

জানা যায়, চাল উৎপাদনের বৃহৎ শিল্পনগরী কুষ্টিয়ার আইলচারা, বল্লভপুর খাজানগর। এখানে প্রায় ৩০/৩৫টি বৃহৎ এগ্রো ফুড প্রোডাক্ট অটো রাইচ মিলসহ ছোট-বড় প্রায় ৮০০ রাইসমিল গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি ধান সেদ্ধ-শুকানোসহ নানা প্রক্রিয়ার জন্য চাতালও রয়েছে দুই সহস্রাধিক। সেখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় আট হাজার টন চাল উৎপাদিত হয়। এখানকার উৎপাদিত চাউলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় সারা দেশসহ দেশের বাইরে রপ্তানী করা হয়। চালের চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় মিলাররা ও ব্যবসায়ীরা চাল উৎপাদনে যেমন আগ্রহী হয়ে উঠেছে তেমনি দিন দিন বেড়েই চলেছে অটো রাইচ মিলের সংখ্যা।
এলাকাবাসীর দাবী অটো রাইচ মিল বাড়লেও তা পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে না। অটো রাইচ মিলগুলোতে নির্দিষ্ট পরিমান উঁচু চিমনী থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ মিলে চিমনী নেই। চিমনী না থাকায় মিলের ছাই ময়লা উড়ে আশেপাশের বাড়িঘর যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি পখচারীদের চোখে মুখে পড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বল্লভপুর মোড়ের মিলের আশেপাশের কয়েকটি পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন মিলের ধোঁয়া, ছাই উড়ে তাদের বসবাসের উপযোগী আর নেই। আবাসিক এলাকার মধ্যে এসব মিল গড়ে উঠায় সব সময় ছাই উড়ে তাদের ঘরবাড়ি অন্ধকার হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে টিনের ঘর বসতবাড়িসহ গাছপালা। এসব ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে ওই সকল পরিবারগুলোতে চোখের রোগ, এ্যাজমাসহ অসুখ-বিসুখ যাচ্ছে না। পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বল্লভপুরের দোকানদাররাও ঠিকমত ব্যবসা করতে পারছে না। মিলের বিকট শব্দেও চরম সমস্যার সৃষ্টি করছে এলাকাবাসীকে।
সুত্রমতে, মিলের ধোঁয়া ও ছাই উড়া বন্ধে নির্দিষ্ট পরিমান উঁচু চিমনী ব্যবহার। মিলের নিচের দিকে হাওয়ার সাহায্যে একস্থানে স্তুপ করা যায়। চাতালগুলোতেও জ্বালানী তুষ ব্যবহারের জন্য চিমনী থাকলে এসব ছাই বাইরে উড়ে পড়েনা বলে অনেক মিলাররাও জানায়। কিন্তু বল্লভপুর,আইলচারা, খাজানগরে নিয়মতান্ত্রিকভাবে মিল গড়ে না উঠায় চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। ফলে এরই প্রতিবাদে ও পরিকল্পিতভাবে মিল গড়ে তোলার দাবীতে গতকাল শনিবার মানববন্ধন ও বিােভ মিছিল করেছে বল্লভপুর এলাকার লোকজন। তাদের দাবী মিলগুলোতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে চিমনি ব্যবহারসহ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে ছাই উড়া বন্ধ করতে হবে। মানববন্ধন শেষে বল্লভপুর মোড় থেকে আইলচারা বাজারে বিােভ মিছিল শেষে সমাবেশ করে। বক্তব্য রাখেন সমাজসেবক খাকছার আলী জোয়ার্দ্দার, ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন, গওহর আলী, ইরাদ আলী, মারুফ হাসান, ইসমাইল হোসেন, মতলেব হোসেন, হারুন-উর রশীদসহ এলাকার ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা জানান, এসব মিল থেকে অবিলম্বে ছাই উড়া বন্ধ না করা হলে এলাকাবাসী কঠোর কর্মসূচী নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন