স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারীদের জন্য আতঙ্কের জন পদ কুষ্টিয়া। ঘরে বাইরে সবখানেই অনিরাপদ কুষ্টিয়ার নারীরা। উদ্বেগ জনক হারে বেড়েছে, খুন, ধর্ষন, নির্যাতনসহ নানা ধরনের সহিংস মুলক ঘটনা। যৌতুকের কারনে হত্যা, পারিবারিক বিরোধের জেরধরে হত্যা, নির্যাতনের পর হত্যা, ধর্ষন করে হত্যাসহ বিভিন্ন কায়দায় গত এক বছরে কুষ্টিয়ায় ৩৬ নারী খুন ও ২০ নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। হত্যকান্ড থেকে বাদ পড়েনি নিস্পাপ শিশু, বুদ্ধা কিংবা যুবতী কেউ। আবার এসব নারীদের মধ্যে কেউ কেউ হয়েছেন অপরাধীদের লালসার শিকার। হত্যকান্ডের পর শরীরের বিভিন্ন অংশ খন্ড বিখন্ডের ঘটনাও রয়েছে। অনেক সময় শ্বাসরোধে হত্যার পর আতœহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া ঘটনাও নেহাত কম নয়। প্রাপ্ত তথ্য মতে জেলায় গত এক বছরে জেলায় ৩৬ জন নারী হত্যাকান্ডের শিকার এবং ২০জন নারী ধর্ষিত হয়েছে। সুত্র জানায়, ২৫ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা
করে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ইউসুফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর মৃত লাশ উদ্ধার করা হয় একটি ইট ভাটার পুকুর থেকে। ১ ফেব্রুয়ারী কুমারখালিতে নাসিমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধুকে যৌতুকের দাবিতে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠে। সে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামে সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। ১৪ ফেব্রুয়ারী কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্নিগ্ধা আক্তার রিমি (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। উপজেলার নওদা বহলবাড়িয়া গ্রাম থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। ২১ ফেব্রুয়ারী কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উর্মি (১০) নামে স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার খলিষাকুন্ডি গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারী কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জেমি (১০) নামের ৩
য় শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন গোপীনাথ পুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ২ মার্চ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বীনা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউপির চামনাই গ্রামের জনি সদ্দারের স্ত্রী। ১২ মার্চ কুষ্টিয়ায় তানিয়া রহমান মৌ (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়। শহরের জিকেঘাট এলাকা থেকে মৌর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৌ জিকেঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মজিবর রহমানের মেয়ে। ১৩ মার্চ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ময়না খাতুন (২২) নামে স্বামী পরিত্যক্তা এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার চকদৌলতপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ২০ মার্চ দৌলতপুরে রওশন আরা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করে তার দেবর। উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চরভবনন্দদিয়াড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ২২ মার্চ দৌলতপুরে রিক্তা (৪০) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। উপজেলার গাছেরদিয়াড় উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ২৭ মার্চ কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুরের নিজ বাড়ীতে পরকীয়ার জের ধরে খুন হয় শাহজাদী ফারজানা ববি (৩৫) নামের এক বিটশিয়ান। নিহত ববি কুষ্টিয়া কালিশংকপুর এলাকার তনু বাবুর স্ত্রী। ১২ এপ্রিল দৌলতপুর উপজেলার চরসোনাতলা গ্রাম থেকে গিতিয়ারা খাতুন (১২) নামে ষষ্ঠ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই স্কুল ছাত্রীর লাশ তার নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। ২২ এপ্রিল ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের হঠাৎপাড়ায় এক লিচু বাগান থেকে শাপলা (২৩) নামের এক গৃহধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শাপলা ভেড়ামারা উপজেলার বরমাইল টিকিটিকিপাড়ার সাইফুল ইসলামের মেয়ে। ৩ মে ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া দণি ভবানিপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী বকুল প্রামাণিকের স্ত্রী নাজমা ওরফে নারগিসের (৩৬) অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৬ মে কুষ্টিয়া ইবি থানার হরিণারায়রপুরে নিউ জনসেবা কিনিকে ভুল চিকিৎসায় টুম্পা খাতুন (২৫) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর হয়। সে ইবি থানার হরিণারায়নপুর ইউনিয়নের বেড়-বাড়াদী গ্রামের খোকন শেখের স্ত্রী। ২২ মে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার মজমপুর ইউপি’র নছিমন মোড় এলাকায় পলি খাতুন (১৪) নামে এক নববধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠে। সদর উপজেলার মজমপুর ইউনিয়নের নছিমন মোড় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার মতিয়ারের স্ত্রী। ২৫ মে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামে আখি খাতুন (২৪) নামে এক নববধূকে মুখে ডেলে হত্যার অভিযোগ উঠে। সে ওই গ্রামের শিপন আলীর স্ত্রী। ২৯ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পল্লী নন্দনালপুর গ্রামের টুম্পা বসু (২৪) নামে এক নব বধুকে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। নিহত টুম্পা কুমারখালীর নন্দনালপুর গ্রামের সুকুমার ঘোষের স্ত্রী। ৭ জুন কুমারখালি উপজেলা শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জপুর গ্রামে স্বামী শরিফ কর্তৃক স্ত্রী ঝর্ণা খাতুনকে (২২) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে। ৮ জুন দৌলতপুর উপজেলার গোয়াল গ্রাম এলাকা থেকে রেবেকা খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম বাজারপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় স্ত্রী। ৯ জুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়া ইউনিয়নের বেশিনগর গ্রামে সীমা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধু স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়। সে বেশিনগর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। ১২ জুন মাত্র ২৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের চর নওদাপাড়া এলাকার মমতাজ খাতুন (২২) নামে এক সন্তানের জননীকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠে। সে উপজেলার চর নওদাপাড়া গ্রামের মিন্টু মিয়ার স্ত্রী। ১৩ জুন কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার জিয়ারখীতে চাতাল শ্রমিক মাসুদা বেগম (২৭) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মাসুদা বেগম সদর উপজেলার বড়িয়া ভাদালিয়া পাড়ার আরব আলীর মেয়ে। ১ জুলাই কুষ্টিয়ায় আরিশা খাতুন (৭) নামের এক শিশু কণ্যাকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার পাষন্ড মা। কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়ার মীর মোশাররফ হোসেন সড়কের ভাড়া বাড়ীর তিন তলায় একটি ক নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হরে। ২১ জুলাই কুষ্টিয়ার পূর্ব মজমপুরে শারমিন আক্তার (৩৪) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শারমিন ও তার স্বামী মজমপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২২ জুলাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ই.বি থানার পাটিকাবাড়ী ইউপি’র খেজুরতলা গ্রামে নাছিমা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর ঘরের মধ্যে থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নাসিমা খেজুরতলা গ্রামের সোহেলের স্ত্রী। ২৩ জুলাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়। উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামে স্বামী আব্দুল জাব্বার ওরফে পঞ্জুত তার স্ত্রী ছাপাতননেছা ছাপাকে (৫৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ২৫ জুলাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ভাগজোত কাষ্টমমোড় এলাকায় স্বামী পরিত্যক্তা রজুফা খাতুনের (৫০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১১ আগষ্ট কুষ্টিয়ার মিরপুরে রিমা (২৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রিমা উপজেলার মির্জানগর এলাকার মাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। ১৬ আগষ্ট কুষ্টিয়া শহরতলী বাড়াদী ভাগাড়ের মাঠ এলাকায় এক সন্তানের জননী রিংকু খাতুন (২৪) নামের এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। সে ওই এলাকার রাকিবুলের স্ত্রী। ১৭ আগষ্ট কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কমলাপুরে কুলসন বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে ওই এলাকার আজিবার শেখের স্ত্রী। ১০ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দেবরের রামদার কোপে ভাবী কোহিনুর খাতুন (৩৪) নিহত হয়। উপজেলার শান্তিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কোহিনুর শান্তিপাড়া গ্রামের সোহেলের স্ত্রী। ৯ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ধর্ষনে বাঁধা দেওয়ায় রুকসানারা খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করে তার খালাতো ভাই শরিফুল আলম নামে এক লম্পট। উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের গুলাবাড়ি গ্রামে এঘটনা ঘটে। ১৮ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় উপজেলার সাতবাড়িয়া দনি ভবানীপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে আমেনা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী। আমেনা উপজেলার সাতবাড়িয়া দণি ভবানিপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মন্ডল স্ত্রী। ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি নিখিল পাড়ায় ঝড়না খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়। সে নিখিল পাড়া গ্রামের নয়ন মুন্সির স্ত্রী। সর্বশেষ ৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অজ্ঞাত পরিচয় (১৮) এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামের একটি মেহগুনী বাগান থেকে এ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
২০ নারী ধর্ষিত: কুষ্টিয়ায় গত এক বছরে ২০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অপরাধীদের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছেন শিশু থেকে যুবতী সবাই। এদের মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাও রয়েছে। সুত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি নানা বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয় এক মাদ্রাসা ছাত্রী। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের ভাদালিয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী তার নানা বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফিরছিল। এ সময় হলবিলের মাঠ এলাকায় দুর্বৃত্ত ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ২৫ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া গ্রামের হাশিয়ারা খাতুন (১২) বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ইউসুফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর মৃত লাশ উদ্ধার করা হয় একটি ইট ভাটার পুকুর থেকে। সে দিঘলকান্দি গ্রামের হাসেম আলীর কন্যা। ১৬ ফেব্রুয়ারী কুষ্টিয়ায় দ্বিতীয় শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী গৃহশি কর্তৃক ধর্ষনের শিকার হয়। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের মাতপুর গ্রামে ওই স্কুল ছাত্রীর নিজ বাড়িতে গৃহশিকের দ্বারা ধর্ষনের শিকার হয়। ১২ মার্চ কুষ্টিয়ায় তানিয়া রহমান মৌ (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। শহরের জিকেঘাট এলাকা থেকে মৌর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৩১ মার্চ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া এলাকায় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে এক কিশোরী ধর্ষণের স্বীকার হয়। ২২ এপ্রিল কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের হঠাৎপাড়ায় এক লিচু বাগানে শাপলা (২৩) নামের এক গৃহধূকে ধর্ষনের পর হত্যা করে দুর্বৃত্ত। শাপলা বাহিরচর ইউনিয়নের হঠাৎপাড়া গ্রামের রমজান আলীর প্রথম স্ত্রী। ৭ মে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মশান কেউপুর গ্রামে দরিদ্র ভ্যান চালকের কন্যা ৬ষ্ট শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়। ২৪মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পল্লীতে প্রথম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়। ২৮ মে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিণারায়নপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের ১১ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের স্বীকার হয়। গত ২জুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে দু’বন্ধু মিলে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষন করে। উপজেলার খলিষাকুন্ডি এলাকায় এঘটনা ঘটে। ১৫ জুন কুষ্টিয়া শহরতলী চৌড়হাস ক্যানেল পাড়ায় চতুর্থ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে (১২) একশ টাকার লোভ দেখি পাশের বাড়িতে নিয়ে রাতভর ধর্ষন করে একই এলাকার আক্তার কশাই (৫৫) নামে এক লম্পট। ৩ জুলাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ও ফিলিপনগর ইউনিয়নের পৃথক পল্লীতে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয় । উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের তাজপুর এলাকার এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী (২০) বাড়িতে ডুকে তাজপুর গ্রামের মওলা বক্সের ছেলে লম্পট মুকুল জোর পুর্বক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করে। ৩ জুলাই একই দিন দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউপির ইসলামপুর হাজীর এলাকায় ছৈরুদ্দিন (৫২) নামে এক বৃদ্ধ লম্পট স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে (৮) ধর্ষন করে। ৫ আগস্ট কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের কোদালিয়া পাড়া এলাকায় ৩ বছরের শিশুকে চাচা আইনুল হক (৫৫) ধর্ষন কর। ২৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের খাজানগর আদর্শপাড়ায় (১৩) বছরের এক নাবালিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ২ অক্টোবর কুষ্টিয়া শহরতলী জুগিয়া বাঁধ এলাকায় (১১) বছরের এক মানষিক প্রতিবন্ধি ধর্ষনের শিকার হয়। ৩ অক্টোবর দৌলতপুর উপজেলারে (৬) বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে। ৯ অক্টোবর জোর পূর্বক ধর্ষনের পর স্তন কেটে দিয়ে এবং যৌনাঙ্গে ত করাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অমানবিক নির্যাতনের পর রুকসানারা খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে নির্মমভাবে হত্যা করে তার খালাতো ভাই। ১৪ অক্টোবর কুষ্টিয়ার মিরপুরে লম্পট স্বামী শরিফুল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করে তারই তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে। নিজ ঘরে দুই দিন আটকিয়ে রেখে তাকে উপর্যুপরি ধর্ষন করা হয়। ৩১ অক্টোবর কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি মাঠপাড়া গ্রামে (১৮) এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। ওই গৃহবধূ উপজেলার মহিষকুন্ডি মাঠপাড়া গ্রামের মিলন হোসেনের স্ত্রী।
করে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ইউসুফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর মৃত লাশ উদ্ধার করা হয় একটি ইট ভাটার পুকুর থেকে। ১ ফেব্রুয়ারী কুমারখালিতে নাসিমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধুকে যৌতুকের দাবিতে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠে। সে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামে সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। ১৪ ফেব্রুয়ারী কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্নিগ্ধা আক্তার রিমি (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। উপজেলার নওদা বহলবাড়িয়া গ্রাম থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। ২১ ফেব্রুয়ারী কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উর্মি (১০) নামে স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার খলিষাকুন্ডি গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারী কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জেমি (১০) নামের ৩
য় শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন গোপীনাথ পুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ২ মার্চ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বীনা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউপির চামনাই গ্রামের জনি সদ্দারের স্ত্রী। ১২ মার্চ কুষ্টিয়ায় তানিয়া রহমান মৌ (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়। শহরের জিকেঘাট এলাকা থেকে মৌর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৌ জিকেঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মজিবর রহমানের মেয়ে। ১৩ মার্চ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ময়না খাতুন (২২) নামে স্বামী পরিত্যক্তা এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার চকদৌলতপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ২০ মার্চ দৌলতপুরে রওশন আরা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করে তার দেবর। উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চরভবনন্দদিয়াড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ২২ মার্চ দৌলতপুরে রিক্তা (৪০) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। উপজেলার গাছেরদিয়াড় উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ২৭ মার্চ কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুরের নিজ বাড়ীতে পরকীয়ার জের ধরে খুন হয় শাহজাদী ফারজানা ববি (৩৫) নামের এক বিটশিয়ান। নিহত ববি কুষ্টিয়া কালিশংকপুর এলাকার তনু বাবুর স্ত্রী। ১২ এপ্রিল দৌলতপুর উপজেলার চরসোনাতলা গ্রাম থেকে গিতিয়ারা খাতুন (১২) নামে ষষ্ঠ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই স্কুল ছাত্রীর লাশ তার নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। ২২ এপ্রিল ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের হঠাৎপাড়ায় এক লিচু বাগান থেকে শাপলা (২৩) নামের এক গৃহধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শাপলা ভেড়ামারা উপজেলার বরমাইল টিকিটিকিপাড়ার সাইফুল ইসলামের মেয়ে। ৩ মে ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া দণি ভবানিপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী বকুল প্রামাণিকের স্ত্রী নাজমা ওরফে নারগিসের (৩৬) অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৬ মে কুষ্টিয়া ইবি থানার হরিণারায়রপুরে নিউ জনসেবা কিনিকে ভুল চিকিৎসায় টুম্পা খাতুন (২৫) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর হয়। সে ইবি থানার হরিণারায়নপুর ইউনিয়নের বেড়-বাড়াদী গ্রামের খোকন শেখের স্ত্রী। ২২ মে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার মজমপুর ইউপি’র নছিমন মোড় এলাকায় পলি খাতুন (১৪) নামে এক নববধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠে। সদর উপজেলার মজমপুর ইউনিয়নের নছিমন মোড় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার মতিয়ারের স্ত্রী। ২৫ মে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামে আখি খাতুন (২৪) নামে এক নববধূকে মুখে ডেলে হত্যার অভিযোগ উঠে। সে ওই গ্রামের শিপন আলীর স্ত্রী। ২৯ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পল্লী নন্দনালপুর গ্রামের টুম্পা বসু (২৪) নামে এক নব বধুকে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। নিহত টুম্পা কুমারখালীর নন্দনালপুর গ্রামের সুকুমার ঘোষের স্ত্রী। ৭ জুন কুমারখালি উপজেলা শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জপুর গ্রামে স্বামী শরিফ কর্তৃক স্ত্রী ঝর্ণা খাতুনকে (২২) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে। ৮ জুন দৌলতপুর উপজেলার গোয়াল গ্রাম এলাকা থেকে রেবেকা খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম বাজারপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় স্ত্রী। ৯ জুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়া ইউনিয়নের বেশিনগর গ্রামে সীমা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধু স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়। সে বেশিনগর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। ১২ জুন মাত্র ২৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের চর নওদাপাড়া এলাকার মমতাজ খাতুন (২২) নামে এক সন্তানের জননীকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠে। সে উপজেলার চর নওদাপাড়া গ্রামের মিন্টু মিয়ার স্ত্রী। ১৩ জুন কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার জিয়ারখীতে চাতাল শ্রমিক মাসুদা বেগম (২৭) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মাসুদা বেগম সদর উপজেলার বড়িয়া ভাদালিয়া পাড়ার আরব আলীর মেয়ে। ১ জুলাই কুষ্টিয়ায় আরিশা খাতুন (৭) নামের এক শিশু কণ্যাকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার পাষন্ড মা। কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়ার মীর মোশাররফ হোসেন সড়কের ভাড়া বাড়ীর তিন তলায় একটি ক নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হরে। ২১ জুলাই কুষ্টিয়ার পূর্ব মজমপুরে শারমিন আক্তার (৩৪) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শারমিন ও তার স্বামী মজমপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২২ জুলাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ই.বি থানার পাটিকাবাড়ী ইউপি’র খেজুরতলা গ্রামে নাছিমা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর ঘরের মধ্যে থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নাসিমা খেজুরতলা গ্রামের সোহেলের স্ত্রী। ২৩ জুলাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়। উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামে স্বামী আব্দুল জাব্বার ওরফে পঞ্জুত তার স্ত্রী ছাপাতননেছা ছাপাকে (৫৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ২৫ জুলাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ভাগজোত কাষ্টমমোড় এলাকায় স্বামী পরিত্যক্তা রজুফা খাতুনের (৫০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১১ আগষ্ট কুষ্টিয়ার মিরপুরে রিমা (২৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রিমা উপজেলার মির্জানগর এলাকার মাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। ১৬ আগষ্ট কুষ্টিয়া শহরতলী বাড়াদী ভাগাড়ের মাঠ এলাকায় এক সন্তানের জননী রিংকু খাতুন (২৪) নামের এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। সে ওই এলাকার রাকিবুলের স্ত্রী। ১৭ আগষ্ট কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কমলাপুরে কুলসন বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে ওই এলাকার আজিবার শেখের স্ত্রী। ১০ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দেবরের রামদার কোপে ভাবী কোহিনুর খাতুন (৩৪) নিহত হয়। উপজেলার শান্তিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কোহিনুর শান্তিপাড়া গ্রামের সোহেলের স্ত্রী। ৯ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ধর্ষনে বাঁধা দেওয়ায় রুকসানারা খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করে তার খালাতো ভাই শরিফুল আলম নামে এক লম্পট। উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের গুলাবাড়ি গ্রামে এঘটনা ঘটে। ১৮ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় উপজেলার সাতবাড়িয়া দনি ভবানীপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে আমেনা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী। আমেনা উপজেলার সাতবাড়িয়া দণি ভবানিপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মন্ডল স্ত্রী। ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি নিখিল পাড়ায় ঝড়না খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়। সে নিখিল পাড়া গ্রামের নয়ন মুন্সির স্ত্রী। সর্বশেষ ৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অজ্ঞাত পরিচয় (১৮) এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামের একটি মেহগুনী বাগান থেকে এ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
২০ নারী ধর্ষিত: কুষ্টিয়ায় গত এক বছরে ২০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অপরাধীদের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছেন শিশু থেকে যুবতী সবাই। এদের মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাও রয়েছে। সুত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি নানা বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয় এক মাদ্রাসা ছাত্রী। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের ভাদালিয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী তার নানা বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফিরছিল। এ সময় হলবিলের মাঠ এলাকায় দুর্বৃত্ত ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ২৫ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া গ্রামের হাশিয়ারা খাতুন (১২) বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ইউসুফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর মৃত লাশ উদ্ধার করা হয় একটি ইট ভাটার পুকুর থেকে। সে দিঘলকান্দি গ্রামের হাসেম আলীর কন্যা। ১৬ ফেব্রুয়ারী কুষ্টিয়ায় দ্বিতীয় শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী গৃহশি কর্তৃক ধর্ষনের শিকার হয়। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের মাতপুর গ্রামে ওই স্কুল ছাত্রীর নিজ বাড়িতে গৃহশিকের দ্বারা ধর্ষনের শিকার হয়। ১২ মার্চ কুষ্টিয়ায় তানিয়া রহমান মৌ (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। শহরের জিকেঘাট এলাকা থেকে মৌর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৩১ মার্চ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া এলাকায় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে এক কিশোরী ধর্ষণের স্বীকার হয়। ২২ এপ্রিল কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের হঠাৎপাড়ায় এক লিচু বাগানে শাপলা (২৩) নামের এক গৃহধূকে ধর্ষনের পর হত্যা করে দুর্বৃত্ত। শাপলা বাহিরচর ইউনিয়নের হঠাৎপাড়া গ্রামের রমজান আলীর প্রথম স্ত্রী। ৭ মে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মশান কেউপুর গ্রামে দরিদ্র ভ্যান চালকের কন্যা ৬ষ্ট শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়। ২৪মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পল্লীতে প্রথম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়। ২৮ মে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিণারায়নপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের ১১ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের স্বীকার হয়। গত ২জুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে দু’বন্ধু মিলে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষন করে। উপজেলার খলিষাকুন্ডি এলাকায় এঘটনা ঘটে। ১৫ জুন কুষ্টিয়া শহরতলী চৌড়হাস ক্যানেল পাড়ায় চতুর্থ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে (১২) একশ টাকার লোভ দেখি পাশের বাড়িতে নিয়ে রাতভর ধর্ষন করে একই এলাকার আক্তার কশাই (৫৫) নামে এক লম্পট। ৩ জুলাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ও ফিলিপনগর ইউনিয়নের পৃথক পল্লীতে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয় । উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের তাজপুর এলাকার এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী (২০) বাড়িতে ডুকে তাজপুর গ্রামের মওলা বক্সের ছেলে লম্পট মুকুল জোর পুর্বক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করে। ৩ জুলাই একই দিন দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউপির ইসলামপুর হাজীর এলাকায় ছৈরুদ্দিন (৫২) নামে এক বৃদ্ধ লম্পট স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে (৮) ধর্ষন করে। ৫ আগস্ট কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের কোদালিয়া পাড়া এলাকায় ৩ বছরের শিশুকে চাচা আইনুল হক (৫৫) ধর্ষন কর। ২৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের খাজানগর আদর্শপাড়ায় (১৩) বছরের এক নাবালিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ২ অক্টোবর কুষ্টিয়া শহরতলী জুগিয়া বাঁধ এলাকায় (১১) বছরের এক মানষিক প্রতিবন্ধি ধর্ষনের শিকার হয়। ৩ অক্টোবর দৌলতপুর উপজেলারে (৬) বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে। ৯ অক্টোবর জোর পূর্বক ধর্ষনের পর স্তন কেটে দিয়ে এবং যৌনাঙ্গে ত করাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অমানবিক নির্যাতনের পর রুকসানারা খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে নির্মমভাবে হত্যা করে তার খালাতো ভাই। ১৪ অক্টোবর কুষ্টিয়ার মিরপুরে লম্পট স্বামী শরিফুল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করে তারই তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে। নিজ ঘরে দুই দিন আটকিয়ে রেখে তাকে উপর্যুপরি ধর্ষন করা হয়। ৩১ অক্টোবর কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি মাঠপাড়া গ্রামে (১৮) এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। ওই গৃহবধূ উপজেলার মহিষকুন্ডি মাঠপাড়া গ্রামের মিলন হোসেনের স্ত্রী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন