয়াদী কার্যকরী পরিষদঃ ৪ বৎসর মেয়াদী।
৫. সর্বশেষ কার্যনিবাহী পরিষদের র্নিবাচনের তারিখঃ ১৮/০৮/২০১৩খ্রিঃ।
৬. কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখঃ ৩০/০৬/২০১৭খ্রিঃ।
৭. সর্বশেষ সাধারন সভার তারিখঃ৩০/১২/২০১১খ্রিঃ।
৮.কাবের সম্পত্তিঃ ২.৬৭৫০ একর(নিজস্ব)
৯.কাবের শ্যূটিনং রেঞ্জঃ ৫০ মিটার,২৫ মিটার ও ১০মিটার ইনডোর শ্যূটিং রেঞ্জ আছে।
১০.শ্যূটিং অনুশীলনঃ শুক্রবার ব্যতীত সপ্তাহের প্রতিদিন অত্র রাইফেল কাবে শ্যূটিং অনুশীলন হয়।
অনুশীলনে উর্ত্তীন দ শ্যূটারদের জাতীয় পর্যায়ে ১৭৭বোটম্যান এয়ার রাইফেল, এয়ার পিস্তল,২২ বোর ষ্টান্ডার্ড রাইফেল, ফ্রি রাইফেল, ২২ বোর ষ্টান্ডাড পিস্তল ও ৫০ মিটার পিস্তলের প্রশিন দেওয়া হয়। প্রশিনের জন্য ব্যবহিত গুলি ও টার্গেট পেপার কাব হইতে বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হয়।
১১. কাবের সদস্য সংখ্যাঃ ৩৪০ জন। তস্মধ্যে শ্যূটার সদস্য ৩৮ জন।
১২. কুষ্টিয়া রাইফেল কাব জাতীয় শ্যূটিং ফেডারেশন বাংলাদেশের একটি ‘এ’ গ্রেডের কাব।
১৩. কাবের নিজস্ব গঠনতন্ত্র আছে ।
১৪. র্নিবাচিত কমিটি কত্তৃক পরিচালিত কিনাঃ ১৯৭৭খ্রিঃ হইতে র্নিবাচিত কমিটি কত্তৃক পরিচালিত হইতেছে।

এক নজরে মজমপুর
১। আয়তন ১২.৭২ বর্গ কিঃ মিঃ
২। স্থাপন কাল ১৯২৫ সাল (আনুমানিক)
৩। সীমানা ঃ পূর্বে জিয়ারখী ইউ, পি।
পশ্চিমে জগতি ইউ, পি।
উত্তরে বারখাদা ইউ, পি ও পৌরসভা।
দেিণ আলামপুর ইউ, পি।
৪। যোগাযোগ ব্যবস্থা
সড়ক পথ।
৫। লোক সংখ্যা + মোট ৪৫৫২৫ জন।
পুরুষ ২৫১৭৬ জন,মহিলা ২০৩৭৬ জন।
৬। ভোটার সংখ্যা
মোট ১১৩৮৭ জন।
পুরুষ ২৫১৭৬ জন।
মহিলা ১০৯১৫ জন।
৭। গ্রামের সংখ্যা
১৩ টি
৮। মৌজা সংখ্যা ৯ টি।
৯। খোয়াড়
২ টি (২ এবং ৬ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত)
১০। শিা প্রতিষ্ঠান
প্রাথঃ বিদ্যাঃ (সরঃ) ৭ টি।
প্রাথঃ বিদ্যাঃ (বে-সরঃ) ১ টি।
কিন্ডার গার্টেন ১ টি।
মাদ্রাসাঃদাখিল ১ টি।
কওমী ১ টি।
এবতেদায়ী ১০ টি।
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ টি।
কলেজ ১ টি।
মসজিদ ২৪ টি।
১১।শিার হার৬৮% ভাগ।
১২।নলকুপের সংখ্যাগভীর ৮ টি।
অগভীর (স্যালো) ২৮ টি।
১৩।স্যানিটেশন ল্যাট্টিন
স্বাস্থ্য সম্মত ৩৫৬৪ টি
অগ্রগতি ১০০%
নতুন বসতী এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া ল্যাট্টিন ৪৮৩ জনকে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
১৪।জমির পরিমাণ
মোট ২১৮৮ একর।
এক ফসলী ১৬১ একর।
দ ফসলী ৭১৭ একর।
ভিন্ন ফসলী ১৩৯০ একর।
পতিত ৪৮ একর।
১৫।ঐতিহাসিক স্থান
উদিবাড়ী মনসুর শাহ মাজার। মোল্লাতেঘরিয়া ফকির আতর আলী শাহ্ এর মাজার।



ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলী
*বাধ্যতামূলক কার্যাবলী
* আইন-শৃংখলা রা করা এবং এ- বিষয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করা;
* অপরাধ, বিশৃংখলা এবং চোরাচালান দমনার্থে বিভিন্ন পদপে গ্রহণ কর;
* কৃষি, বৃ রোপন, মৎস ও পশু পালন, স্বাস্থ্য, কুটির শিল্প, সেচ যোগাযোগ;
* পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের প্রসার ঘটানো;
* স্থানীয় সম্পদের উন্নয়ন ঘটানো। এবং তার ব্যবহার নিশ্চিত করা;
* জনগনের সম্পত্তি যথা- রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ট, বাঁধ, খাল, টেলিফোন, বিদ্যুৎ ইত্যাদি
সংরন করা;
* ইউনিয়ন পর্যায়ে অন্যান্য সংস্থার উন্নয়ন কার্যবলী পর্যলোচনা করা এবং প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এ বিষয়ে সুপারিশ করা।
* স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহারে জনগনকে উৎসাহ প্রদান করা;
* জন্ম- মৃত্যু, অন্ধ, ভিুক ও দুঃস্থদের নিবন্ধন করা;
* সব ধরনের শুমারী পরিচালনা করা।
পরিষদবর্গের তালিকা- মোবাইল 
মোঃ আব্দুল মালেক
কুষ্টিয়া মজমপুর সচিব
৩নং মজমপুর ইউনিয়ন পরিষদ কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া।
মোবাইলঃ ০১৭৪৫০৩২৩৯১
সদস্য/সদস্যাগণদের তালিকা
বেলাল আহমেদ, সদস্য, পশ্চিমমজমপুর ০১৭১১-৫৭৮৮৫৪, ০১৯২০-৯৮৩২২৮
রবিউল ইসলাম, ঐ উদিবাড়ী, ০১৭৩১-৪৩৫২০৯
মোঃ আসাদুর রহমান ঐ পূবর্মজমপুর, ০১৭১৯-৫৭২২৯২
মোঃ আঃ মান্নান, চৌড়হাস, ০১৭১৮-৪৫৫৪০০
মোঃ সাইফুল ইসলাম বকুল, চৌড়হাস কলোনী, ০১৮৪০-৮৯২৪৭৫
মোঃ আব্দুর রহিম, হররা, ০১৭১৯-৬২৫৩৯৩
মোঃ আবু মাসুদ মন্টু, লাহিনী, ০১৭১৪-৬৭৩৯০৪
মোঃ আয়ুব আলী, লাহিনী, ০১৭২৮-২৫৮৭৭৯
মোঃ বশিরুল আলম সাদবার, নগরমহম্মদপুর,০১৭২২-৮৭৫৫৭৩
রশিদা খানম ডলি(১,২,৩)নং ওযার্ড, সদস্যা ০১৭২৪-১৩৬৪৬৫
আসমা সুলতানা ডলি(৪,৫,৬)নং ওয়ার্ড, (৪,৫,৬)নং ওয়ার্ড ০১৭২০-৩৩০৪১১
মনোয়ারা বেগম (৭,৮,৯)নং ওয়াড, (৭,৮,৯)নং ওয়ার্ড, ০১৭৪৫-৫৭২৫৭৯
গ্রামপুলিশের মোবাইল নম্বর
১। মোঃ ওলিয়ার রহমান। দফাদার লাহিনী, ০১৭৫০৭১৯৬৪২ ৭-৮
২। মোঃ খায়রুল ইসলাম। দফাদার, চকরাজাপুর, ০১৯১৩৫৭৬৪৯৬- ৯
৩। মোঃ মন্টু। গ্রামপুলিশ হররা, মেটন-০১৮২৪৩৭৭০৬৫
৪। মোঃ আকতারুল ইসলাম। গ্রামপুলিশ, লাহিনী, ০১৭৩৪৬৬২৪৮৮, ৭-৮
৫। মোঃ শেলিউর রহমান। গ্রামপুলিশ পশ্চিম মজমপুর-০১৭৪৪৩০৬৫০৮
৬। মোঃ ফজলুল হক। গ্রামপুলিশ পূর্ব মজমপুর-০১৭৫৭৪০০৭২১
৭। মোঃ সাইদুর রহমান। গ্রামপুলিশ চৌড়হাস-০১৭৩৪৭২৭৬৬৫
৮। মোছাঃ স্মৃতি খাতুন। গ্রামপুলিশ জগন্নাথপুর-০১৭৪৭৮০৩৩৭২
৯। মোছাঃ পারভিন। গ্রামপুলিশ চৌড়হাস-০১৭৪৬২০৩৪২৮
১০। মোঃ আব্দুল জব্বার। গ্রামপুলিশ মোল্লাতেঘরিয়া-০১৯২৩৮২৮৮৩৫


৬ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার তথ্য
মোঃ সাইফুল্লাহ/কৃষি ডিপ্লোমা
মোবাইলঃ ০১৭২৯৫৮৫৭৮৭
মোঃ আব্দুল কুদ্দুস/কৃষি ডিপ্লোমা
মোবাইলঃ ০১৭৪০৬২৭৪৩০
মোছাঃ শাহিদা পারভীন/কৃষি ডিপ্লোমা
মোবাইলঃ ০১৯১২০১৬৯৮৮

মজমপুর ভূমি অফিস
স্থানঃ ৩নং মজমপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্য্যালয়
মোল্লাতেঘরিয়া, কুষ্টিয়া।

ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা
নামঃ মোঃ মতলেব হোসেন
শিাগত যোগ্যতাঃ বি,এ
মোবাইলঃ
ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা
নামঃ সুধাংশ
শিাগত যোগ্যতাঃ এইচ, এস, সি
মোবাইলঃ ০১৭১৪৯৪৮৮৩১

ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত এম এল এস পদে
নামঃ মোঃ আনসার আলী
শিাগত যোগ্যতাঃ এস এস সি
মোবাইলঃ ০১৯১৯২৪২৫২৮

নামঃ মানিক আলী
শিাগত যোগ্যতাঃ এস এস সি
মোবাইলঃ ০১৭১৮৮৯৭৪৮১
গ্রাম ভিত্তিক লোকসংখ্যা
৩নং মজমপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম ভিত্তিক লোক সংখ্যা

পশ্চিম মজমপুর-১-নারী ১২৪১, পুরুষ - ১৪৩৩, মোট- ২৬৭৪
উদিবাড়ী-২, নারী-১০৪১, পুরুষ ১০৬৮, মোট- ২১০৯
পূর্ব মজমপুর-৩ , নারী- ১৫০১, পুরুষ ১৭৫২, মোট- ৩২৫৩
চৌড়হাস-৪, নারী-১৬৮৫, পুরুষ ১৮০৬, মোট- ৩৪৯১
চৌড়হাস-৫ নারী-১৬৫০, পুরুষ ১৭৩১, মোট- ৩৩৮১
মোল্লাতেঘরিয়া-৬ নারী-১২৪২, পুরুষ ১৩০১, মোট- ২৫৪৩
হররা-৬ নারী-১০১১, পুরুষ ২০১৮, মোট- ৪০২৯
মেটন-৬ নারী-২৩১, পুরুষ ২২৭, মোট- ৪৫৮
লাহিনী-৭ নারী-৭৫৩, পুরুষ ৭২৯, মোট- ১৪৮২
লাহিনী-৮ নারী-১০৯৭, পুরুষ ১১৪৫, মোট- ২২৪২
নগর মহম্মদপুর-৯ নারী-৫৩৭, পুরুষ ৫৫৬, মোট- ১০৯৩
জগন্নাথপুর-৯ নারী-৩৪৬, পুরুষ ৩৬৮, মোট- ৭১৪
চকরাজাপুর-৯ নারী-১২৬, পুরুষ ১৫১, মোট- ২৭৭
নুরপুর-৯ নারী-১১১. পুরুষ ১৭৮, মোট- ৩৩৯
শিক্ষা ব্যবস্থা 
কুষ্টিয়া সিটি কলেজ কুষ্টিয়া।
৩নং মজমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডে ঢাক রোড সংলগ্ন মন্ডল ফিলিংস
এর পূর্ব দিকে অবস্থিত
লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ
১। উদিবাড়ী দায়রাপাক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
২। পূর্ব মজমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৩। চৌড়হাস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৪। মোল্লাতেঘরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৫। মেটন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৬। লাহিনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৭। জগন্নাথফুর প্রাথমিক বিদ্যালয়
মাদ্রাসা
১। হররা দাখিল মাদ্রাসা
২। এফতেদিয়ার মাদ্রাসা মোল্লাতেঘরিয়া।
৩। নুরানী মাদ্রাসা লাহিনী বটতলা।
৪। আয়েশা সিদ্দিকি মাদ্রাসা চৌড়হাস উপজেলা রোড।
বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ প্রকল্প।

১। আইনী সহয়তা প্রদান করা।
২। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের সমাধান করা।
৩। সালিশে সহয়তা করা।
৪। দেনমোহর ভরণপোষন আদায়ের ব্যাপারে সহায়তা করা।
৫। বাল্য বিবাহ বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৬। নির্যাতিত ও নির্যাতনকারীদের কাউসিলিং করা।
৭। মিমাংসাযোগ্য সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা।
৮। যৌতুক দিয়ে বিয়ে বন্ধ করা।
৯। পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ সচেতনতা বৃদ্ধি করা
১০। হিল্লা বিয়ে প্রতিরোধ করা।
১১। আইন বর্হিভূত বিয়ে প্রতিরোধ করা।
১২। বেআইনি তালাক প্রতিরোধ করা।
১৩। সরকারী আইনী সহায়তার বিষয়ে অবহিতকরণ।
১৪। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ স্ট্যান্ডিং সহায়তা করা।
১৫। জন্মনিবন্ধন করনে জনগনকে সচেতন করা।
১৬। ফতুয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতন সৃষ্টি করা।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ শারমিনা পারভীন
মোবাইল নং- ০১৭১০২৪১৬৯৯
ঠিকানাঃ মজমপুর ইউনিনয়ন কাউন্সিল, মোল্লাতেঘলিয়া ইউপি অফিস, কুষ্টিয়া।
পূর্ব মজমপুর জামে মসজিদ
ক্রমিক মসজিদের নাম অবস্থান
১। পশ্চিম মজমপুর জামে মসজিদ
২। বায়তুর জান্নাত জামে মসজিদ
৩। চৌড়হাস কলোনী জামে মসজিদ
৪। উদিবাড়ী জামে মসজিদ
৫। পূর্বমজমপুর জামে মসজিদ
৬। বায়তুল আমিন জামে মসজিদ
৭। পূর্ব মজমপুর দনিপাড়া জামে মসজিদ
৮। চৌড়হাস উপজেলা জামে মসজিদ
৯। চৌড়হাস ইন্দ্রাপাড়া জামে মসজিদ
১০। চৌড়হাস মোড় শাহী জামে মসজিদ
১১। চৌড়হাস প্রাইমারী স্কুল জামে মসজিদ
১২। চৌড়হাস কাষ্টম মোড় জামে মসজিদ
১৩। চৌড়হাস গোরস্থান জামে মসজিদ
১৪। চৌড়হাস কুটিপাড়া জামে মসজিদ
১৫। লাহিনী পূর্ব পাড়া জামে মসজিদ
১৬। লাহিনী মাদ্রাসা জামে মসজিদ
১৭। লাহিনী দ্বিতল জামে মসজিদ
১৮। লাহিনী পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ
১৯। লাহিনী পশ্চিম ক্যানালপাড়া জামে মসজিদ
২০। জগন্নাথপুর স্কুলপাড়া জামে মসজিদ
২১। নগর মহাম্মদপুর ফয়জুল এবাদ জামে মসজিদ
২২। হররা পুকুরপাড়া জামে মসজিদ
২৩। হররা কামাড়পাড়া জামে মসজিদ
২৪। বেলেমাঠ জামে মসজিদ
২৫। মেটন জামে মসজিদ
২৬। মোল্লাতেঘরিয়া জামে মসজিদ
২৭। মোল্লাতেঘরিয়া সদ্দারপাড়া জামে মসজিদ
২৮। মোল্লাতেঘরিয়া পূর্ব পাড়া জামে মসজিদ
২৯। চৌড়হাস পুকুরপাড়া জামে মসজিদ



কুষ্টিয়ার আধ্যাত্মিক সাধক মনসুর শাহ চিশতী
খালিদ হাসান সিপাহী
আধ্যাত্মিক সাধক চিশতীয়া নি
য়ামীয়া তরিকার পীর মনসুর শাহ চিশতী। ইলমে মারেফাতের জগতে তিনি উচ্চতর ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে তিনি দেশে বিদেশে ভক্ত অনুরাগীদের মাঝে এখনও বেঁচে আছেন। তার প্রায় লাধিক শীর্ষ রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিম বাংলাতে তার বহু শিষ্য রয়েছে। তার জন্ম ১৮৭১ সালে কুষ্টিয়ার মজমপুর ইউনিয়নের উদিবাড়ী গ্রামে। তার পিতার নাম-হাদি উদ্দিন। ১৯৮৭ সালে তার মৃত্যুর পর ১৯ শে পৌষ ওফাৎ দিবস ও ৩রা চৈত্র ২১ শে আশ্বিন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। দিবসগুলোতে উদিবাড়ী দায়রা পাক দরবার শরীফে আলোচনা সভা ও ওয়াজ মাহফীলের আয়োজন করা হয়। মাজারের খাদেম মেজবাউর রহমান জানান, অনুষ্ঠানে দেশ বিদেশ থেকে তার অনেক ভক্ত অনুরাগীরা সমবেত হয়। এছাড়াও তার মাজার দর্শনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মানুষের আগমন হয়। তবে মনসুর শাহের মাজার কেন্দ্রিক কোন ধরনের শিরক বিদআতী কার্যক্রম যেমন কবর সেজদাসহ কোন শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড হয় না। তার মৃত্যুর পর মনসুর শাহের সন্তান রুহুল আলম চিশতী গদিনশীন পীর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। মনসুর শাহের লিখিত ২১টি গ্রন্থ এলমে মারেফাতের অনন্য কিতাব হিসাবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। এর মধ্যে ছেররোল কোরআন, স্বর্গীয় প্রেম, তৌহিদে এলাহী, হাদিস পরিচয়, আশেকে রাসুল (সাঃ), নামাজ পরিচয়, নামাজের গুপ্ত পরিচয়, রতœমালা, মুক্তির আলো, রোজার পরিচয়, ইচিৎ বাণী বা খোদা প্রাপ্তির পথে, মারেফতের চাবুক, জ্ঞান সিন্ধু, দেওয়ান শরীফ, অন্ধের চুদান, সত্যের আলো, কর্ত্তব্য পালন, আমপারার কাব্যানুবাদ, শেজারায়ে তায়েবা, আল্লাহ প্রদত্ত কোরআন কৈ, নেয়ামতে খোদা, আসরার এলাহী, মনসুরের বানী, রদ্দে বদগুমান, হাক্কোল মোবিন উল্লেখযোগ্য।
মনসুর শাহের মাজার
কিভাবে যাওয়া যায়:
কুষ্টিয়া মজমপুর গেট হতে রিক্সা ভেন অটোরিক্সায় উদিবাড়ী গ্রামে শাহ্ সুফী মনছুর শাহ্ এর মাজারে আসা যায়।
অবস্থান:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উদিবাড়ী গ্রাম।






বিশিষ্ট লেখক ইতিহাসবিদ শ. ম. শওকত আলী
খালিদ হাসান সিপাই -

কুষ্টিয়ার মাটি ও মানুষের ইতিহাস লিখে যিনি ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন। দেশ বিদেশের কাছে কুষ্টিয়াকে পরিচিত করেছেন। যার কারণে কুষ্টিয়ার মানুষ গর্বিত তিনি হলেন বিশিষ্ট লেখক ইতিহাসবিদ শ,ম শওকত আলী। তার লিখিত গ্রন্থ বৃহত্তর কুষ্টিয়ার ইতিহাস ঐতিহ্য সন্ধানে এখনও গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা পালন করে চলেছে। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় কুষ্টিয়া শহরের একজন বিশেষ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সু-বক্তা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সারাজীবনে অসংখ্য প্রবন্ধ-নিবন্ধ এবং কবিতা লিখেছেন তিনি। যা তদানিন্তন সময়ে কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন এবং জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। শ. ম. শওকত আলীর জন্ম ১৯৩৯ সালের ৩১শে অক্টোবর। এ মনীষী কুষ্টিয়ার ইতিহাস, কুষ্টিয়া জেলায় ইসলাম গ্রন্থ দুটির প্রণেতা হিসেবে এক নামে পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন শিক। কুষ্টিয়ার যেসব কৃতি সন্তান অনেকটা নিভৃতে থেকেই কুষ্টিয়ার জন্য অবদান রেখে গেছেন শ. ম. শওকত আলী তাদের অন্যতম। কেবল শিক হিসাবে নয় মানুষ হিসাবেও তিনি ছিলেন সদালাপী, নিরহংকারী। তাঁর চিন্তা ভাবনা ধ্যান ধারণার অনেকটা জুড়ে ছিল কুষ্টিয়া । কালের প্রবাহে ফিকে হয়ে আসা কুষ্টিয়ার ইতিহাস ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মেরের কাছে তুলে ধরার তাঁর যে প্রয়াস সে দিক থেকে কুষ্টিয়াবাসী তাঁর কাছে চির ঋণী হয়ে থাকবে। তিনি কুষ্টিয়াকে সবার সামনে তুলে ধরতেই নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন।
ছাত্রদের তিনি অপত্য স্নেহে আপন করে নিতেন। অনেককে তিনি লেখাপড়ায় মনোযোগী করেছিলেন। পথ ভুলে হয়ত তারা হারিয়ে যেতে পারত কোন অন্ধকার জগতে তিনি তাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন । তাঁর অসংখ্য ছাত্র ছড়িয়ে আছে সারা দেশ জুড়ে, কেউ হয়েছেন প্রবাসী ।
উদার চিত্ত, অসাম্প্রদায়িক হৃদয়ের এই মানুষটির জন্ম ১৯৩৯ সালের ৩১শে অক্টোবর সাবেক নদীয়া জেলার কুমারখালী থানার আমবাড়ীয়া গ্রামে ।
শিা জীবন ঃ ছোটবেলা থেকে তিনি অসম্ভব মেধাবী ছিলেন কুমারখালী সেনগ্রামের ছাত্র হিসাবে তিনি খুলনা বিভাগে প্রাথমিক বৃত্তি পরীায় খুলনা বিভাগে প্রথম স্থান লাভ করেন । কুষ্টিয়া মুসলিম হাইস্কুল থেকে ইতিহাসে লেটার সহ এস.এসসি পাশ করেন ১৯৫৬ সালে । কুষ্টিয়া কলেজ থেকে ১৯৫৮ সালে এইচ. এসসি পাশ করেন উক্ত কলেজ থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ের অধীনে বি.এ পরিায় উত্তীর্ণ হন ১৯৬১ সালে । ঐ সময়ে কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন । রাজশাহী টিচার্স টেনিং কলেজ থেকে বি.এড. ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয় থেকে বাংলায় এম. এ পরিায় পাশ করেন ১৯৭২ সালে।
পেশা ঃ শিল্পপতি মোহিনী মোহন প্রতিষ্ঠিত মোহিনী মোহন বিদ্যাপীট স্কুলে তার শিকতা জীবন শুরু করেন। অত্যন্ত যোগ্যতা ও সুনামের সাথে প্রায় দশ বছর শিকতা করেন । এরপর কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে যোগদান করে অবসর গ্রহনের আগ পর্যন্ত তিনি এই স্কুলে শিকতা করেছেন। ১৯৯৫ সালে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এই স্কুল থেকে অবসর গ্রহণ করে তিনি ১৯৯৭ সালে আলাউদ্দিন আহম্মেদ কলেজিয়েট স্কুল ও টির্চাস ট্রেনিং কলেজের অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন ১৯৯৮ সালে।
সাংগাঠনিক কর্মকান্ড ঃ তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী ছিলেন। শত বাধা বিপত্তি এড়িয়ে সমাজের জন্য কিছু করার চেষ্টা তার ছিল। তিনি ছিলেন কুষ্টিয়া সাহিত্য পরিষদ, কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি, কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী, কুষ্টিয়া লালন একাডেমির সদস্য ও বাংলা একাডেমির ভূতপূর্ব সদস্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কুষ্টিয়া ইউনিটের ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির আজীবন সদস্য। মানবাধিকার কমিশন কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি, কুষ্টিয়া প্রবীন হিতৈষী সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া শাখা সহ সাধারন সম্পাদক ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কুষ্টিয়া জেলা শাখার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও এডহক কমিটির সদস্য ছিলেন ।
সাহিত্য কর্ম ঃ তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও সংকলনে গল্প, কবিতা, নিবন্ধ, প্রবন্ধ লিখতেন । তাঁর রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থ কুষ্টিয়ার ইতিহাস (১৯৭৮), কুষ্টিয়া জেলায় ইসলাম (১৯৯২) । এছাড়াও তাঁর গৃহে প্রচুর পান্ডুলিপি রেখে গেছেন। তাঁর সর্বশেষ সাহিত্য প্রচেষ্টা ছিল কুষ্টিয়ার ইতিহাসের সংস্করণ প্রকাশ করা। তিনি এর পান্ডুলিপিও সম্পূর্ণ করেছিলেন। সেটি তার দু’পুত্র আব্দুল্লাহ সাঈদ এর সম্পাদনায় ও হামিদুল্লাহ সুমন সাঈদ এর প্রকাশনায় ২০১২ সালের ১৬ জুলাই দ্বিতীয় সংস্করন প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি ১৯৫৯ সালে কুষ্টিয়া জেলার মজমপুরের বিশিষ্ট চৌধুরী পরিবারের হালিমা খাতুনকে বিবাহ করেন। তাঁর তিন পুত্র চার কন্যা । এই মহান শিক, ইতিহাসবিদ, সাহিত্যানুরাগী, সদালাপী মানুষটি ২০০১ সালে ২৬শে ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। লেখনীর মাধ্যমে তিনি যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তার মাধ্যমে তিনি হাজার বছর বেঁচে থাকবেন।




লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান সিরাজুল হক চৌধুরী
খালিদ হাসান সিপাই ॥
বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৩৩ সালে। কুষ্টিয়ার সিরাজুল হক চৌধুরী ওস্তাদ ভাই ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। দতা, ন্যায়-নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় সমৃদ্ধ এই অসাধারণ ব্যক্তিত্বের তিরোধানের পর লাঠিয়াল বাহিনীর নেতৃত্বে শুন্যতার সৃষ্টি হয়। ওস্তাদভাইয়ের জীবদ্দশায় ছয়টি লাঠি খেলা শিাশিবির অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওস্তাদভাইয়ের মৃত্যু তিথিকে কেন্দ্র করেই এই শিাশিবিরের আয়োজন করা হয়। শিা শিবিরের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রামবাংলার এই লোকজ সংস্কৃতিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা।
১৯৯৩ সালে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সাফ গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রায় এক হাজার লাঠিয়াল তাদের লাঠিখেলা প্রদর্শন করেছে। ভারতের নিখিল বঙ্গ নববর্ষ উৎসব সমিতির আমন্ত্রণে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী লাঠিখেলা প্রদর্শন করে সুধীজনের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে আইআইটির আমন্ত্রণে লাঠিখেলা প্রদর্শনীতে অংশ নেয় এবং দর্শকদের মন জয় করে। তা ছাড়া নড়াইলের সুলতান মেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লাঠিখেলার পারদর্শিতায় সুনাম অর্জন করেছে বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী। এর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে লাঠিয়াল বাহিনীর সব সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীর আন্তরিক প্রচেষ্টায়।
মানুষের হাতিয়ার হিসেবে একদিন বন্য জন্তু-জানোয়ারের হাত থেকে আত্মরা করতে সাহায্য করেছিল যা, তা ছিল লাঠি। যেদিন মানুষ লাঠি দিয়ে আত্মরা শিখেছে, সেদিন থেকে তাকে ব্যবহারের জন্য নানাভাবে ব্যবহারের কলাকৌশল রপ্ত করতে হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এর উচ্চতা, ব্যাস এবং কিসের তৈরি হলে ভালো হয় তাও ভেবেছে। যে কারণে আজকের দিনে ‘বাঁশের লাঠির’ কার্যকারিতার স্েলাগান কখনো কখনো শোনা যায়।
আদিম মানুষ যদিও আত্মরার জন্য প্রথম লাঠির ব্যবহার করেছিল। কিন্তু পরবর্তী সমেয় শাসকগোষ্ঠী তাদের অন্যায় শাসন টিকিয়ে রাখার জন্য এই লাঠি ব্যবহার করেছে। যে কারণে আজও লেঠেল কথাটা ভালো অর্থে ব্যবহৃত হয় না। লেঠেল কথাটা শুনলে মনে হয় জমিদারের খাস লোক অত্যাচারী। ঢালাওভাবে লাঠির দুর্নাম করলেও এ কথা স্বীকার করতে হবে যে তিতুমীরের বাঁশের লাঠি ইংরেজদের কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এখনো শোনা যায়, বাঁশের লাঠি তৈরি করো, উচ্ছেদ করো ইত্যাদি।
বর্তমানকালে যদিও শহর এলাকায় লাঠিখেলার তেমন প্রচলন নেই। কিন্তু এখনো আশুরার দিনে এই লাঠিখেলা প্রদর্শিত হয়। যেখানে শতকরা ৮০ জন মানুষ গ্রামে বাস করে, সেই গ্রামের মানুষের বিনোদনের যে খেলা, সেই লাঠি আজও গ্রামের মানুষকে আনন্দ দেয়। এ কারণে এখনো নবান্নে প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এই লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ওস্তাদ ভাই সিরাজুল হক চৌধুরীর নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এই খেলাকে সযতেœ সংরণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। তিনি প্রায়ই বলতেন, ‘আমরা আমাদের সব ঐতিহ্যই তো হারাতে বসেছি, তোমরা থাকতে এই ঐতিহ্য হারাতে দিয়ো না। এই লাঠি একদিন বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যে লালিত হবে।’
তার জন্ম ঃ ১৯১৩ ইং সালের ৭ই ডিসেম্বর মজমপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা ঃ মহসেন উদ্দিন চৌধুরী। তিনি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন কুষ্টিয়া টেকনিক্যাল স্কুল ও কে, আই, টি হোমের। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী, লেখক কলামিস্ট ও ক্রীড়াবিদ। তিনি লাঠি লড়ী সড়কী লাঠির কসরত এবং লাঠি খেলা প্রতিযোগিতার আইন নামক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। তার মৃত্যু হয় ১৯৮৭ সালে।
লাঠিখেলা আবহমান পল্লী বাংলার একটি রোমাঞ্চকর খেলা। দীর্ঘদিন থেকে এ খেলা বাংলার ঐতিহ্য বহন করে আসছে। মহররমের মাস এলেই পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে লাঠিখেলার ধুম পড়ে যেত। ঢোলের বাজনায় চারদিক মুখরিত হয়ে উঠত। তারপর ১০ মহররম দলে দলে প্রতিযোগিতা হয়ে মহা ধুমধামের সঙ্গে শেষ হতো ওই অধ্যায়ের। আশ্বিন মাসের শেষ দিনটিতে গাস্যির রাত্রে সারা রাত লাঠিখেলার কসরত। কত হইচই, কত আনন্দ। সেই সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া। খেলার সময় হুঙ্কার দিয়ে ওস্তাদ যখন খেলতে নামতেন, তখন ছন্দময় তালে, স্বচ্ছন্দ গতিতে তাঁর লাঠি ঘোরানো দেখে দর্শকদের দৃষ্টি বিস্কারিত হয়ে যেত। দর্শক মুগ্ধ নয়নে চেয়ে উপভোগ করত। দর্শকদের মধ্য থেকে হঠাৎ করে একজন দর্শক উত্তেজনায় থাকতে না পেরে, লাঠি হাতে হুঙ্কার দিয়ে আখড়ার মধ্যে গিয়ে বনবন করে লাঠি ঘোরাত। ভাবখানা এই যে তুমি ব্যাটা একাই সব নাম কিনে নেবে, আমি পারি না বুঝি।
এই লাঠিখেলার মধ্যে শরীরচর্চা, বিনোদন ও আত্মরামূলক কলাকৌশল আছে। শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে লাঠি ঘোরানোর কলাকৌশল জেনে নিয়ে যদি সকাল-বিকেল আপনি নিয়মিত লাঠি খেলেন, নিঃসন্দেহে আপনি দীর্ঘদিন সুস্থ সবল থাকতে পারবেন। তার প্রমাণ আপনারা এই শরীরেই দেখতে পারবেন। কত বৃদ্ধ লোক স্বচ্ছন্দ গতিতে লাঠি ঘুরিয়ে খেলা করছেন। প্রয়োজনবোধে দু-চারজন শত্রুর মোকাবিলা করে আত্মরাও করতে পারবেন।

মজমপুর গ্রাম থেকে প্রকাশিত হয় ১৮টি পত্রিকা
কুষ্টিয়ার মজমপুর এখন পত্রিকার রাজধানী
সংবাদপত্রের পথিকৃৎ ও দ্বিকপাল কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের স্মৃতি বিজড়িত, পদ্মা, গড়াই, কালিগঙ্গা বিধৌত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাউলসম্রাট লালন শাহ, কালজয়ী সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন, কবি আজিজুর রহমান, বিপ্লবী বাঘা যতীন, বিচারপতি ড.রাধা বিনোদপালসহ শত মনিষীর পদচারণায় কুষ্টিয়ার মাটি ধন্য। ১৯৭১ সালে কুষ্টিয়া জেলা ছিল মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার । বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী স্থাপিত হওয়ায় এ জেলার মর্যাদা জাতির কাছে চিরস্মরণ যোগ্য । শিল্প-সাহিত্য -সংস্কৃতির লীলাভূমি কুষ্টিয়া । এ কারণেই কুষ্টিয়াকে বলা হয় ‘‘সাংস্কৃতিক রাজধানী’’। কিন্তু কুষ্টিয়া এখন পত্রিকার শহরে পরিনত হয়েছে। জেলা শহর থেকে প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত ২৪টি এবং সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয় ১৯ টি। এর মধ্যে ১টি ইংরেজি দৈনিক ও ২টি ইংরেজি সাপ্তাহিক রয়েছে। মজার ব্যাপার হলো কুষ্টিয়ার একটি গ্রাম থেকেই প্রকাশিত হয় ৯টি দৈনিক ও ৯টি সাপ্তাহিক পত্রিকা । শহর সংলগ্ন গ্রামটির নাম মজমপুর। এই গ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা গুলো হলো- দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা, দৈনিক আন্দোলনের বাজার, দৈনিক আরশীনগর, দৈনিক দেশতথ্য, দৈনিক দেশভূমি, দৈনিক বজ্রপাত, দৈনিক মাটির পৃথিবী, দৈনিক সময়ের কাগজ ও একমাত্র ইংরেজি দৈনিক ডেইলি অথেন্টিক । সাপ্তাহিক পত্রিকার মধ্যে রয়েছে ‘জাগরনী’, ‘দ্য বাংলাদেশ রিভিউ’,‘ পদ্মাগড়াই’,‘লালনভূমি,’‘কুষ্টিয়ারমুখ’,‘কুষ্টিয়ারবানী’,‘জনবানী’,‘ইস্পাত’ও ‘আদিবাসীর অধিকার’।
সংবাদপত্র শিল্পের চরম দুর্দিন হলেও পত্রিকার মালিকরা তাদের পত্রিকা প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট। মজমপুরের বাসিন্দা দৈনিক আরশীনগর এবং ডেইলি অথেন্টিক পত্রিকার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, আমি গর্বিত যে, মজমপুরের মত একটি ঐতিহাসিক গ্রামের বাসিন্দা আমরা। বাংলাদেশ নয় বিশ্বের কোথাও হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না যে একটি গ্রাম থেকে এতগুলো পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তিনি বলেন, পত্রিকা প্রকাশনার জন্য প্রয়োজন কাগজ ও বিজ্ঞাপন। বর্তমানে দ’ুটোরই চরম সংকট। মিডিয়া বান্ধব এই সরকার যদি পত্রিকার জন্য আগের মত কাগজ বরাদ্দ দিতেন তা হলে পত্রিকা প্রকাশনা নিয়ে মালিকদের দুশ্চিন্তা থাকতো না।
জেলা শহর থেকে প্রকাশিত অন্যান্য দৈনিক গুলো হলো-দৈনিক হাওয়া, দৈনিক কুষ্টিয়া, কুষ্টিয়া প্রতিদিন, দৈনিক আজকের আলো, দৈনিক সত্যখবর, , দৈনিক দিনের খবর. দৈনিক আজকের সুত্রপাত, দৈনিক কুষ্টিয়া বার্তা, দৈনিক কুষ্টিয়ার কাগজ, দৈনিক স্বর্ণযুগ, দৈনিক হিসনাবানী, দৈনিক সাগরখালী, দৈনিক শিকল, দৈনিক মাটির ডাক ও দৈনিক সুত্রপাত,দৈনিক দেশের বানী, দৈনিক লালনকণ্ঠ, দৈনিক প্রতিজ্ঞা,দৈনিক মুক্তমঞ্চ, দৈনিক জয়যাত্রা।
সাপ্তাহিকগুলো হলো-দেশব্রতী, কুষ্টিয়ারখবর, পথিকৃৎ, পরিক্রমা,দৌলতপুর বার্তা, কুমারখালীবার্তা, চেতনায় কুষ্টিয়া, দ্রোহ, কুষ্টিয়ার সংবাদ, কুষ্টিয়ার দিগন্ত, জয়ের কণ্ঠ ও ইংরেজি সাপ্তাহিক দ্য কুষ্টিয়া টাইমস।
এখানে নবীন ও প্রবীন সাংবাদিকদের মাঝে রয়েছে তুমুল প্রতিযোগিতা।



মনসুর শাহ চিশতী
আধ্যাত্মিক সাধক চিশতীয়া নিয়ামীয়া তরিকার পীর মনসুর শাহ চিশতী। ইলমে মারেফাতের জগতে তিনি উচ্চতর ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে তিনি দেশে বিদেশে ভক্ত অনুরাগীদের মাঝে এখনও বেঁচে আছেন। তার প্রায় লক্ষাধিক শীর্ষ রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিম বাংলাতে তার বহু শিষ্য রয়েছে। তার জন্ম ১৮৭১ সালে কুষ্টিয়ার মজমপুর ইউনিয়নের উদিবাড়ী গ্রামে। তার পিতার নাম-হাদি উদ্দিন। ১৯৮৭ সালে তার মৃত্যুর পর ১৯ শে পৌষ ওফাৎ দিবস ও ৩রা চৈত্র ২১ শে আশ্বিন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। দিবসগুলোতে উদিবাড়ী দায়রা পাক দরবার শরীফে আলোচনা সভা ও ওয়াজ মাহফীলের আয়োজন করা হয়। মাজারের খাদেম মেজবাউর রহমান জানান, অনুষ্ঠানে দেশ বিদেশ থেকে তার অনেক ভক্ত অনুরাগীরা সমবেত হয়। এছাড়াও তার মাজার দর্শনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মানুষের আগমন হয়। তবে মনসুর শাহের মাজার কেন্দ্রিক কোন ধরনের শিরক বিদআতী কার্যক্রম যেমন কবর সেজদাসহ কোন শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড হয় না। তার মৃত্যুর পর মনসুর শাহের সন্তান রুহুল আলম চিশতী গদিনশীন পীর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। মনসুর শাহের লিখিত ২১টি গ্রন্থ এলমে মারেফাতের অনন্য কিতাব হিসাবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। এর মধ্যে ছেররোল কোরআন, স্বর্গীয় প্রেম, তৌহিদে এলাহী, হাদিস পরিচয়, আশেকে রাসুল (সাঃ), নামাজ পরিচয়, নামাজের
গুপ্ত পরিচয়, রতœমালা, মুক্তির আলো, রোজার পরিচয়, ইচিৎ বাণী বা খোদা প্রাপ্তির পথে, মারেফতের চাবুক, জ্ঞান সিন্ধু, দেওয়ান শরীফ, অন্ধের চক্ষুদান, সত্যের আলো, কর্ত্তব্য পালন, আমপারার কাব্যানুবাদ, শেজারায়ে তায়েবা, আল্লাহ প্রদত্ত কোরআন কৈ, নেয়ামতে খোদা, আসরার এলাহী, মনসুরের বানী, রদ্দে বদগুমান, হাক্কোল মোবিন উল্লেখযোগ্য।
মনসুর শাহের মাজার
কিভাবে যাওয়া যায়:
কুষ্টিয়া মজমপুর গেট হতে রিক্সা ভেন অটোরিক্সায় উদিবাড়ী গ্রামে শাহ্ সুফী মনছুর শাহ্ এর মাজারে আসা যায়।
অবস্থান:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উদিবাড়ী গ্রাম।

1 টি মন্তব্য: