শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আওয়ামীলীগ’র দু’গ্র“পের সংঘর্ষ ॥ গুলি ও ককটেল বিস্ফোরন ॥ আহত-১০

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
 কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দীক পরাজিত হওয়ার পর শহরে ব্যাপক তান্ডব শুরু করেছে। বক্কর সিদ্দিকের সশস্ত্র ক্যাডারর
া ধারালো ও ভারী অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে আওয়ামীলীগ’র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফের চাচা উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সহ-সভাপতি হাজী আখতারুজ্জামান মিঠু (৫০)কে। এরপর মুখে কালো কাপড় বেঁধে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে বোমা হামলা চালিয়েছে মাহাবুব-উল-আলম হানিফের ভাগ্নে আওয়ামীলীগ নেতা বিটু’র নওদাপাড়াস্থ বাসভবনে। এসময় সন্ত্রাসীরা বাড়ি লক্ষ করে অন্ততঃ ১০টি ককটেল বোমা বিস্ফোরন ঘটায় এবং ৬ রাউন্ড গুলি করে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মিঠু হাজী গ্রুপের সদস্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলে শুরু হয় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষে প্রায় ১০ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আওয়ামীলীগের ১ কর্মীকে আটক করেছে। এসময় শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাধারন মানুষ দিক বেদিক ছুটাছুটি শুরু করে। মুহুর্তের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় দোকান পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সহ-সভাপতি হাজী আখতারুজ্জামান মিঠু’র ঘনিষ্ঠ এক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ১৯ ফেব্রুƒয়ারী ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাহিরচর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীীলীগ’র সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক বিপুল ভোটে পরাজিত হলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানীর ৪০০ কেভি ব্যাক টু ব্যাক সাব ষ্টেশনের প্রায় ৩০০ নির্মান শ্রমিক কে চাকুরীচ্যুত করার হুমকি দেয় আবু বক্কর সিদ্দিক এবং তার ক্যাডাররা। শ্রমিকদের বলা হয়, চাকুরী করতে হলে বক্কর চেয়ারম্যানের প্রত্যায়নপত্র লাগবে। নতুবা চাকরী কারো থাকবে না। তোরা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে ভোট দিসনি। এ ঘোষনার ১ দিন পর গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় নির্মান শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গেলে আবু বক্কর সিদ্দীক’র সশস্ত্র ক্যাডাররা উপকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়। এসংবাদ হাজী আখতারুজ্জামান মিঠু পেলে তিনি গোলাপনগরস্থ উপকেন্দ্রে যান। এসময় আকস্মিক ভাবে ক্যাডার আনিচ, সুমন, মান্নান সহ ১০/১২ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মিঠু হাজীকে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনার পর আবু বক্কর সিদ্দিক’র অপর একটি গ্রুপ সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায় বিটু’র বসতবাড়ীতে।
ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আওয়ামীলীগ’র ১ কর্মী কে আটক করেছে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন