বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

কুষ্টিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হলেই বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা ফিরে পাবে

 স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা বলেছেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সে গতি ধরে রাখতে পারলে জিএসপি সুবিধায় ছাড় দেয়া ছাড়াও আমেরিকা এ শিল্পের উন্নয়নে আরো অনেক কিছু করতে প্রস্তুত। পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হলেই বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা ফিরে পাবে। মজিনা দণি-পশ্চিমাঞ্চলের ৬টি জেলা সফর শেষে বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রানা প্লাাজা ট্রাজেডির মতো হৃদয় বিদারক ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে দিকে বাংলাদেশ সরকারকে নজর দিতে হবে। সেই সাথে পোশাক কারখানার কাঠামোগত উন্নয়ন ও শ্রমিক অধিকার রায় বাংলাদেশকে আরো কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর বড় বড় পোশাক ক্রেতারা বাংলাদেশের যেসব কারখানা থেকে পোশাক কিনে থাকেন সেগুলো পরিদর্শনের জন্য এই প্রথমবারের মতো ১০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্যমূল্য, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও এই শিল্পের উন্নয়নে আর্ন্তজাতিক ক্রেতারা ১০০ মিলিয়ন ডলার তহবিল গঠনের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা অভাবনীয়।
এছাড়া বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কাজের পরিবেশ উন্নয়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাও (আইএলও) প্রথমবারের মতো ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। তারা কমপে ৮০০ কারাখানার পরিবেশ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে চায়। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত সংবাদ সম্মেলনে দণি-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলা সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই জনপদের বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন তাকে খুব মুগ্ধ করেছে। দণি-পশ্চিমাঞ্চলের ছয় জেলা নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ায় সফর শেষে ড্যান মজীনা এ সফরকে অত্যন্ত প্রাণবন্ত, গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করেন।
এই অঞ্চলের কৃষি, শিা, স্বাস্থ্য ও আর্থ-সামজিক অবস্থা সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে তিনি আরো বলেন, এসব েেত্র এ অঞ্চল যথেষ্ট সমৃদ্ধি অর্জন করেছে।
মজীনা বাংলাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের পাদপীঠ মেহেরপুরের মুজিবনগর পরিদর্শন করে তা অনুভুতির কথা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পৃথিবীর বুকে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা।
তিনি কুষ্টিয়ার রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ী, বাউল সম্রাট লালন শাহের আখঁড়াবাড়ীর কথা উল্লেখ করেন।
এ ছাড়াও নড়াইলের শিল্পী সুলতানের শিল্পকর্ম সম্পর্কে মজীনা বলেন, এটি তার এক অনবদ্য আবিষ্কার। যার কথা তিনি কোনোদিন ভুলতে পারবেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
এ সময় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা মেরিনা ইয়াসমিন, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন ও পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহমেদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন