বিএনপি নেতা বকুল, শাম্মীসহ আটক ১৫
ঢাকা অফিস : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গণিকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে পুলিশ পাহাড়া দিয়ে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে নরসিংদী-৪ আসনের সাবেক সাংসদ সরদার সাখওয়াত হোসেন বকুল ও বিএনপির মহিলা সাংসদ শাম্মী আক্তারসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি). এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিদ আউয়ালকেও আটক করা হয়েছে। ছাত্রদলের ছয় নেতাকর্মীকেও আটক করা হয়েছে। তবে কি কারণে তাদেরকে আটক করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। রাত আটটার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গণিকে চেয়ারপারসনের
গুলশানের বাসায় যাওয়ার পথে বাধা দেয় পুলিশ। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাঁকে সরিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে পুলিশের গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার নূরে আলম বলেন, তাঁকে আটক করা হয়নি। তাঁকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি খালেদা জিয়ার বাসায় যেতে চেয়েছিলেন। এর আগে খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে যাওয়ার পর দলটির চিফ হুইপ জয়নুল আবদিনকে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আটকের চেষ্টা করে পুলিশ। নির্দেশ অমান্য করে গাড়িতে করে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন তিনি। একইভাবে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা খান বেলা আড়াইটার দিকে খালেদা জিয়ার বাসভবনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত পুলিশের কর্মকর্তা তাঁকে অপেক্ষা করার কথা বলেন। তবে কিছু সময় পর দ্রুত গাড়িতে করে চলে যান জেবা খান। আর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চেয়ারপারসনের বাসভবনের সামনে থেকে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হন নরসিংদী-৪ আসনের সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল। এছাড়া, দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে তাকে পুলিশ বাধা দেয় বলে জানা গেছে। আরএ গনি ও তার দুই সহযোগীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলাশন জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. নুরুল আমিন। সাবেক এমপি সাখওয়াত হোসেন বকুলকে আটকের বিষয়টিও নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘ডিবি পুলিশের উত্তরের একটি টিম সাবেক এমপি বকুলকে আটক করেছে। আটকের পর তাকে গাড়িতে করে ডিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।’ এদিকে, ১৮ দলীয় জোটের ৮৩ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন খালেদা জিয়া। ভাষণে তিনি আগামী ২৯ ডিসেম্বরে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এরপর রাত থেকেই খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ও রাজনৈতিক কার্যালয়ের আশাপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ কাউকে বাসভবন ও কার্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে দিচ্ছে না। পুলিশের এরকম কড়া নজরদারির মধ্যে সন্ধ্যায় সাখাওয়াত হোসেন বকুলকে আটক করলো ডিবি পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন