
মুসলমানদের জন্য আল্লাহপাক দু’টি খুশির দিন হিসেবে মঞ্জুর করেছেন। একটি ঈদুল ফিতর এবং অন্যটি ঈদুল আজহা। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে ঈদুল ফিতর। সিয়ামের মাঝে রয়ে গেছে মহান রাব্বুল আলামিনের সীমাহীন রহমত, বরকত ও মাগফিরাত। সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে আল্লাহর ঘোষিত সেই সকল নিয়ামত আমাদের অর্জন করতে হবে।
সিয়াম থেকে শিা গ্রহণ করে বাকি এগারোটি মাস আল্লাহর নির্দেশমত এবং রাসূল (সা)-এর প্রদর্শিত পথে জীবন পরিচালনা করতে পারলেই কেবল আমরা সফল হতে পারি। ঈদের দিন-বহু প্রতীতি একটি খুশির দিন। এই খুশির কোনো তুলনা হয় না।
কিন্তু ঈদের খুশি সবাই সমানভাবে ভোগ করতে পারে না। বিশেষ করে যারা অভাবী, দরিদ্র-তাদেরতো ঈদ কাটে অনেক কষ্টে! ঈদের এই খুশির দিন যেন সবার জন্যই সমান আনন্দের হয় সেই দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের চারপাশে যেসকল গরিব-দুঃখী বন্ধু আছে, তাদের দিকে আনন্দের সাথে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। ভাগ করে নিতে হবে পরস্পর খুশি ও আনন্দকে। লোভ লালসা আর মোহ এ ভাগাভাগি যেন আমাদেরকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছে। যাদের মাথায় তেল আছে তাদের মাথায় শুধু তেল দেওয়া হয়। পুজিপতি সমাজ ব্যবস্থায় ধনী আরো ধনী হচ্ছে, গরীব আরো গরীব হচ্ছে। যাকাত ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা না থাকায় এ বৈষম্য আরও প্রকট হচ্ছে। একটি গরীব মানুষ যেভাবে রোজা রাখলো, একটি ধনী মানুষও সেভাবে রোজা রাখলো এক কাতারে নামাজ পড়লো। একই রক্তে মাংসে ও আত্মায় তৈরি মানুষ চলার পথে বৈষম্য। এ বৈষম্য দূর করতে হবে। ধনীদের আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন অভাবীদেরকে দেওয়ার জন্য। আল্লাহর পথে ব্যয় করার জন্য মানুষ তানা করে তা নিজের সম্পদ বলে আঁকড়ে রাখছে। এ সম্পদ একদিন ধ্বংস হবে। এই সম্পদই একদিন জানের কাল হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য সময় থাকতে সকলকে বুঝতে হবে। প্রত্যেকের হক আদায় করতে হবে। রমজানের মাসের এ হোক আমাদের শিা। আল্লাহ র
াব্বুল আলামিন আমাদের সিয়ামকে কবুল করুন, তার বিনিময়ে উত্তম পুরস্কার দান করুন এবং আমাদেরকে ঈদের খুশি যথাযথভাবে গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন।
আমাদের কন্ঠে আজ উচ্চারিত হোক-
“ঈদ মুবারক ঈদ মুবারক ঈদের সালাম নিন
আজকে শুধু ভালোবাসা ছড়িয়ে দেবার দিন।”
খালিদ হাসান সিপাহী
সম্পাদক
কুষ্টিয়ার দিগন্ত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন