
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কালুয়া গ্রামের আসকর আলী ঢাকা থেকে ফেরার পথে কুমারখালী বাসষ্ট্যান্ড থেকে তরমুজ কিনে বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ওই তরমুজ তার পরিবার ও নিকটতম প্রতিবেশীরা এক সঙ্গে খায়। এর কিছুণ পরই তারা সবাই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তাৎনিকভাবে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসার এক পর্যায়ে আশরাফ আলীর শিশু কন্যা স্মৃতি মারা যায়। গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় আসকর আলীর ছেলে অনিক (১১) কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
এছাড়াও অসুস্থ্যদের মধ্যে ফারুক (৯), মারুফ (১১), মিম (৯), জীম (৬), নিহারুল (৭০), ইসলাম আলী শেখ (৬০), রেখা (২২), ঝন্টুসহ (৩০) ৩৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশাংকাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ সালেক মাসুদ এ ব্যাপার জানান, ধারণা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীরা তরমুজ পাকানোর জন্য তরমুজে কোন কেমিকেল দেওয়ার ফলে তার বিষক্রিয়ার কারণে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। অথবা অন্য কোন খাদ্য গ্রহণের ফলেও এমনটি ঘটে থাকতে পারে, তবে প্রকৃত রহস্য পরবর্তীতে জানা যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন