রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৪

কুষ্টিয়ার দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদকের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলিম মিল্লাতের সর্ববৃহৎ উৎসব। আনুগত্যের উজ্জ্বল মহিমায় ভাস্বর এ ঈদ উল আজহা। ঈদুল আজহার উদ্দেশ্য স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা। কুরবানীর সঠিক তাৎপর্যকে উপলব্ধি করে যদি ধর্মপ্রাণ মানুষ কুরবানী দেয়, তাহলে ঈদ-উল-আজহার প্রকৃত উদ্দেশ্য সার্থক হবে। এই বিশেষ দিনটিকে কেন্দ্র করে গাড় হয় পরস্পরের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা, ভালবাসা এবং শ্রদ্ধাবোধ। আল্লাহ্তায়ালা ধনী-গরীব সবার মাঝেই ঈদের আনন্দ সমান-ভাবে বন্টনের যে শিক্ষা দিয়েছেন তা সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে এর তাৎপর্যকে তুলে ধরতে হবে। এই পবিত্র দিনে সুপ্রিয় পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহবান, ত্যাগে
র মহিমায় উজ্জল ঈদুল আজহার দিনে আনন্দ উৎসবে ভরে উঠুক সকলের মনপ্রাণ। সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, গরীব দুঃখীদের পাশে দাঁড়াই।। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা সবার জন্য বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও প্রশান্তি।
সারাবিশ্বের মুসলমানের কাছে ঈদুল আজহা কোরবানির ঈদ হিসেবে পরিচিত। এদিন মুসলমানরা জামাতে নামাজ আদায় করেন এবং সাধ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, উট ইত্যাদি পশু কিনে কোরবানির মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেন। প্রায় ৫,০০০ বছর আগে এ দিনে মহান আল্লাহর নির্দেশে তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহর নবী হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার প্রিয়তম সন্তান হযরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে আত্মত্যাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে আল্লাহর ইশারায় একটি দুম্বা কোরবানির মাধ্যমে সে নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়।
তখন থেকেই মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের নিদর্শন হিসেবে প্রতি বছর গৃহপালিত পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আত্মত্যাগের প্রতীকী পরীক্ষা দেয়ার বিধান চালু হয়। পরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে এই কোরবানি প্রত্যেক হাজির জন্য বাধ্যতামূলক (ওয়াজিব) করা হয়। এ ছাড়া, সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানকে কোরবানি করার জন্য ব্যাপক তাগিদ দেয়া হয়েছে। আমরা শুধু পশু কোরবানীই করবো না মনের পশুত্বগুলোকেও কোরবানী করবো।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পাঠক ও শুভানুধ্যয়ীর প্রতি রইল প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন- ঈদ মোবারক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন