এম খালিদ হুসাইন সিপাহী : ২০ হিজরী সনে দ্বিতীয় খলীফা ওমর (রাঃ)-এর শাসনামলে বিখ্যাত ছাহাবী আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ)-এর নেতৃত্বে সর্বপ্রথম মিসর বিজিত হয়। মিসরে তখন প্রবল খরা। নীলনদ পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। সেনাপতি আমরের নিকট সেখানকার অধিবাসীরা অভিযোগ তুলল, হে আমীর ! নীলনদ তো একটি নির্দিষ্ট নিয়ম পালন ছাড়া প্রবাহিত হয় না। তিনি বললেন, সেটা কি? তারা বলল, এ মাসের ১৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা কোন এক সুন্দরী যুবতীকে নির্বাচন করব। অতঃপর তার পিতা-মাতাকে রাযী করিয়ে তাকে সুন্দরতম অলংকারাদি ও উত্তম পোষাক পরিধান করানোর পর নীলনদে নিক্ষেপ করব। আমর ইবনুল আছ তাদেরকে বললেন, ইসলামে এ কাজের কোন অনুমোদন নেই। কেননা ইসলাম প্রাচীন সব জাহেলী রীতি-নীতিকে ধ্বংস করে দেয়।
শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৪
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৪
লালন শাহের ১২৪ তম তিরোধান দিবস কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় লালন আখড়াবাড়িতে হাজারো বাউল ভক্ত অনুরাগীদের মিলন মেলা
স্টাফ রিপোর্টার : ‘মানুষ ভজলেই সোনার মানুষ হবি’- এই স্লোগানে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১২৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী আলোচনা, সংগীতানুষ্ঠান ও লালন মেলা। ওইদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন কর
েন। অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনসহ লালন গবেষকসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। লালন উৎসবের আজ ৩য় দিন। লালন মাজার পাঙ্গনে বসেছে সাধুদের হাট। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পয়লা কার্তিক মানব ধর্মের প্রবর্তক উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক এই সাধকের মৃত্যুর পর কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় আখড়া কমিটি ও লালন একাডেমির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান চলে আসছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবারও পাঁচ দিনব্যাপী ঐতিহাসিক এই লালন মেলার উৎ্সব পালিত হচ্ছে।
েন। অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনসহ লালন গবেষকসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। লালন উৎসবের আজ ৩য় দিন। লালন মাজার পাঙ্গনে বসেছে সাধুদের হাট। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পয়লা কার্তিক মানব ধর্মের প্রবর্তক উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক এই সাধকের মৃত্যুর পর কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় আখড়া কমিটি ও লালন একাডেমির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান চলে আসছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবারও পাঁচ দিনব্যাপী ঐতিহাসিক এই লালন মেলার উৎ্সব পালিত হচ্ছে।
কুষ্টিয়া মিরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় শিশু নিহত
স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় শিশু নিহত হয়েছে। শিশুটির নাম বিপ্লব শেখ (১২)। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুরক
েল
চালাতে চালাতে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়কে উঠে।
এ সময় একটি ট্রাক তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।


এ সময় একটি ট্রাক তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৪
সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঈদুল আজহা পালিত

কুষ্টিয়ার দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদকের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

র মহিমায় উজ্জল ঈদুল আজহার দিনে আনন্দ উৎসবে ভরে উঠুক সকলের মনপ্রাণ। সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, গরীব দুঃখীদের পাশে দাঁড়াই।।
রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৪
কুষ্টিয়ার দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদকের ঈদ শুভেচ্ছা

মুসলমানদের জন্য আল্লাহপাক দু’টি খুশির দিন হিসেবে মঞ্জুর করেছেন। একটি ঈদুল ফিতর এবং অন্যটি ঈদুল আজহা। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে ঈদুল ফিতর। সিয়ামের মাঝে রয়ে গেছে মহান রাব্বুল আলামিনের সীমাহীন রহমত, বরকত ও মাগফিরাত। সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে আল্লাহর ঘোষিত সেই সকল নিয়ামত আমাদের অর্জন করতে হবে।
সিয়াম থেকে শিা গ্রহণ করে বাকি এগারোটি মাস আল্লাহর নির্দেশমত এবং রাসূল (সা)-এর প্রদর্শিত পথে জীবন পরিচালনা করতে পারলেই কেবল আমরা সফল হতে পারি। ঈদের দিন-বহু প্রতীতি একটি খুশির দিন। এই খুশির কোনো তুলনা হয় না।
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০১৪
১৯০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান স্কলারস্ ফাউন্ডেশনের বৃত্তি ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪
কুষ্টিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হলেই বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা ফিরে পাবে

তিনি বলেন, রানা প্লাাজা ট্রাজেডির মতো হৃদয় বিদারক ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে দিকে বাংলাদেশ সরকারকে নজর দিতে হবে। সেই সাথে পোশাক কারখানার কাঠামোগত উন্নয়ন ও শ্রমিক অধিকার রায় বাংলাদেশকে আরো কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর বড় বড় পোশাক ক্রেতারা বাংলাদেশের যেসব
শুক্রবার, ৯ মে, ২০১৪
কুষ্টিয়া জেলা কৃষকলীগের বর্ধিত সভায় মাহবুব উল আলম হানিফ বিরোধী অপশক্তি আজ সুপরিকল্পিতভাবে দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিতেতে উঠে পড়ে লেগেছে

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৪
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের(বিজিবি)৬ সদস্য আহত

এদের মধ্যে সুবেদার মহিউদ্দিন, ল্যান্স নায়েক শফিউল ইসলাম ও সিপাহী আব্দুল হালিমসহ ৪ জনকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে(সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
হেলিকপ্টারযোগে রোববার সকাল ৮টার দিকে তাদের ঢাকায় আনা হয়।
রোববার ভোরে কুষ্টিয়া শহরতলীর মঙ্গলবাড়িয়ার কা
নাবিলির মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়া বিজিবি সেক্টরের জিএসওটু মেজর মোঃ তারেক মাহমুদ সরকার জানান, রোববার রাতে পাশ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আটককৃত অবৈধ মালামাল নিয়ে কুষ্টিয়া সেক্টর মিরপুরে ফেরার পথে ভোর রাত ৫ দিকে কুষ্টিয়া শহরতলী কুষ্টিয়া-পাবনা সড়কের জুগিয়া-পালপাড়া নামক স্থানে পিক-আপ ভ্যানটির (নং কুষ্টিয়া-ঠ ১১-০০১১) টায়ার বিষ্ফোরন ঘটে একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ঐ গাড়ীতে থাকা কুষ্টিয়া বিজিবি সেক্টরের সুবেদার মহিউদ্দিন (৬৫), নায়েক মিজানুর রহমান (৪৫), ল্যান্স নায়েক আব্দুল হালিম (৩৫), ল্যান্স নায়েক ওবায়দুর রহমান (৩৮), ল্যান্স নায়েক শফিকুল ইসলাম (৩৯) ও ল্যান্স নায়েক সিরাজুল ইসলাম (৩৫) আহত হন। তাৎনিক তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় সুবেদার মহিউদ্দিন, ল্যান্স নায়েক আব্দুল হালিম, ল্যান্স নায়েক ওবায়দুর রহমান ও ল্যান্স নায়েক শফিকুল ইসলামকে ভোরেই হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার সিএমএইসে রেফার্ড করা হয়। নায়েক মিজানুর রহমান ও ল্যান্স নায়েক সিরাজুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্ঘটনা কবলিত বিজিবির পিক-আপ ভ্যানটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে।
দৌলতপুরে বায়েজিদ ম্যাচে আগুনে পুড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা ঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা এলাকার বায়েজিদ ম্যাচ ফ্যাক্টরীতে আগুনে ঝলসে যাওয়া শ্রমিক আব্দুস সাত্তার (৪৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে মারা গেছে। সে পাশ্ববর্তী সোনাইকুন্ডি লস্করপাড়া গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে।
বায়েজিদ ম্যাচ ফ্যাক্টরী কর্তৃপ ও প্রত্যদর্শীরা জানায়, গত ১৩ এপ্রিল বায়েজিদ ম্যাচ ফ্যাক্টরীতে অসাবধানতাবশত বারুদ থেকে আগুন লেগে গেলে শ্রমিক আব্দুস সাত্তারের শরীর ঝলসে যায়। ফ্যাক্টরী কর্তৃপ তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করে। ৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার ভোরে মারা সে মারা যায়। স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগার বিষয়টি বায়েজিদ ম্যাচ ফ্যাক্টরী কর্তৃপ গোপন রেখে আব্দুস সাত্তার কে গোপনেই চিকিৎসা করাচ্ছিল। তাছাড়া ফ্যাক্টরী কর্তৃপরে উদাসীনতার কারণে প্রায়ই অগ্নিকান্ড ও প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে।
বায়েজিদ ম্যাচ ফ্যাক্টরী কর্তৃপ ও প্রত্যদর্শীরা জানায়, গত ১৩ এপ্রিল বায়েজিদ ম্যাচ ফ্যাক্টরীতে অসাবধানতাবশত বারুদ থেকে আগুন লেগে গেলে শ্রমিক আব্দুস সাত্তারের শরীর ঝলসে যায়। ফ্যাক্টরী কর্তৃপ তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করে। ৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার ভোরে মারা সে মারা যায়। স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগার বিষয়টি বায়েজিদ ম্যাচ ফ্যাক্টরী কর্তৃপ গোপন রেখে আব্দুস সাত্তার কে গোপনেই চিকিৎসা করাচ্ছিল। তাছাড়া ফ্যাক্টরী কর্তৃপরে উদাসীনতার কারণে প্রায়ই অগ্নিকান্ড ও প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে।
দৌলতপুরে কলেজ ছাত্রীকে উত্যাক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটের হামলায় আহত ৫
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা ঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের ভাগজোত এলাকায় এক কলেজ ছাত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলায় কলেজ ছাত্রীর খালু সহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যদর্শীরা জানায়, ভাগজোত বাজার এলাকার ছেন্টু আলীর কন্যা ও বাগোয়ান গার্লস কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্রী লাবনী কে একই এলাকার বখাটে মামনু, মিঠুন, রিংকু, জামরুল ও তাদের সহযোগীরা কলেজে যাওয়া আসার পথে বিভিন্নভাবে উত্যাক্ত করত। এ ব্যাপারে রবিবার সকাল ৯ টার দিকে লাবনীর খালু আলেক মন্ডল প্রতিবাদ করলে ঐ বখাটেরা হাত কুড়াল ও ধারালো অস্ত্রদিয়ে আলেক কে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আলেকের স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও বখাটেরা হামলা চালায়। এতে আলেক মন্ডল (৪২) মইদুল (৩৫) হানিফ (৩২) হান্নান (৩৫) সহ ৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে আলেক ও হানিফকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যদর্শীরা জানায়, ভাগজোত বাজার এলাকার ছেন্টু আলীর কন্যা ও বাগোয়ান গার্লস কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্রী লাবনী কে একই এলাকার বখাটে মামনু, মিঠুন, রিংকু, জামরুল ও তাদের সহযোগীরা কলেজে যাওয়া আসার পথে বিভিন্নভাবে উত্যাক্ত করত। এ ব্যাপারে রবিবার সকাল ৯ টার দিকে লাবনীর খালু আলেক মন্ডল প্রতিবাদ করলে ঐ বখাটেরা হাত কুড়াল ও ধারালো অস্ত্রদিয়ে আলেক কে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আলেকের স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও বখাটেরা হামলা চালায়। এতে আলেক মন্ডল (৪২) মইদুল (৩৫) হানিফ (৩২) হান্নান (৩৫) সহ ৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে আলেক ও হানিফকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় মামলা হয়েছে।
কুমারখালীতে তরমুজ খেয়ে ২ শিশু’র মৃত্যু ॥ ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কালুয়া গ্রামের আসকর আলী ঢাকা থেকে ফেরার পথে কুমারখালী বাসষ্ট্যান্ড থেকে তরমুজ কিনে বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ওই তরমুজ তার পরিবার ও নিকটতম প্রতিবেশীরা এক সঙ্গে খায়। এর কিছুণ পরই তারা সবাই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তাৎনিকভাবে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসার এক পর্যায়ে আশরাফ আলীর শিশু কন্যা স্মৃতি মারা যায়। গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় আসকর আলীর ছেলে অনিক (১১) কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
এছাড়াও অসুস্থ্যদের মধ্যে ফারুক (৯), মারুফ (১১), মিম (৯), জীম (৬), নিহারুল (৭০), ইসলাম আলী শেখ (৬০), রেখা (২২), ঝন্টুসহ (৩০) ৩৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশাংকাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ সালেক মাসুদ এ ব্যাপার জানান, ধারণা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীরা তরমুজ পাকানোর জন্য তরমুজে কোন কেমিকেল দেওয়ার ফলে তার বিষক্রিয়ার কারণে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। অথবা অন্য কোন খাদ্য গ্রহণের ফলেও এমনটি ঘটে থাকতে পারে, তবে প্রকৃত রহস্য পরবর্তীতে জানা যাবে।
বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৪
কুষ্টিয়ায় সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের মানববন্ধন

ি পরিষদ। গত বুধবার সকালে কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জিলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী রুমী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অধ্য সোহরাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুর রহমান বাবলু,
কুষ্টিয়ায় দৈনিক হাওয়া পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে রুহুল আমিন গাজী

রুহুল আমিন গাজী বলেছেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার মিডিয়ার শত্র“। এ সরকার মতায় আসার পর একের পর এক মিডিয়ার উপর নগ্ন হস্তপে চালিয়েছে। এ সরকার মিডিয়ার বন্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তাদের ইতিহাস তারা ইতিপূর্বে মতায় এসে তাদের মদদপুষ্ট পত্রিকা বাদে সকল পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারা ফের মতায় এসে চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, দৈনিক আমারদেশ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে হাজার হাজার মিডিয়া কর্মীদের বেকার করে দিয়েছে। এ সরকার মিডিয়ার ভালো চায় না।
গত মঙ্গলবার দৈনিক হাওয়া পত্রিকার ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। দৈনিক হাওয়া পত্রিকার প্রকাশক অধ্যাপিকা ফাহিমা রুমীর সভাপতিত্বে ও দৈনিক হাওয়া পত্রিকার সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক হাওয়া পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি কুষ্টিয়া জিলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী রুমী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অধ্য সোহরাব উদ্দিন, জামায়াতের কুষ্টিয়া জিলা আমীর সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াহিদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যায় জিয়া পরিষদের সভাপতি ড. শহিদুর রহমান, ইবি শিক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তোজাম্মেল হোসেন, ড. মিজানুর রহমান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির ােসেন সরকার, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান হেলাল, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবীদসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ। শেষে প্রতিষ্ঠাব ার্ষিকীর কেক কাটা ও পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী আরও বলেন, গনতন্ত্র ও আওয়ামীলীগ এক সাথে চলতে পারেনা। তারা দেশ ও জাতির শত্র“। একতরফা ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মতায় এসে জনগণের আস্থা হারিয়েছে। জনগণের উপর তাদের অপশাসন চেপে বসেছে। দেশের মানুষ তাদের হাত থেকে মুক্তি চায়।এ জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আন্দোলন ছাড়া দেশের মানুষের মুক্তি মিলবে না।
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়ায় ২১ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে হামলা, শিকসহ আহত ৭

প্রত্যদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা চলার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাহাজুল মেম্বারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১০ থেকে ১২ জন কর্মী অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা দিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আওয়ামীলীগ’র দু’গ্র“পের সংঘর্ষ ॥ গুলি ও ককটেল বিস্ফোরন ॥ আহত-১০
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দীক পরাজিত হওয়ার পর শহরে ব্যাপক তান্ডব শুরু করেছে। বক্কর সিদ্দিকের সশস্ত্র ক্যাডারর
া ধারালো ও ভারী অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে আওয়ামীলীগ’র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফের চাচা উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সহ-সভাপতি হাজী আখতারুজ্জামান মিঠু (৫০)কে। এরপর মুখে কালো কাপড় বেঁধে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে বোমা হামলা চালিয়েছে মাহাবুব-উল-আলম হানিফের ভাগ্নে আওয়ামীলীগ নেতা বিটু’র নওদাপাড়াস্থ বাসভবনে। এসময় সন্ত্রাসীরা বাড়ি লক্ষ করে অন্ততঃ ১০টি ককটেল বোমা বিস্ফোরন ঘটায় এবং ৬ রাউন্ড গুলি করে ব্যাপক ভাংচুর করে।

া ধারালো ও ভারী অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে আওয়ামীলীগ’র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফের চাচা উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সহ-সভাপতি হাজী আখতারুজ্জামান মিঠু (৫০)কে। এরপর মুখে কালো কাপড় বেঁধে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে বোমা হামলা চালিয়েছে মাহাবুব-উল-আলম হানিফের ভাগ্নে আওয়ামীলীগ নেতা বিটু’র নওদাপাড়াস্থ বাসভবনে। এসময় সন্ত্রাসীরা বাড়ি লক্ষ করে অন্ততঃ ১০টি ককটেল বোমা বিস্ফোরন ঘটায় এবং ৬ রাউন্ড গুলি করে ব্যাপক ভাংচুর করে।
কুষ্টিয়ায় আবারও শহীদ মিনার ভাঙচুর
+Shohih+Menar+Pic--001.jpg)
এর আগে একই উপজেলার যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাংচুরের অভিযোগে জামায়াত কর্মী শামসুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালনে কুষ্টিয়ায় পথসভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক কৃষিবিদ সৈয়দ বেলাল হোসেন। গৌতম কুমার রায়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধন শেষে পথসভায় বক্তব্য রাখেন, কলামিষ্ট জহুরুল হক রঞ্জু চৌধুরী, আরশিনগর পত্রিকার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব,
কুষ্টিয়ার কবুরহাটে বাস চাপায় স্কুল ছাত্রী নিহত ॥ বাস ভাংচুর-সড়ক অবরোধ

প্রত্যদর্শীরা জানায়, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কবুরহাট কদমতলা গ্রামের আকবর আলীর কন্যা সাথী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। এমন সময় আলমডাঙ্গা-থেকে কুষ্টিয়াগামী গরীবুল্লাহ দ্রুতগামী পরিবহন ওই শিশুটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই শিশুটি রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে। ওই বাস চাপায় ঘটনা স্থলেই শিশুটি মারা যায়।
শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়ার নাজিরপুরে জমি বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষ নিহত ১, আহত-১০

জিরপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আব্দুল জব্বার নাজিরপুর গ্রামের খোকা মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নাজিরপুর গ্রামের আজাহার মন্ডলের সাথে জমি নিয়ে জহুরুল ইসলামের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। সকালে আজাহার মন্ডলের লোকজন বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান লাগাচ্ছিলেন। এ সময়
কুষ্টিয়ায় ১৯ দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়ায় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কালো পতাকা মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার = জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে অবৈধ সংসদ গঠন করার প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসাবে কুষ্টিয়ায় ১৯ দলীয় জোটের কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে মিছিলটি কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদিণ করে বড় বাজার রেল গেটে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলের শুরুতেই পুলিশ কালো পতাকা ব্যবহারে বাধা প্রদান করে। বাধা উপেক্ষা করে কালো পতাকা মিছিল করে নেতৃবৃন্দ। মিছিলে বিএনপি, জামায়াত, যুবদল, ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ছাড়াও মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন ১৯ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৪
ফারাজী মুন্সীর দরবার

সকলের আসর। সকল ধরনের প্রশ্নের বিজ্ঞ জবাব দিচ্ছেন ফারাজী মুন্সী। আপনার যে কোন সমস্যার সমাধান চেয়ে প্রশ্ন করুন
kushtiardiganta@gmail.com
উত্তর দিবেন ফারাজী মুন্সী।
উত্তর দিবেন ফারাজী মুন্সী।
দেখুন
www.kushtiardiganta.blogspot.com
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়ার আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত
কুষ্টিয়ায় ভালো নেই আশ্রয়ন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা। এসব আশ্রয়ন প্রকল্পে নানা অনিয়মের ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত এখানে বসবাসকারীরা। ফলে ভাসমান মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন তো ঘটেইনি বরং তাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। অনেকই আশ্রয়ন প্রকল্পে আসার পর পালিয়ে গেছে। জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলায় ৬ উপজেলায় মোট আশ্রয়ন প্রকল্পের সংখ্যা ২৭টি। আর গুচ্ছ গ্রাম ১৬টি। আর বাস্তবায়নের পথে ২টি। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্প গুলো হচ্ছে গড়াই-১, চৌড়হাস, আলামপুর-১ ও জুগিয়া। এছাড়াও এই উপজেলায় জগতি নামে একটি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে।
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়ার চাপড়ায় চর দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-১৫
স্টাফ রিপোর্টার ॥ চর দখলকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া কুমারখালীর চাপড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে আইনাল হক (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১২ জন। রেবাবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের চর চাপড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গত বছর চর চাপড়া গ্রামে চরদখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আকবর আলী মেম্বর ও নেহের আলী-বদি হোসেন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একটি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল। এর জের ধরে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে আকবর আলী মেম্বর ও নেহের আলী-বদি হোসেন গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপরে আঘাতে নহের আলী-বদি হোসেন গ্রুপের সমর্থক আইনাল হক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। তারা গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আইনাল শেখ চড়চাপড়া গ্রামের নিহত মৃত রিয়াজ উদ্দিন শেখের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, গত বছর চর চাপড়া গ্রামে চরদখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আকবর আলী মেম্বর ও নেহের আলী-বদি হোসেন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একটি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল। এর জের ধরে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে আকবর আলী মেম্বর ও নেহের আলী-বদি হোসেন গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপরে আঘাতে নহের আলী-বদি হোসেন গ্রুপের সমর্থক আইনাল হক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। তারা গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আইনাল শেখ চড়চাপড়া গ্রামের নিহত মৃত রিয়াজ উদ্দিন শেখের ছেলে।
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়ায় শিবিরের শীতবস্ত্র বিতরণ

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৪
অগ্নিদগ্ধ রাখীর পাশে দাড়ালেন গড়াই স্টুডেন্টস ফোরাম

জানা যায়, গত ২৭ ডিসেম্বর রাখীর শরীরের প্রায় ৬০% অংশ আগুনে পুড়ে যায়। বেশ কিছু দিন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা হওয়ার পর তার শারিরীক উন্নতি না হওয়ায় ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। কিন্তু রাখীর পিতার সে সমর্থন নেই। তাই উন্নত চিকিৎসার অভাবে রাখী চিকিৎসার অভাবে অসহনীয় জ্বালা যন্ত্রনায় ভূগছিল। এমতাবস্থায় তার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসে কুষ্টিয়ার গড়াই স্টুডেন্টস ফোরাম । উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে বার্ন ইউনিট এ ভর্তি করে। রাখীকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছে গড়াই স্টুডেন্টস ফোরাম। রাখীর ঢাকার চিকিৎসার সর্বপ্রকার খরচের দায়িক্ত নিয়েছেন গড়াই স্টুডেন্টস ফোরামের আমেরিকার সহযোগি রেইনার এবার্ট ও ড.মাকসুদ আফরোজ। রাখীকে এতো বড় সহযোগিতা করার জন্য গড়াই স্টুডেন্টস ফোরামের সকল সদস্য সদস্যাবৃন্দ রেইনার এবার্ট ও ড.মাকসুদ আফরোজ কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কুমারখালীতে ইমামদের সাথে নাটাব এর মতবিনিময়
স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাংলাদেশ জাতীয় যা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর সাথে যা নিয়ন্ত্রন ও সচেতনতার লে ইমামদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ জানুয়ারী দুপুরে শহরের কাজীপাড়া ইসলামীক ফাউন্ডেশনের শিশু শিক্ষা প্রকল্পের বিদ্যালয়
কেন্দ্রে এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসার আব্দুস সালম।
জাতীয় ইমাম সমিতির নির্বাহী সদস্য হাকীম আব্দুল কুদ্দুস এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র মেডিকেল অফিসার ডা: পরীক্ষিত পাল ও নাটাব কুষ্টিয়ার সহ-সভাপতি রফিকুর ইসলাম টুকু। মতবিনিময় সভায় উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের বাছাইকৃত ২৫জন ইমাম অংশ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধায়নে ছিলেন ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও নাটাব এর ফিল্ড লেভেল স্টাফ বিধান কুমার দত্ত।
কেন্দ্রে এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসার আব্দুস সালম।
জাতীয় ইমাম সমিতির নির্বাহী সদস্য হাকীম আব্দুল কুদ্দুস এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র মেডিকেল অফিসার ডা: পরীক্ষিত পাল ও নাটাব কুষ্টিয়ার সহ-সভাপতি রফিকুর ইসলাম টুকু। মতবিনিময় সভায় উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের বাছাইকৃত ২৫জন ইমাম অংশ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধায়নে ছিলেন ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও নাটাব এর ফিল্ড লেভেল স্টাফ বিধান কুমার দত্ত।
কুষ্টিয়ায় বেড়েই চলেছে যা রোগীর সংখ্যা

এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, জেলার ৬টি উপজেলা ও সিডিসিভুক্ত পৌর এলাকা ২০১৩ সালে সর্বমোট ২২৯৮জন রোগীকে সনাক্ত করে তাদের বিভিন্ন পরীা-নিরিা করে আধুনিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে কুষ্টিয়াসহ ৫টি সিডিসিভুক্ত পৌর এলাকায় ৯৯ জন। কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৩৯৩ জন, কুমারখালী ৩৭১ জন, খোকসায় ২১৫ জন, মিরপুরে ৪২০ জন, ভেড়ামারায় ২৪০ এবং দৌলতপুর উপজেলায় ৬৬০ জন বিভিন্ন ধরনের যায় আক্রান্ত হয়েছেন। কুষ্টিয়া ব ব্যাধি কিনিকের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ হালিমা খাতুন জানান, এসব রোগীদের তিনটি কোয়ার্টারে ভাগ করে কাশি সংগ্রহ করে বিভিন্ন পরীা-নিরীার পর প্রয়োজনে রোগীর ধরন বুঝে এক্স-রে করিয়ে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়। বর্তমানে কিনিকে ইউএস এইডের দেয়া মাল্টি ড্রাগস রেজিষ্টেন্ট (এমডিআর) কাশি পরীার আধুনিক দুটি যন্ত্র দিয়ে মাত্র ২ঘন্টায় রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যেহেতু নিজেদের এক্স-রে মেশিন বিকল তাই পৌরসভার বাইরের রোগীদের এক্স-রে খরচ বহন করে ব্র্যাক।
ব্র্যাক সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬টি উপজেলায় ব্র্যাকের ৩৫টি কেন্দ্র রয়েছে। এদের কর্মীসংখ্যা ৪২। স্বাস্থ্যসেবিকা ডটস কার্যক্রমে রয়েছে ১২৬৩ জন। স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে ৭৯ জন। প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বুধবার গ্রামে গঞ্জে রোগীর কাশি সংগ্রহ চলে। এটা পরীা-নিরীার জন্য কমিউনিটি সেন্টার অথবা এফডাবিউসিতে জমা দেয়া হয়। এছাড়াও জেলায় ব্র্যাকের মোট ১২টি ল্যাব রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি ল্যাব রয়েছে ভ্রাম্যমাণ। এরা সাটেলাইট সেবা প্রদান করে থাকে। কাশি থেকে রোগ ধরা পড়লে তখন ওই রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এরপর ব্র্যাকের ডটস পদ্ধতিতে ৬ মাস চিকিৎসা প্রদানের মধ্যদিয়ে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা হয়। সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও ব্র্যাক যৌথভাবে কুষ্টিয়ার প্রতিটি অঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে বর্তমানে যা রোগ এখন আর আতঙ্কের কিছু নয় বলে তাদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া যায়। তবে যার ওষুধের জন্য গবেষক, চিকিৎসককে যুগ যুগ ধরে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। আর যা নামের এই ব্যাধি মানবজীবন থেকে কেড়ে নিয়েছে অনেক মূল্যবান প্রাণ। অনেকের প্রিয়জন চলে গেছে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। মানুষ যা থেকে রার মুক্তির পথ খুঁজেছে বছরের পর বছর ধরে। সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা জগতেও এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। যায় যতটা না তি হয়েছে তার চেয়ে বেশি তি হয়েছে সমাজের মধ্যে সুদীর্ঘকাল ধরে যে কুসংস্কার, অপচিকিৎসা, অশিা-কুশিার ফলে। মূলত কুসংস্কার ও মানুষের মধ্যে এই রোগ সম্পর্কে যে ভীতি ছিল তা কুরে কুরে খেয়েছে মানব সভ্যতাকে।
যা রোগ নিয়ন্ত্রণে গত কয়েক বছর ব্র্যাক তাদের তৎপরতা নিয়ে জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ শুরু করেছিল। গণসচেতনতা তারা বেশ সাড়া ফেলেছিল কিন্তু গত বছর তাদের কার্যক্রম খুব একটি প্রভাব ফেলতে পারেনি। তাদের কর্মকান্ড এখন সভা আর সমাবেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণেই জেলায় যা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যা রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি ও অন্যান্য সংস্থা সংগঠন এগিয়ে আসবেন এ দাবী জেলার সুশীল সমাজের।
কুষ্টিয়াসহ দণি-পশ্চিমাঞ্চলের দেড় শতাধিক অস্ত্র লুট মামলা ফাইল বন্দী
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সন্ত্রাসের জনপদ কুষ্টিয়াসহ দেশের দণি-পশ্চিমাঞ্চলে চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের হাতে লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে তেমন কোনো বড় সফলতা দেখাতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রাকারী বাহিনী। অস্ত্র লুটে
র দেড় শতাধিক মামলাও দীর্ঘদিন যাবৎ রয়েছে ফাইল বন্দী।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, সন্ত্রাস কবলিত অঞ্চল কুষ্টিয়ায় ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পুলিশ ও আনসারের মোট ১৩৭টি আগ্নেয়াস্ত্র লুণ্ঠিত হয়েছে। অস্ত্র লুটের সময় চরমপন্থীরা হত্যা করেছে পুলিশ ও আনসারের ৮ সদস্যকে। এসব হত্যাকা-ে জড়িতদের ধরতেও ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। এ ঘটনায় করা মামলাগুলো প্রয়োজনীয় তদন্ত ও স্যা প্রমাণের অভাবে বছরের পর বছর ফাইল বন্দী রয়েছে। একের পর এক অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠনগুলোর সদস্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায়
র দেড় শতাধিক মামলাও দীর্ঘদিন যাবৎ রয়েছে ফাইল বন্দী।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, সন্ত্রাস কবলিত অঞ্চল কুষ্টিয়ায় ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পুলিশ ও আনসারের মোট ১৩৭টি আগ্নেয়াস্ত্র লুণ্ঠিত হয়েছে। অস্ত্র লুটের সময় চরমপন্থীরা হত্যা করেছে পুলিশ ও আনসারের ৮ সদস্যকে। এসব হত্যাকা-ে জড়িতদের ধরতেও ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। এ ঘটনায় করা মামলাগুলো প্রয়োজনীয় তদন্ত ও স্যা প্রমাণের অভাবে বছরের পর বছর ফাইল বন্দী রয়েছে। একের পর এক অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠনগুলোর সদস্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায়
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়ায় এক বছরে ৩৬ নারী খুন: ২০ জন ধর্ষিত
স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারীদের জন্য আতঙ্কের জন পদ কুষ্টিয়া। ঘরে বাইরে সবখানেই অনিরাপদ কুষ্টিয়ার নারীরা। উদ্বেগ জনক হারে বেড়েছে, খুন, ধর্ষন, নির্যাতনসহ নানা ধরনের সহিংস মুলক ঘটনা। যৌতুকের কারনে হত্যা, পারিবারিক বিরোধের জেরধরে হত্যা, নির্যাতনের পর হত্যা, ধর্ষন করে হত্যাসহ বিভিন্ন কায়দায় গত এক বছরে কুষ্টিয়ায় ৩৬ নারী খুন ও ২০ নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। হত্যকান্ড থেকে বাদ পড়েনি নিস্পাপ শিশু, বুদ্ধা কিংবা যুবতী কেউ। আবার এসব নারীদের মধ্যে কেউ কেউ হয়েছেন অপরাধীদের লালসার শিকার। হত্যকান্ডের পর শরীরের বিভিন্ন অংশ খন্ড বিখন্ডের ঘটনাও রয়েছে। অনেক সময় শ্বাসরোধে হত্যার পর আতœহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া ঘটনাও নেহাত কম নয়। প্রাপ্ত তথ্য মতে জেলায় গত এক বছরে জেলায় ৩৬ জন নারী হত্যাকান্ডের শিকার এবং ২০জন নারী ধর্ষিত হয়েছে। সুত্র জানায়, ২৫ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা
কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ একজনকে আটক করেছে র্যাব
স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ একজনকে আটক করেছে র্যাব।
শনিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব অস্ত্রসহ ওই আসামীকে আটক করে।
র্যাব-১২ জানায়, র্যাব‐১২, সিপিসি‐১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের র্যাবের একটি আভিযানিক দল কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন বড়বড়ি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বড়বড়ি ও খলিশাকুন্ডি গ্রামের চলমান মাটির রাস্তার ডুমুরতলা নামক স্থানে কাচা রাস্তার উপর হতে অস্ত্র ব্যবসায়ী মোঃ রইলদ্দিন (৩৯), পিতা মোঃ তাহির উদ্দিন, সাং-বড়বড়ি, থানাঃ মিরপুর, জেলাঃ কুষ্টিয়াকে বিদেশী তৈরী ০১ (এক) টি সিলভার রংয়ের ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ০১ (এক) টি ম্যাগাজিন, ০৩ (তিন) রাউন্ড পিস্তলের গুলিসহ গ্রেফতার করে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব অস্ত্রসহ ওই আসামীকে আটক করে।
র্যাব-১২ জানায়, র্যাব‐১২, সিপিসি‐১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের র্যাবের একটি আভিযানিক দল কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন বড়বড়ি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বড়বড়ি ও খলিশাকুন্ডি গ্রামের চলমান মাটির রাস্তার ডুমুরতলা নামক স্থানে কাচা রাস্তার উপর হতে অস্ত্র ব্যবসায়ী মোঃ রইলদ্দিন (৩৯), পিতা মোঃ তাহির উদ্দিন, সাং-বড়বড়ি, থানাঃ মিরপুর, জেলাঃ কুষ্টিয়াকে বিদেশী তৈরী ০১ (এক) টি সিলভার রংয়ের ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ০১ (এক) টি ম্যাগাজিন, ০৩ (তিন) রাউন্ড পিস্তলের গুলিসহ গ্রেফতার করে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার খোকসায় বিএনপির বিােভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
খোকসা প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার খোকসায় থানা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিােভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে থানা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে খোকসা থানা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আমজাদ আলীর সভাপতিত্বে
আজ পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সাঃ)
স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ মঙ্গলবার ১২ রবিউল আউয়াল। বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী রহমাতুল্লিল আলামিন সাইয়েদুল মুরসালিন খাতামুন্নাবিয়ীন তাজদারে মদীনা জগৎকুল শিরোমণি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সাঃ) নামে পরিচিত। আজ থেকে ১৪শ’ ৪৩ বছর পূর্বে ৫৭০ খৃস্টাব্দে এ দিনে সুবহে সাদেকের সময় মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমেনার গর্ভে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পূর্বেই তিনি পিতৃহারা হন এবং জন্মের অল্পকাল পরই বঞ্চিত হন মাতৃস্নেহ থেকে। অনেক দুঃখ, কষ্ট ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হয়ে ওঠেন। চল্লিশ বছর বয়সে
শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ১৮ দলীয় জোটের বিােভ সমাবেশ

-আব্দুল ওয়াহেদ
৫ জানুয়ারীর প্রহসনের নির্বাচন করে মহাজোটের মতায় থাকার কোন সুযোগ নেই
-অধ্য সোহরাব উদ্দিন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল, নেতা-কর্মী হত্যা, মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে কুষ্টিয়া শহর ও সদর থানা ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিােভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে সদর উপজেলা মোল্লাতেঘরিয়া মোড়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জেলা ১৮ দলীয় জোটের যুগ্ম আহবায়ক সদর থানা ১৮ দলীয় জোটের আহবায়ক সাবেক এমপি অধ্য সোহরাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর জেলা ১৮ দলীয় জোটের যুগ্ম আহবায়ক সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াহেদ। সদর থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মজমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাড.
কুষ্টিয়ার খোকসায় বিএনপির বিােভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের বাসভবন ল্য করে ককটেল বিস্ফোরন ॥ আহত-২

পরিবেশ দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিােভ মিছিল কুষ্টিয়ার বল্লভপুরে অপরিকল্পিতভাবে অটোরাইচ মিল গড়ে তোলায় জনদূর্ভোগ বেড়েছে


কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ একজনকে আটক করেছে র্যাব

শনিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব অস্ত্রসহ ওই আসামীকে আটক করে।
র্যাব-১২ জানায়, র্যাব‐১২, সিপিসি‐১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের র্যাবের একটি আভিযানিক দল কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন বড়বড়ি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বড়বড়ি ও খলিশাকুন্ডি গ্রামের চলমান মাটির রাস্তার ডুমুরতলা নামক স্থানে কাচা রাস্তার উপর হতে অস্ত্র ব্যবসায়ী মোঃ রইলদ্দিন (৩৯), পিতা মোঃ তাহির উদ্দিন, সাং-বড়বড়ি, থানাঃ মিরপুর, জেলাঃ কুষ্টিয়াকে বিদেশী তৈরী ০১ (এক) টি সিলভার রংয়ের ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ০১ (এক) টি ম্যাগাজিন, ০৩ (তিন) রাউন্ড পিস্তলের গুলিসহ গ্রেফতার করে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়ায় এক বছরে ৩৬ নারী খুন: ২০ জন ধর্ষিত
স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারীদের জন্য আতঙ্কের জন পদ কুষ্টিয়া। ঘরে বাইরে সবখানেই অনিরাপদ কুষ্টিয়ার নারীরা। উদ্বেগ জনক হারে বেড়েছে, খুন, ধর্ষন, নির্যাতনসহ নানা ধরনের সহিংস মুলক ঘটনা। যৌতুকের কারনে হত্যা, পারিবারিক বিরোধের জেরধরে হত্যা, নির্যাতনের পর হত্যা, ধর্ষন করে হত্যাসহ বিভিন্ন কায়দায় গত এক বছরে কুষ্টিয়ায় ৩৬ নারী খুন ও ২০ নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। হত্যকান্ড থেকে বাদ পড়েনি নিস্পাপ শিশু, বুদ্ধা কিংবা যুবতী কেউ। আবার এসব নারীদের মধ্যে কেউ কেউ হয়েছেন অপরাধীদের লালসার শিকার। হত্যকান্ডের পর শরীরের বিভিন্ন অংশ খন্ড বিখন্ডের ঘটনাও রয়েছে। অনেক সময় শ্বাসরোধে হত্যার পর আতœহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া ঘটনাও নেহাত কম নয়। প্রাপ্ত তথ্য মতে জেলায় গত এক বছরে জেলায় ৩৬ জন নারী হত্যাকান্ডের শিকার এবং ২০জন নারী ধর্ষিত হয়েছে। সুত্র জানায়, ২৫ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ইউসুফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর মৃত লাশ উদ্ধার করা হয় একটি ইট ভাটার পুকুর থেকে। ১ ফেব্রুয়ারী কুমারখালিতে নাসিমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধুকে যৌতুকের দাবিতে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠে।
কুষ্টিয়ায় এক বছরে ৬৭৩ অগ্নিকান্ড
কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় এক বছরে ৬৭৩টি অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটনার েেত্রই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে গ্রাম এলাকার তামাকচুল্লি ও পানের বরজের পাটকাঠির বেড়া থেকে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রামগঞ্জের জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা না থাকায় অগ্নিকা-ের ঘটনা বেশি ঘটছে। কুষ্টিয়ার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয় থেকে জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ১১২টি, ফেব্রুয়ারিতে ১২৩, মার্চে ৩১০, এপ্রিলের ১২৮টি অগিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার তি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৯ মার্চ মিরপুর উপজেলার পাহাড়পুর ও আমকাঁঠালিয়া গ্রামে তামাকের চুল্লিতে আগুন লাগে। ২৪ মার্চ একই উপজেলার ছাতিয়ান, পাহাড়পুর, ধুবইল ও চিথলিয়া গ্রামে তামাকের চুল্লিতে আগুন লেগে ব্যাপক তি হয়। এসব জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
৪ মার্চ ভেড়ামার রতনদিয়া, ১৮ মার্চ দৌলতপুরের মথুরাপুর, ১৯ মার্চ ভেড়ামারার বাহাদুরপুর, ২৩ মার্চ চককৃষণপুর, ২৪ মার্চ মাহাদেব ও ২৭ মার্চ মেঘনাপাড়ায় পানের বরজে আগুন লেগে ব্যাপক য়তি হয়। জানা যায়, দেশের মধ্যে বৃহত্তর কুষ্টিয়ায় তামাকের আবাদ হয় সবচেয়ে বেশি। এ সব তামাক পোড়াতে চুল্লি তৈরি করা হয়। এ ছাড়া এ অঞ্চলে প্রচুর পানের বরজ রয়েছে। পানের বরজের বেড়া তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে পাঠকাঠি। সরেজমিনে দেখা গেছে, তামাক পোড়ানোর জন্য বাড়ির উঠানে বা বসতবাড়ির পাশেই চুল্লি তৈরি করা হয়। ফলে আগুন লাগলে তা দ্রুত বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া তামাকচুল্লির আগুনের ছাই বাড়ির পাশেই ফেলে রাখা হয়। দাবদাহে এসব ছাই থেকেও আগুন লেগে যায়। গ্রীষ্মে দাবদাহে এসব বরজের পাটকাঠির বেড়া গরম হয়ে থাকে। এসব বেড়াসংলগ্ন এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে বিড়ি-সিগারেটের আগুন যেখানে-সেখানে ফেলার কারণে প্রায়ই বড় ধরনের অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পানের বরজ ও তামাকচুল্লিতে আগুন লাগার কয়েক মিনিটের মধ্যে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে না যেতেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কুষ্টিয়ায় এক বছরে ৬৭৩টি অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটনার েেত্রই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে গ্রাম এলাকার তামাকচুল্লি ও পানের বরজের পাটকাঠির বেড়া থেকে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রামগঞ্জের জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা না থাকায় অগ্নিকা-ের ঘটনা বেশি ঘটছে। কুষ্টিয়ার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয় থেকে জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ১১২টি, ফেব্রুয়ারিতে ১২৩, মার্চে ৩১০, এপ্রিলের ১২৮টি অগিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার তি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৯ মার্চ মিরপুর উপজেলার পাহাড়পুর ও আমকাঁঠালিয়া গ্রামে তামাকের চুল্লিতে আগুন লাগে। ২৪ মার্চ একই উপজেলার ছাতিয়ান, পাহাড়পুর, ধুবইল ও চিথলিয়া গ্রামে তামাকের চুল্লিতে আগুন লেগে ব্যাপক তি হয়। এসব জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
৪ মার্চ ভেড়ামার রতনদিয়া, ১৮ মার্চ দৌলতপুরের মথুরাপুর, ১৯ মার্চ ভেড়ামারার বাহাদুরপুর, ২৩ মার্চ চককৃষণপুর, ২৪ মার্চ মাহাদেব ও ২৭ মার্চ মেঘনাপাড়ায় পানের বরজে আগুন লেগে ব্যাপক য়তি হয়। জানা যায়, দেশের মধ্যে বৃহত্তর কুষ্টিয়ায় তামাকের আবাদ হয় সবচেয়ে বেশি। এ সব তামাক পোড়াতে চুল্লি তৈরি করা হয়। এ ছাড়া এ অঞ্চলে প্রচুর পানের বরজ রয়েছে। পানের বরজের বেড়া তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে পাঠকাঠি। সরেজমিনে দেখা গেছে, তামাক পোড়ানোর জন্য বাড়ির উঠানে বা বসতবাড়ির পাশেই চুল্লি তৈরি করা হয়। ফলে আগুন লাগলে তা দ্রুত বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া তামাকচুল্লির আগুনের ছাই বাড়ির পাশেই ফেলে রাখা হয়। দাবদাহে এসব ছাই থেকেও আগুন লেগে যায়। গ্রীষ্মে দাবদাহে এসব বরজের পাটকাঠির বেড়া গরম হয়ে থাকে। এসব বেড়াসংলগ্ন এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে বিড়ি-সিগারেটের আগুন যেখানে-সেখানে ফেলার কারণে প্রায়ই বড় ধরনের অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পানের বরজ ও তামাকচুল্লিতে আগুন লাগার কয়েক মিনিটের মধ্যে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে না যেতেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কুষ্টিয়ায় ২০১৩ সালে এক বছরে ১১৭ খুন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুষ্টিয়ায় গত এক বছরে ১১৭ খুনের ঘটনা ঘটেছে। বছর জুড়ে চলেছে হত্যা-খুন এবং অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ঘটনা। কুষ্টিয়ায় খুনের হিংস্রতা, বর্বরতা, নৃশংসতা ও পৈশাচিকতা যেন জাহেলী যুগের এক প্রতিচ্ছবি। পৃথিবীর সব বর্বরতাকে হার মানিয়ে মায়ের হাতে সন্তান খুন, ছেলের হাতে পিতা খুন, ভাইয়ের হাতে ভাই এমনকি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা খুনের নির্লজ্জ ইতিহাস রচিত হয়েছে এই কুষ্টিয়ায়। লোমহর্ষক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের কারণে সমগ্র জেলা আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়। পুলিশ প্রশাসন খুন ঠেকাতে অনেকটা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, শ্রমিক, চালক-মালিক, অজ্ঞাত ব্যক্তি, শিশু ও নারীসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে খুন করা হয়েছে। বছরের শুরুতে পুলিশের হাতকড়া লাগানো অবস্থায় এক বিএন
পি নেতা খুনের বিষয়টি যেমন আলোচিত তেমনি বছরের শেষ দিকে জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়ায় জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বার অব কর্মাস ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালকে গুলি করে হত্যা তেমনি ভাবে আলোচিত হয়েছে। তবে অবাক করা বিষয় বছর জুড়ে এসব হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলেও হোতাদের বেশির ভাগ থেকেছে ধরা ছোঁয়র বাইরে। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে জেলায় ১১৭টি খুনে ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৯, ফেব্রুয়ারি মাসে ৯, মার্চ মাসে ১২, এপ্রিল মাসে ৭, মে মাসে ১১, জুন মাসে ১১, জুলাই মাসে ১৩, আগস্ট মাসে ১০, সেপ্টেম্বর মাসে ৯, অক্টোবর মাসে ১০, নভেম্বর মাসে ৯ এবং ডিসেম্বর মাসে ৭টি খুন সংঘটিত হয়েছে। সুত্র জানায়, ৩ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই জন নিহত হয়। নিহতরা হলেন-
পি নেতা খুনের বিষয়টি যেমন আলোচিত তেমনি বছরের শেষ দিকে জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়ায় জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বার অব কর্মাস ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালকে গুলি করে হত্যা তেমনি ভাবে আলোচিত হয়েছে। তবে অবাক করা বিষয় বছর জুড়ে এসব হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলেও হোতাদের বেশির ভাগ থেকেছে ধরা ছোঁয়র বাইরে। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে জেলায় ১১৭টি খুনে ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৯, ফেব্রুয়ারি মাসে ৯, মার্চ মাসে ১২, এপ্রিল মাসে ৭, মে মাসে ১১, জুন মাসে ১১, জুলাই মাসে ১৩, আগস্ট মাসে ১০, সেপ্টেম্বর মাসে ৯, অক্টোবর মাসে ১০, নভেম্বর মাসে ৯ এবং ডিসেম্বর মাসে ৭টি খুন সংঘটিত হয়েছে। সুত্র জানায়, ৩ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই জন নিহত হয়। নিহতরা হলেন-
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মঙ্গলবার
স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানুষ যখন
বিভ্রান্ত হয়ে সত্য ও সঠিক পথ ছেড়ে অধঃপতনের শেষ সীমায় উপনীত হয়। তখনই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পথহারা মানুষকে মুক্তির জন্য নবী ও রাসুল প্রেরণ করেন। জাহেলী যুগে আরব জাহানে যখন নেমে এলো চারিদিকে গাঢ় অন্ধকার ঠিক সেই মুহুর্তে বিশ্বের ভার্গাকাশে উদিত হলো মানবতার মুক্তির দূত মোহাম্মদ (সাঃ)। বহু প্রতিীত নবী মোহাম্মদ (সাঃ) আব্দুল্লাহর ঘরে মা আমেনার কোলে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ শে আগষ্ট রবিউল আউয়াল চাঁদের ১২ তারিখে সুবহে সাদিকের সময় এ পৃথিবীতে আগমন করলেন। তার আগমনে আকাশ বাতাসে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো।
বিভ্রান্ত হয়ে সত্য ও সঠিক পথ ছেড়ে অধঃপতনের শেষ সীমায় উপনীত হয়। তখনই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পথহারা মানুষকে মুক্তির জন্য নবী ও রাসুল প্রেরণ করেন। জাহেলী যুগে আরব জাহানে যখন নেমে এলো চারিদিকে গাঢ় অন্ধকার ঠিক সেই মুহুর্তে বিশ্বের ভার্গাকাশে উদিত হলো মানবতার মুক্তির দূত মোহাম্মদ (সাঃ)। বহু প্রতিীত নবী মোহাম্মদ (সাঃ) আব্দুল্লাহর ঘরে মা আমেনার কোলে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ শে আগষ্ট রবিউল আউয়াল চাঁদের ১২ তারিখে সুবহে সাদিকের সময় এ পৃথিবীতে আগমন করলেন। তার আগমনে আকাশ বাতাসে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো।
৩০ শালা পানি চুক্তির ১৮ বছর অতিক্রম করলেও ন্যায্য হিস্যা পায়নি বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ভারত পানি চুক্তির ১৮ বছরেও চুক্তি অনুযায়ী পানি পায়নি বাংলাদেশ। এবারো বাংলাদেশ পদ্মা নদীর পানি অনেক কম পেয়েছে। পানি প্রাপ্যতা যাচাই করতে প্রতি বছরের ন্যায় পর্যবেণ চলছে। এতে বাংলাদেশের আশার পানি চুক্তি জন্য হতাশায় থেকে যাচ্ছে। কারণ এবারও চুক্তি অনুযায়ী পানি পাচ্ছেনা। ৩০ শালা পানিচুক্তি অনুযায়ী পানি না পাওয়ায় ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে পদ্মা গড়াই নদীসহ ১৮টি নদী পানি শূণ্য হয়ে পড়েছে। পদ্মা নদীতে পানি শূন্যতার কারণে হাডিঞ্জ ব্রীজের ১১টি স্প্যান চরের উপর দাঁড়িয়ে আছে। বৃহত্তর কুষ্টিয়ায় পানির অভাবে কৃষি আবাদে দেখা দিয়েছে মরুময়তা। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুড়া ও যশোর জেলার ১৩টি উপজেলার ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হুমকীর সম্মুখীন হয়েছে। ভারতপ্রেমী সরকারের সময়েও পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ায় বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলকে মরুময়তার হাত থেকে রার জন্য ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৩০ বছরের পানি চুক্তি হয়। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড় ও বাংলাদেশের প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে হায়দ্রাবাদ হাউজে ঐতিহাসিক ৩০ শালা পানি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে ১লা জানুয়ারী থেকে ৩১মে পর্যন্ত ৩৬ হাজার কিউসেক পানি দেওয়ার কথা। পানি চুক্তির ১৮ বছর অতিক্রম করলেও বাংলাদেশ তার ন্যায্য হিস্যা পায়নি। দু’দেশের মধ্যে চুক্তি স্বারের পর থেকেইে ভারত বাংলাদেশকে কম পানি দিয়ে আসছে। পানির অভাবে হাডিঞ্জ ব্রীজ ও লালন শাহ সেতুর নিচে জেগেছে বিশাল চর। পানি শূণ্যতার কারণে চাষাবাদসহ দণি-পশ্চিমাঞ্চলে মরুময়তা দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি কমতে কমতে পদ্মা অনেকটা খালের আকার ধারন করেছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৫টি পিলারের মধ্যে ১১টি পিলারের নিচে পানি নেই। পানি শুকিয়ে নদীতে জেগে উঠেছে ছোট বড় অসংখ্য চর। আর সেই বালু চরে চলছে চাষ আবাদ। ধু ধু বালুচরের একপাশ দিয়ে স্রোতহীন পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মার শাখা উপশাখা নদীগুলোর অবস্থা আরো করুন। এ অবস্থার বাস্তব অবস্থা পর্যবেনে বাংলাদেশ ভারত যৌথ কমিশনের (জে আরসি) প্রতিনিধি দল হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে পানি পর্যবেণ করে পানি প্রবাহের ফলাফল দিলেও তাতে কোন ফল আসেনি।
হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নিচে জেগে আছে বিশাল চর, পিলারগুলো শীর্ণ ঠায় দাড়িয়ে আছে বালির উপর। পদ্মা নদীর চরে কৃষকরা আবাদ করছে বিভিন্ন সবজী ও ফসলের। আখের আবাদ হয়েছে অনেক। পদ্মার চরে এখন কৃষকদের হাল চাষের মৌসুম।
পানি না থাকায় কৃষকদের ব্যস্ততা বেড়েছে।
তথ্যসুত্রে জানাগেছে, বাংলাদেশ-ভারতের পানি চুক্তির ১৮তম বছর অতিক্রম করছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ থেকে ১০ হাজার মিটার ভাটিতে ভারত- বাংলাদেশ পানি পর্যবেণ টিম পানির প্রবাহ ও পানির স্তর পরিমাপ করে। বাংলাদেশ পদ্মা নদীর পানি এবারও ৮-১০ হাজার কিউসেক কম পেয়েছে। পানিচুক্তির ১৮ বছর অতিক্রম করলেও পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে ভারতের তাবেদারী আওয়ামী সরকারও নিরবতা পালন করছে। ফলে দেশের দণি-পশ্চিমাঞ্চল মরুময়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তবে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ৩০ বছরের পানি চুক্তি ১ জানুয়ারি ১৮তম বর্ষে পদার্পণ করছে।
হাইড্রোলজি বিভাগ সূত্র জানায়, দুই সদস্যের ভারতীয় টিম ৫০ দিন ব্যাপী পর্যায়ক্রমে পদ্মার পানি পর্যবেণ করবে। ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুম। প্রতি ১০ দিনকে একটি বা সাইকেল হিসেবে ধরা হয়। আর প্রতি ৩০ দিনকে তিনটি চক্রে ভাগ করা হয়েছে। এভাবেই পানি পরিমাপ চলবে।
চুক্তির প্রথম বছর অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির স্তর ছিল সাত দশমিক ২৫০ মিটার। এ পয়েন্টে প্রতি বছর পানির স্তর কমে আসছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর তিন মিটারে নেমে আসে। আশঙ্কাজনকহারে পদ্মায় পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় পাবনার ২০-২৫টি নদী ইতিমধ্যে তার নাব্যতা হারিয়েছে। চুক্তির প্রথম বছরে ১ থেকে ১০ জানুয়ারি সাইকেলে বাংলাদেশের পানি পাওয়ার প্রাপ্যতা ছিল ৬৭ হাজার ৫১৬ কিউসেক। সেখানে পাওয়া যায় ৭০ হাজার ১২২ কিউসেক। শর্তানুযায়ী চুক্তির প্রথম বছরের প্রথম সাইকেলে পানি পাওয়া কিছুটা বেশি হলেও পরে ভারত বাংলাদেশকে একতরফা পানি কম দিয়ে আসছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়।
প্রজাতন্ত্রী ভারত সরকার ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২ দেশের জনগণের কল্যাণ সাধনের অভিন্ন ল্েয অনপ্রাণিত হয়ে বন্ধুত্বপূর্ন ও সুপ্রতিবেশী সূলভ সম্পর্ক উন্নয়ন এবং জোরদার করার দৃঢ় প্রত্যয়ে ৯৬’র ১২ ডিসেম্বর দু’ দেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় ১২ অনুচ্ছেদে ফারাক্কায় গঙ্গার পানিবণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি স্বার করে। চুক্তির ১ম অনুচ্ছে অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে যে পরিমাণ পানি দিতে সম্মত হয়েছে তা ছাড়া হবে ফারাক্কায় বলে উল্লেখ করা হয়। ২য় অনুচ্ছেদে বলা হয় ১লা জানুয়ারী থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ফারাক্কায় গঙ্গার পানিবণ্টন হবে এবং পরিশিষ্ট-১ এর আওতায় পানি বণ্টন ব্যবস্থায় যে ফর দাাঁড়াবে তার একটি নির্দেশমূলক তফসীল পরিশিষ্ট-২ এ দেওয়া আছে। (২) ফারাক্কার গত ৪০ বছরে (১৯৪৯-১৯৮৮) ১০ দিনের গড় পানি পানি প্রাপ্তির ভিত্তিতে পরিশিষ্ট -২ এ নির্দেশমূলক তফসীল প্রদান করা হয়েছে। ফারাক্কার ওপরে উল্লেখিত ৪০ বছরের গড় পানি প্রবাহ বজায় রাখার জন্য উজানের দেশ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। (৩) কোন ১০ দিনের সময়কালে ফারাক্কার পানির প্রবাহ ৫০ হাজার কিউসেকের নিচে নেমে আসলে ২ দেশের সরকার কোন পরে তি না করে সমতা ও ন্যায়পরায়নতার নীতিমালার ভিত্তিতে জরুরীভাবে পানি প্রবাহে সমন্বয় সাধনের জন্যে অবিলম্বে আলোচনায় বসবে।
৩ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে ফারাক্কায় বাংলাদেশের জন্য যে পানি ছাড়া হবে তা ভারতের যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার ছাড়া ফারাক্কা এবং গঙ্গার মধ্যবর্তী স্থান যার উভয় তীর বাংলাদেশ ভূখন্ড, ২০০শত কিউসেকের বেশি হ্রাস করা হবে না।এই চুক্তি স্বারের পর সমান সংখ্যক সদস্য নিয়ে ২ সরকারের মনোনীত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি যৌথ কমিটি নামে অভিহিত হবে। যৌথ কমিটি হার্ডিঞ্জ ব্রীজসহ ফারাক্কা, ফারাক্কার নিচে, ফিডার ক্যানেলে ও নেভিগেশন লকে দৈনন্দিন প্রবাহ পর্যবেণ ও রেকর্ডের জন্য উপযোগী টিম গঠন করবে। বিগত সময়গুলিতে এ টিম গঠন করে বাংলাশে চুক্তি অনুযায়ী পানি পেয়ে রিপোর্ট পেশ করলেও ভারত সে ব্যাপারে কোন তোয়াক্কা করেনি।
২০১৪ সালের জন্যও ঠিক অনুরূপ পর্যবেণ টিম তৈরি করা হয়েছে ৫ সদস্যের। যারা এখন কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নিচে পর্যবেণ করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, গঙ্গা চুক্তি অনুযায়ী জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে মে’র শেষ দিন পর্যন্ত ভারত ফারাক্কা পয়েন্টে ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল এই চল্লিশ বছরের গড় হারে বাংলাদেশ পানি পাওয়ার কথা। এছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে প্রতি সেকেন্ডে ৩৫ হাজার ঘনফুট পানি প্রবাহের কথা রয়েছে। কিন্তু চুক্তির শুরু থেকেই এ পানি কম দিয়ে আসছে ভারত। তাদের ওয়াদা তারা পালন করেনি। পানিচুক্তি একটি নিষ্ফণ চুক্তিতে পরিণত হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, হিমালয়ের বরফগলা পানিতে গঙ্গা নদীর অববাহিকার আয়তন ৮ লাখ ৬১ হাজার ৪০৪ বর্গকিলোমিটার। পদ্মা থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রজেক্টে পানির জোগান প্রতি বছর দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনমিটার। পানি প্রবাহের হার ৪ লাখ ৪২ হাজার ১৭০ ঘনমিটার প্রতি ২ কিলোমিটার। ২ হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে গঙ্গা নদীর অববাহিকায় ভারত ১ কোটি ৩০ লাখ হেক্টর জমিতে সেচের ব্যবস্থা করেছে। অন্যদিকে দেশের বৃহত্তম গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে প্রজেক্ট) সেচ প্রকল্প, পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প, পানাসি (পাবনা-নাটোর ও সিরাজগঞ্জ) প্রকল্প, বরেন্দ্র প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের হাজার হাজার একর জমিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও পাম্প ব্যবহার করে সেচ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। জিকে প্রজেক্টে ১ লাখ ৯৭ হাজার একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার একর আবাদি জমি। যে জমিতে এখন আখ, বাদাম (যে ফসলে পানির প্রয়োজন কম হয়) চাষে ব্যস্ত রয়েছেন নদীপাড়ের কৃষক।
কুষ্টিয়ার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ও পানি উন্নয়নবোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। নলকুপে পানি পাচেছনা। বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কৃষি আবাদে বিরুপ প্রভাব পড়েছে। এতে সেচ প্রকল্পের অধীনে ১ল ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলাসহ ৫ জেলায় মরুময়তা দেখা দিয়েছে। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুড়া ও যশোর জেলার ১৩টি উপজেলায় ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ করা চাষীদের দূরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পানি চুক্তির ১৮ বছর পার হলেও চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি না পাওয়ায় ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে এদেশের নদী নালা খাল বীল পানি শূণ্য হয়ে পড়েছে। ভারতের সাথে চুক্তি করে সেই চুক্তি অনুযায়ী পানি পাওয়ায় দেশের দণি-পশ্চিমাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হতে শুরু করেছে। হুমকীর সম্মুখীত হতে চরেছে দেশের ৫ কোটি মানুষের জীবন। দেশের মাটি ও মানুষের জীবন বাঁচাতে পানি চুক্তির যথার্থ বাস্তবায়ন করে এ সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা করবেন এটাই দেশের দণি-পশ্চিমাঞ্চল মানুষের দাবী।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলকে মরুময়তার হাত থেকে রার জন্য ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৩০ বছরের পানি চুক্তি হয়। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড় ও বাংলাদেশের প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে হায়দ্রাবাদ হাউজে ঐতিহাসিক ৩০ শালা পানি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে ১লা জানুয়ারী থেকে ৩১মে পর্যন্ত ৩৬ হাজার কিউসেক পানি দেওয়ার কথা। পানি চুক্তির ১৮ বছর অতিক্রম করলেও বাংলাদেশ তার ন্যায্য হিস্যা পায়নি। দু’দেশের মধ্যে চুক্তি স্বারের পর থেকেইে ভারত বাংলাদেশকে কম পানি দিয়ে আসছে। পানির অভাবে হাডিঞ্জ ব্রীজ ও লালন শাহ সেতুর নিচে জেগেছে বিশাল চর। পানি শূণ্যতার কারণে চাষাবাদসহ দণি-পশ্চিমাঞ্চলে মরুময়তা দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি কমতে কমতে পদ্মা অনেকটা খালের আকার ধারন করেছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৫টি পিলারের মধ্যে ১১টি পিলারের নিচে পানি নেই। পানি শুকিয়ে নদীতে জেগে উঠেছে ছোট বড় অসংখ্য চর। আর সেই বালু চরে চলছে চাষ আবাদ। ধু ধু বালুচরের একপাশ দিয়ে স্রোতহীন পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মার শাখা উপশাখা নদীগুলোর অবস্থা আরো করুন। এ অবস্থার বাস্তব অবস্থা পর্যবেনে বাংলাদেশ ভারত যৌথ কমিশনের (জে আরসি) প্রতিনিধি দল হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে পানি পর্যবেণ করে পানি প্রবাহের ফলাফল দিলেও তাতে কোন ফল আসেনি।
হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নিচে জেগে আছে বিশাল চর, পিলারগুলো শীর্ণ ঠায় দাড়িয়ে আছে বালির উপর। পদ্মা নদীর চরে কৃষকরা আবাদ করছে বিভিন্ন সবজী ও ফসলের। আখের আবাদ হয়েছে অনেক। পদ্মার চরে এখন কৃষকদের হাল চাষের মৌসুম।
পানি না থাকায় কৃষকদের ব্যস্ততা বেড়েছে।
তথ্যসুত্রে জানাগেছে, বাংলাদেশ-ভারতের পানি চুক্তির ১৮তম বছর অতিক্রম করছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ থেকে ১০ হাজার মিটার ভাটিতে ভারত- বাংলাদেশ পানি পর্যবেণ টিম পানির প্রবাহ ও পানির স্তর পরিমাপ করে। বাংলাদেশ পদ্মা নদীর পানি এবারও ৮-১০ হাজার কিউসেক কম পেয়েছে। পানিচুক্তির ১৮ বছর অতিক্রম করলেও পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে ভারতের তাবেদারী আওয়ামী সরকারও নিরবতা পালন করছে। ফলে দেশের দণি-পশ্চিমাঞ্চল মরুময়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তবে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ৩০ বছরের পানি চুক্তি ১ জানুয়ারি ১৮তম বর্ষে পদার্পণ করছে।
হাইড্রোলজি বিভাগ সূত্র জানায়, দুই সদস্যের ভারতীয় টিম ৫০ দিন ব্যাপী পর্যায়ক্রমে পদ্মার পানি পর্যবেণ করবে। ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুম। প্রতি ১০ দিনকে একটি বা সাইকেল হিসেবে ধরা হয়। আর প্রতি ৩০ দিনকে তিনটি চক্রে ভাগ করা হয়েছে। এভাবেই পানি পরিমাপ চলবে।
চুক্তির প্রথম বছর অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির স্তর ছিল সাত দশমিক ২৫০ মিটার। এ পয়েন্টে প্রতি বছর পানির স্তর কমে আসছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর তিন মিটারে নেমে আসে। আশঙ্কাজনকহারে পদ্মায় পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় পাবনার ২০-২৫টি নদী ইতিমধ্যে তার নাব্যতা হারিয়েছে। চুক্তির প্রথম বছরে ১ থেকে ১০ জানুয়ারি সাইকেলে বাংলাদেশের পানি পাওয়ার প্রাপ্যতা ছিল ৬৭ হাজার ৫১৬ কিউসেক। সেখানে পাওয়া যায় ৭০ হাজার ১২২ কিউসেক। শর্তানুযায়ী চুক্তির প্রথম বছরের প্রথম সাইকেলে পানি পাওয়া কিছুটা বেশি হলেও পরে ভারত বাংলাদেশকে একতরফা পানি কম দিয়ে আসছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়।
প্রজাতন্ত্রী ভারত সরকার ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২ দেশের জনগণের কল্যাণ সাধনের অভিন্ন ল্েয অনপ্রাণিত হয়ে বন্ধুত্বপূর্ন ও সুপ্রতিবেশী সূলভ সম্পর্ক উন্নয়ন এবং জোরদার করার দৃঢ় প্রত্যয়ে ৯৬’র ১২ ডিসেম্বর দু’ দেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় ১২ অনুচ্ছেদে ফারাক্কায় গঙ্গার পানিবণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি স্বার করে। চুক্তির ১ম অনুচ্ছে অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে যে পরিমাণ পানি দিতে সম্মত হয়েছে তা ছাড়া হবে ফারাক্কায় বলে উল্লেখ করা হয়। ২য় অনুচ্ছেদে বলা হয় ১লা জানুয়ারী থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ফারাক্কায় গঙ্গার পানিবণ্টন হবে এবং পরিশিষ্ট-১ এর আওতায় পানি বণ্টন ব্যবস্থায় যে ফর দাাঁড়াবে তার একটি নির্দেশমূলক তফসীল পরিশিষ্ট-২ এ দেওয়া আছে। (২) ফারাক্কার গত ৪০ বছরে (১৯৪৯-১৯৮৮) ১০ দিনের গড় পানি পানি প্রাপ্তির ভিত্তিতে পরিশিষ্ট -২ এ নির্দেশমূলক তফসীল প্রদান করা হয়েছে। ফারাক্কার ওপরে উল্লেখিত ৪০ বছরের গড় পানি প্রবাহ বজায় রাখার জন্য উজানের দেশ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। (৩) কোন ১০ দিনের সময়কালে ফারাক্কার পানির প্রবাহ ৫০ হাজার কিউসেকের নিচে নেমে আসলে ২ দেশের সরকার কোন পরে তি না করে সমতা ও ন্যায়পরায়নতার নীতিমালার ভিত্তিতে জরুরীভাবে পানি প্রবাহে সমন্বয় সাধনের জন্যে অবিলম্বে আলোচনায় বসবে।
৩ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে ফারাক্কায় বাংলাদেশের জন্য যে পানি ছাড়া হবে তা ভারতের যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার ছাড়া ফারাক্কা এবং গঙ্গার মধ্যবর্তী স্থান যার উভয় তীর বাংলাদেশ ভূখন্ড, ২০০শত কিউসেকের বেশি হ্রাস করা হবে না।এই চুক্তি স্বারের পর সমান সংখ্যক সদস্য নিয়ে ২ সরকারের মনোনীত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি যৌথ কমিটি নামে অভিহিত হবে। যৌথ কমিটি হার্ডিঞ্জ ব্রীজসহ ফারাক্কা, ফারাক্কার নিচে, ফিডার ক্যানেলে ও নেভিগেশন লকে দৈনন্দিন প্রবাহ পর্যবেণ ও রেকর্ডের জন্য উপযোগী টিম গঠন করবে। বিগত সময়গুলিতে এ টিম গঠন করে বাংলাশে চুক্তি অনুযায়ী পানি পেয়ে রিপোর্ট পেশ করলেও ভারত সে ব্যাপারে কোন তোয়াক্কা করেনি।
২০১৪ সালের জন্যও ঠিক অনুরূপ পর্যবেণ টিম তৈরি করা হয়েছে ৫ সদস্যের। যারা এখন কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নিচে পর্যবেণ করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, গঙ্গা চুক্তি অনুযায়ী জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে মে’র শেষ দিন পর্যন্ত ভারত ফারাক্কা পয়েন্টে ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল এই চল্লিশ বছরের গড় হারে বাংলাদেশ পানি পাওয়ার কথা। এছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে প্রতি সেকেন্ডে ৩৫ হাজার ঘনফুট পানি প্রবাহের কথা রয়েছে। কিন্তু চুক্তির শুরু থেকেই এ পানি কম দিয়ে আসছে ভারত। তাদের ওয়াদা তারা পালন করেনি। পানিচুক্তি একটি নিষ্ফণ চুক্তিতে পরিণত হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, হিমালয়ের বরফগলা পানিতে গঙ্গা নদীর অববাহিকার আয়তন ৮ লাখ ৬১ হাজার ৪০৪ বর্গকিলোমিটার। পদ্মা থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রজেক্টে পানির জোগান প্রতি বছর দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনমিটার। পানি প্রবাহের হার ৪ লাখ ৪২ হাজার ১৭০ ঘনমিটার প্রতি ২ কিলোমিটার। ২ হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে গঙ্গা নদীর অববাহিকায় ভারত ১ কোটি ৩০ লাখ হেক্টর জমিতে সেচের ব্যবস্থা করেছে। অন্যদিকে দেশের বৃহত্তম গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে প্রজেক্ট) সেচ প্রকল্প, পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প, পানাসি (পাবনা-নাটোর ও সিরাজগঞ্জ) প্রকল্প, বরেন্দ্র প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের হাজার হাজার একর জমিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও পাম্প ব্যবহার করে সেচ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। জিকে প্রজেক্টে ১ লাখ ৯৭ হাজার একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার একর আবাদি জমি। যে জমিতে এখন আখ, বাদাম (যে ফসলে পানির প্রয়োজন কম হয়) চাষে ব্যস্ত রয়েছেন নদীপাড়ের কৃষক।
কুষ্টিয়ার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ও পানি উন্নয়নবোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। নলকুপে পানি পাচেছনা। বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কৃষি আবাদে বিরুপ প্রভাব পড়েছে। এতে সেচ প্রকল্পের অধীনে ১ল ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলাসহ ৫ জেলায় মরুময়তা দেখা দিয়েছে। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুড়া ও যশোর জেলার ১৩টি উপজেলায় ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ করা চাষীদের দূরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পানি চুক্তির ১৮ বছর পার হলেও চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি না পাওয়ায় ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে এদেশের নদী নালা খাল বীল পানি শূণ্য হয়ে পড়েছে। ভারতের সাথে চুক্তি করে সেই চুক্তি অনুযায়ী পানি পাওয়ায় দেশের দণি-পশ্চিমাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হতে শুরু করেছে। হুমকীর সম্মুখীত হতে চরেছে দেশের ৫ কোটি মানুষের জীবন। দেশের মাটি ও মানুষের জীবন বাঁচাতে পানি চুক্তির যথার্থ বাস্তবায়ন করে এ সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা করবেন এটাই দেশের দণি-পশ্চিমাঞ্চল মানুষের দাবী।
বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়ায় ১৮ দলীয় জোটের মিছিলে পুলিশের বাধা
স্টাফ রিপোর্টার,কুষ্টিয়া ০৮-০১-১৪ ইং ॥ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ১৮ দলীয় জোটের হরতালের টানা ৩য় দিন কুষ্টিয়ায় সতস্ফুর্তভাবে পালিত হয়েছে। হরতালের সমর্থনে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে মিছিল সমাবেশে করেছে কুষ্টিয়া জেলা ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। বুধবার সকালে বিএনপির জাতীয় নিবার্হী কমিটির ত্রাণ ও পূর্ণবাসন বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি জেলা ১৮ দলীয় জোটের আহবায়ক সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর নেতৃত্বে মিছিলটি জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদণি করে
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৪
পোড়াদহে মেধাবী ছাত্রদের শীতবস্ত্র দিলো সাফ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার তেঘরিয়া আইডিয়াল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেধাবী ও গরীব ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সোয়েটার ও কার্ডিগান বিতরণ করলেন সাফ‘র নির্বাহী পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাক। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী নেতা ডাঃ
এম এ করিম, পোড়াদহ তেঘরিয়া আইডিয়াল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিকিাসহ শিক/শিকিাবৃন্দ।সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়ায় হরতাল সমর্থনে ১৮ দলীয় জোটের বিােভ সমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও হত্যাকান্ডের ৪৮ ঘন্টা হরতালের ২য় দিনে কুষ্টিয়ায় ১৮ দলীয় জোটের বিােভ সমাবেশ করেছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয় চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে কুমারখালির বিভিন্ন ইউনিয়ন ও কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকা খন্ড খন্ড মিছিল সমাবেশে যোগ দেয়। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুর্নবাসন বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি কুষ্টিয়া জেলা ১৮ দলীয় জোটের আহবায়ক সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জেলা ১৮ দলীয় জোটের
যুগ্ম আহবায়ক সাবেক এমপি অধ্য সোহরাব উদ্দিন। জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলুর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড.গোলাম মহাম্মাদ, যুগ্ম সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, এসএম ওমর ফারুক,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. শামিম উল হাসান অপু, যোগাযোগ সম্পাদক হাজী রবিউল আউয়াল, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন কানাই, যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউর রহমান পিন্টু, ছাত্র বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুঈদ বাবুল, সরকারী কলেজ ছাত্র শিবিরের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।
যুগ্ম আহবায়ক সাবেক এমপি অধ্য সোহরাব উদ্দিন। জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলুর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড.গোলাম মহাম্মাদ, যুগ্ম সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, এসএম ওমর ফারুক,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. শামিম উল হাসান অপু, যোগাযোগ সম্পাদক হাজী রবিউল আউয়াল, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন কানাই, যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউর রহমান পিন্টু, ছাত্র বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুঈদ বাবুল, সরকারী কলেজ ছাত্র শিবিরের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।
ফেলানী হত্যার তৃতীয় বার্ষিকী

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফেলানী ফুলবাড়ীর উত্তর অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের ওপর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। এ সময় টহলরত চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ তাকে গুলি করে হত্যা করেন। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার শহরের কাছে সোনারি বিএসএফের ছাউনিতে বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। স্যা দেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম, মামা আ. হানিফ, কুড়িগ্রামের সরকারি কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকন ও ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল জিয়াউল হক খালেদ।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালত মামলার প্রধান আসামি অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন। রায় প্রত্যাখ্যান করে ফেলানীর বাবা ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ভারত সরকারকে চিঠি দেন। এ পর্যায়ে ‘রিভিশন ট্রায়াল’ করার ঘোষণা দেয় বিএসএফ।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালত মামলার প্রধান আসামি অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন। রায় প্রত্যাখ্যান করে ফেলানীর বাবা ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ভারত সরকারকে চিঠি দেন। এ পর্যায়ে ‘রিভিশন ট্রায়াল’ করার ঘোষণা দেয় বিএসএফ।
কুষ্টিয়ায় ১৮ দলীয় জোটের হরতাল সমর্থনে মিছিল
রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়া শহর শিবিরের বিােভ মিছিল ॥ মহাসড়কে আগুন
কুষ্টিয়ায় ৩টি সংসদীয় আসনের ২টিতে আওয়ামীলীগ ও ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়লাভ

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

ভেড়ামারা সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার সিএ হালিম জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গাছেরদিয়াড় গ্রামের একটি মাঠের মধ্যে একটি লাম পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত অনুমানিক (৩২) বছর বয়সী ওই ব্যক্তির গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে। তবে এখনো তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে অন্য জায়গা থেকে তাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার আলামপুরে ভোট কেন্দ্রে আগুন ॥ বিএনপি নেতা গ্রেফতার

শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৪
কুষ্টিয়ায় নকল এনার্জী ড্রিংক তৈরীর অভিযোগে তিন জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড
স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুষ্টিয়ায় যৌন উত্তেজক এনার্জি ড্রিংক তৈরীর নকল কারাখানা অবিষ্কার করেছে র্যাব সদস্যরা। শহরের মিলপাড়াস্থ আয়েশা কুঞ্জের ৩য় তলায় অবস্থিত ওই কারখানায় অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে জিনসিন সরবত ও ডাবল হর্স এনার্জি ড্রিংকস নামের বিপুল পরিমান বোতলজাত ড্রিংক, ড্রিংক তৈরীর সরঞ্জাম ও কাঁচামাল উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থে
কে কারখানার মালিক তাজমুল ইসলাম তাজু (৫৫), কেমিষ্ট বসির উদ্দিন (৪৭) ও শ্রমিক নাসিম উদ্দিনকে ৫০) গ্রেফতার করে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারটার দিকে ঐ কারখানার সামনে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম জামাল অভিযুক্ত কারখানা মালিক তাজমল ইসলাম তাজুর ১ বছর এবং বসির উদ্দিন ও নাসিম উদ্দিনকে ৬ মাস করে কারদন্ড প্রদান করেন। পরে উদ্ধারকৃত নকল মালমাল আগুনে পুড়িয়ে ধবংস করা হয়।
কে কারখানার মালিক তাজমুল ইসলাম তাজু (৫৫), কেমিষ্ট বসির উদ্দিন (৪৭) ও শ্রমিক নাসিম উদ্দিনকে ৫০) গ্রেফতার করে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারটার দিকে ঐ কারখানার সামনে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম জামাল অভিযুক্ত কারখানা মালিক তাজমল ইসলাম তাজুর ১ বছর এবং বসির উদ্দিন ও নাসিম উদ্দিনকে ৬ মাস করে কারদন্ড প্রদান করেন। পরে উদ্ধারকৃত নকল মালমাল আগুনে পুড়িয়ে ধবংস করা হয়।
সন্তানসহ আত্মহত্যার হুমকি নূপুরের

নূপুরের দাব, তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (৯) ও মেজো মেয়ে দিয়া মনিকে (৬) অপহরণ করেছে তারই সাবেক স্বামী মৃত রফিকুল ইসলাম কাজলের ছোট ভাই ও বর্তমান স্বামী আহমেদ আলী রানাসহ পরিবারের সদস্যরা।
নূপুর জানান, তিনি জানতে পেরেছেন বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির ১১নম্বর বিল্ডিংয়ের একটি ফ্যাটে আটকে রাখা হয়েছে। তবে মেজো মেয়ে দিয়া মনির কোনো খোঁজ জানেন না নূপুর।
সন্তানসহ আত্মহত্যার হুমকি নূপুরের

নূপুরের দাব, তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (৯) ও মেজো মেয়ে দিয়া মনিকে (৬) অপহরণ করেছে তারই সাবেক স্বামী মৃত রফিকুল ইসলাম কাজলের ছোট ভাই ও বর্তমান স্বামী আহমেদ আলী রানাসহ পরিবারের সদস্যরা।
নূপুর জানান, তিনি জানতে পেরেছেন বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির ১১নম্বর বিল্ডিংয়ের একটি ফ্যাটে আটকে রাখা হয়েছে। তবে মেজো মেয়ে দিয়া মনির কোনো খোঁজ জানেন না নূপুর।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)